দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির দায়িত্ব যথাযথভাবে
পালন বা রক্ষা করাটা আমানতদারির মধ্যে পড়ে। রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার- সবক্ষেত্রেই উচ্চ
পর্যায় থেকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত সবাইকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে সচেতন হতে
হবে। অন্যথায় দুনিয়াতে জবাবদিহিতার পাশাপাশি আখিরাতেও মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দায়িত্বে
অবহেলা অথবা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে এবং কঠিন শাস্তি
ভোগ করতে হবে। এ বিষয়ে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সম্পর্কে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের
সবাই দায়িত্বশীল (রক্ষক) এবং প্রতেককে যার যার দায়িত্ব (রক্ষিত বিষয়) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করা হবে।”
মূলত রাষ্ট্রের, সমাজের, পরিবারের প্রতিটি
লোকই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল। পিতা তার পরিবারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল, মাতা সংসারের
দেখাশোনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল। ছেলেমেয়েদের সভ্য, ভদ্র, নৈতিকতাসম্পন্ন,
আল্লাহওয়ালা ও সচ্চরিত্রবান করে গড়ে তোলার দায়িত্ব পিতা-মাতার। এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ
হলে ছেলেমেয়ে চরিত্রহীন বা নৈতিকতা বর্জিত হয়ে গড়ে উঠলে প্রথমে এ ব্যর্থতা পিতা-মাতার।
পরে তা সমাজের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।