Monday, December 19, 2016

আন্তর্জাতিক আরবী ভাষা দিবস ও বাংলাদেশে আরবী চর্চা


১৮ ডিসেম্বর পালিত হলো আন্তর্জাতিক আরবী ভাষা দিবস। ১৯৭৩ সালের এদিনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ২৮তম অধিবেশনে ৩১৯০নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক আরবীকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ১৯০তম অধিবেশনে ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক আরবী ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে শুরু হয় আন্তর্জাতিক আরবী ভাষা দিবসের পথ চলা। আরব বিশ্বে দিবসটি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হলেও শুধুমাত্র মূলধারার মিডিয়ার নির্লিপ্ততার কারণে বাংলাদেশে দিবসটি তেমন কোনো সাড়া জাগাতে পারেনি। অথচ আরবী ভাষার সঙ্গে রয়েছে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর আত্মার সম্পর্ক। এদেশের সর্ব স্তরের জনসাধারণ আরবী ভাষাকে পরম শ্রদ্ধা করেন, মন থেকে ভক্তি করেন ও হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন। কারণ কুরআন হাদীছের ভাষা আরবী, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ভাষা আরবী, জান্নাতের ভাষা আরবী। পবিত্র হাদীছ শরীফে আরবী ভাষাকে মুহব্বত করতে জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।

শুধুমাত্র কাফিররাই মৌলবাদী; মুসলমানরা নয়

তাবৎ বিধর্মীরা শাব্দিক অর্থে মৌলবাদী। কোনো মুসলমানই কস্মিনকালেও মৌলবাদী নয়। মৌলবাদীরা- গোঁড়া, অন্ধ, অসভ্য, বর্বর, হিংস্র, উগ্র, আগ্রাসী, যালিম, কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়। যেমন মৌলবাদী খ্রিস্টানরা তথা আগ্রাসী ক্রুসেডার খ্রিস্টানরা মুসলিম বিশ্বে তান্ডব চালিয়েছে, এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। মৌলবাদীরা ভয়ঙ্কর প্রকৃতির সন্ত্রাসী। মৌলবাদী কাফির-বেদ্বীনদের (ইহুদী-খ্রিস্টান, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসীসহ তাবত বিধর্মী) ভয়াবহ আগ্রাসন ও যুলুমের ক্ষত মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র দেখা যাচ্ছে। তারপরও একশ্রেণীর জাহিল মুসলমান নিজেদের মৌলবাদী (মূল থেকে উৎসারিত) বলে দাবি করতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অথচ কোনো মুসলমান কখনোই মৌলবাদী নয় এবং মৌলবাদীরা কখনোই মুসলমান নয়। কেননা শুধুমাত্র মুসলমানরাই আলোকিত ও সভ্য; মৌলবাদীরা নয়।