“একদিন একটা ঘটনা আমার মনে দাগ কেটে দিয়েছিল, আজও সেটা ভুলি নাই। আমার এক বন্ধু ছিল ননীকুমার দাস। ... ও ওর কাকার বাড়িতে থাকত। একদিন ওদের বাড়িতে যাই। ও আমাকে ওদের থাকার ঘরে নিয়ে বসায়। ওর কাকীমাও আমাকে খুব ভালবাসত। আমি চলে আসার কিছু সময় পর ননী কাঁদো কাঁদো অবস্থায় আমার বাসায় এসে হাজির। আমি বললাম, “ননী কি হয়েছে?” ননী আমাকে বলল, “তুই আর আমাদের বাসায় যাস না। কারণ, তুই চলে আসার পর কাকীমা আমাকে খুব বকেছে তোকে ঘরে আনার জন্য এবং সমস্ত ঘর আবার পরিষ্কার করেছে পানি দিয়ে ও আমাকেও ঘর ধুতে বাধ্য করেছে।” (সূত্র: অসমাপ্ত আত্মজীবনী, শেখ মুজিবুর রহমান, পৃষ্ঠা ২৩)
Wednesday, February 15, 2017
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে কী আছে?
খুঁজলে এমন অনেক মুসলমান পাওয়া যায়, যারা বলে- ‘ব্রিটিশরা না আসলে আমরা এখনো অন্ধকারে পড়ে রইতাম। আধুনিকতার ছোঁয়াও পেতাম না। তারা আমাদের অনেক কিছু করে দিয়ে গেছে।’ ইত্যাদি ইত্যাদি। নাউযুবিল্লাহ! এখনো বাল্যবিবাহের কথা বললে অনেকের গা জ্বলে যায়। এরা কি ব্রিটিশদের গোলামে পরিণত হয়নি? মূলত, এরা হীনম্মন্যতা রোগে আক্রান্ত মানসিক রোগী বা মাথার রোগী; যাদের গোবর মাথা কাফিরের প্রশংসা বা গুণকীর্তন বা জয়গান ছাড়া অন্যকিছু ভাবতে পারে না।