খুঁজলে এমন অনেক মুসলমান পাওয়া যায়, যারা বলে- ‘ব্রিটিশরা না আসলে আমরা এখনো অন্ধকারে পড়ে রইতাম। আধুনিকতার ছোঁয়াও পেতাম না। তারা আমাদের অনেক কিছু করে দিয়ে গেছে।’ ইত্যাদি ইত্যাদি। নাউযুবিল্লাহ! এখনো বাল্যবিবাহের কথা বললে অনেকের গা জ্বলে যায়। এরা কি ব্রিটিশদের গোলামে পরিণত হয়নি? মূলত, এরা হীনম্মন্যতা রোগে আক্রান্ত মানসিক রোগী বা মাথার রোগী; যাদের গোবর মাথা কাফিরের প্রশংসা বা গুণকীর্তন বা জয়গান ছাড়া অন্যকিছু ভাবতে পারে না।
অথচ ইতিহাস বলে- ব্রিটিশরা ছিল দস্যুপ্রকৃতির। তাদের কাজই ছিল ব্যবসার নামে দস্যুগিরি করা। আমাদের এই উপমহাদেশকে শোষণ করে করে তারা নিঃশেষ করে দিয়েছিল। লুটপাট করে নিয়ে গেছে এদেশের সোনা-রুপা, হীরা-জহরত, মণি-মুক্তা ইত্যাদি।
বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ১৭-১৮ পৃষ্ঠায় ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ মহামারীর (দুর্ভিক্ষের) বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে তিনি ব্রিটিশদের লুটপাটের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, “ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন বাংলাদেশ দখল করে (জগৎশেঠ, উমি চাঁদ, রাজবল্লভ ও) মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায়, তখন বাংলার এতো সম্পদ ছিল যে, মুর্শিদাবাদের একজন ব্যবসায়ী গোটা বিলাত শহর (লন্ডন বা ব্রিটেন) কিনতে পারতো। সেই বাংলাদেশের এই দুরবস্থা চোখে দেখেছি যে, মা মরে পড়ে আছে, ছোট বাচ্চা সেই মরা মায়ের দুধ চাটছে। কুকুর ও মানুষ এক সাথে ডাস্টবিন থেকে কিছু খাবারের জন্য কাড়াকাড়ি করছে। ছেলেমেয়েদের রাস্তায় ফেলে মা কোথায় পালিয়ে গেছে। পেটের দায়ে নিজের ছেলেমেয়েকে বিক্রি করতে চেষ্টা করছে। বাড়ির দুয়ারে এসে চিৎকার করছে, ‘মা বাঁচাও, কিছু খেতে দাও, মরে তো গেলাম, আর পারি না একটু ফেন দাও।’ এই কথা বলতে বলতে ঐ বাড়ির দুয়ারের কাছেই পড়ে মরে গেছে।” (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা- ১৮)
সে সময় নৌদস্যু ব্রিটিশদের লুটপাটের কারণে ভারতবর্ষের প্রায় এক কোটি মানুষ অনাহারে নিহত হয়। অথচ এখনো ওই দস্যু ও খুনিদেরকে এদেশের অনেকেই উন্নত ও সভ্য বলতে চেষ্টা করে। ওই বর্বর দস্যুরা যে আমাদের পুর্বপুরুষদের সম্পদ, সম্মান, ইজ্জত, ধনদৌলত, জীবন, সন্তান-সন্ততি কেড়ে নিয়েছিল- সেই ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে নেই। মুছে দেয়া হয়েছে। এমনকি ওই দস্যুদেরকে পাঠ্যপুস্তকে হিরো হিসেবে দেখানো হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
কারণ বর্তমানে আমাদের সিলেবাস ও শিক্ষার নিয়ন্ত্রক হচ্ছে দালাল শ্রেণীর কিছু লোক। ‘সিআইএ’ ও ‘র’-এর এজেন্টরাই এর নিয়ন্ত্রক। আর এর সহযোগী হলো মিডিয়া (সংবাদমাধ্যম); যারা মূলত ‘তথ্য সন্ত্রাসী’।
অথচ ইতিহাস বলে- ব্রিটিশরা ছিল দস্যুপ্রকৃতির। তাদের কাজই ছিল ব্যবসার নামে দস্যুগিরি করা। আমাদের এই উপমহাদেশকে শোষণ করে করে তারা নিঃশেষ করে দিয়েছিল। লুটপাট করে নিয়ে গেছে এদেশের সোনা-রুপা, হীরা-জহরত, মণি-মুক্তা ইত্যাদি।
বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ১৭-১৮ পৃষ্ঠায় ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ মহামারীর (দুর্ভিক্ষের) বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে তিনি ব্রিটিশদের লুটপাটের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, “ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যখন বাংলাদেশ দখল করে (জগৎশেঠ, উমি চাঁদ, রাজবল্লভ ও) মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায়, তখন বাংলার এতো সম্পদ ছিল যে, মুর্শিদাবাদের একজন ব্যবসায়ী গোটা বিলাত শহর (লন্ডন বা ব্রিটেন) কিনতে পারতো। সেই বাংলাদেশের এই দুরবস্থা চোখে দেখেছি যে, মা মরে পড়ে আছে, ছোট বাচ্চা সেই মরা মায়ের দুধ চাটছে। কুকুর ও মানুষ এক সাথে ডাস্টবিন থেকে কিছু খাবারের জন্য কাড়াকাড়ি করছে। ছেলেমেয়েদের রাস্তায় ফেলে মা কোথায় পালিয়ে গেছে। পেটের দায়ে নিজের ছেলেমেয়েকে বিক্রি করতে চেষ্টা করছে। বাড়ির দুয়ারে এসে চিৎকার করছে, ‘মা বাঁচাও, কিছু খেতে দাও, মরে তো গেলাম, আর পারি না একটু ফেন দাও।’ এই কথা বলতে বলতে ঐ বাড়ির দুয়ারের কাছেই পড়ে মরে গেছে।” (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা- ১৮)
সে সময় নৌদস্যু ব্রিটিশদের লুটপাটের কারণে ভারতবর্ষের প্রায় এক কোটি মানুষ অনাহারে নিহত হয়। অথচ এখনো ওই দস্যু ও খুনিদেরকে এদেশের অনেকেই উন্নত ও সভ্য বলতে চেষ্টা করে। ওই বর্বর দস্যুরা যে আমাদের পুর্বপুরুষদের সম্পদ, সম্মান, ইজ্জত, ধনদৌলত, জীবন, সন্তান-সন্ততি কেড়ে নিয়েছিল- সেই ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে নেই। মুছে দেয়া হয়েছে। এমনকি ওই দস্যুদেরকে পাঠ্যপুস্তকে হিরো হিসেবে দেখানো হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
কারণ বর্তমানে আমাদের সিলেবাস ও শিক্ষার নিয়ন্ত্রক হচ্ছে দালাল শ্রেণীর কিছু লোক। ‘সিআইএ’ ও ‘র’-এর এজেন্টরাই এর নিয়ন্ত্রক। আর এর সহযোগী হলো মিডিয়া (সংবাদমাধ্যম); যারা মূলত ‘তথ্য সন্ত্রাসী’।
No comments:
Post a Comment