আল্লাহওয়ালা হওয়ার শিক্ষা, কাফির-মুশরিকদের শত্রুজ্ঞান করার শিক্ষা ও সর্বোপরি মুর্শিদ
ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি বিমুখতা তথা অভিভাবকহীনতার কারণেই নজরুলের ন্যায়
মুসলিম প্রতিভাগুলো নানাভাবে কেড়ে নিচ্ছে বিধর্মী ইহুদি-খ্রিস্টান-হিন্দু সম্প্রদায়।
বাঙালি মুসলমানগণ উনাদের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নক্ষত্রের নাম কাজী নজরুল ইসলাম।
ব্রিটিশআমলে যখন বাঙালি মুসলিম সমাজ চরম হতাশায় নিমজ্জিত, তখন বাংলা ভাষায় হামদ-না’ত ও ইসলামী ভাবধারাম-িত কবিতা লেখার সূত্রপাত করে তিনি বাংলার মুসলমান সমাজে নবজীবন
দান করেন।
তবে কাজী নজরুল ইসলাম থেকে বাঙালি
মুসলমান যা পেয়েছে, তা নজরুল-প্রতিভার
বিচারে সিন্ধুর মাঝে বিন্দুও নয়। কারণ কাজী নজরুল ইসলাম বসবাস করতেন হিন্দুদের সমাজে
এবং হিন্দু সমাজ, পরিবার এমনকি নিজগৃহে
বসবাসকারী হিন্দু শাশুড়ির কটাক্ষ হজম করে তিনি তার অন্যান্য রচনার মাঝে মাঝে হামদ-না’ত রচনা করতেন। অর্থাৎ তিনি যদি হিন্দু সমাজে নিজেকে না সঁপে
দিয়ে মুসলিম সমাজে থাকতেন, তাহলে তিনি তার পূর্ণ
উদ্যমকে ইসলামী সাহিত্য উনার জন্য উৎসর্গ করতে পারতেন এবং সেক্ষেত্রে বাঙালি মুসলিম
সাহিত্যের ইতিহাস নতুনভাবে লেখা হতে পারতো।