সারাদেশের ন্যায় উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি জায়গায়
লু-হাওয়া আর প্রচন্ড খরতাপে জনজীবন অতিষ্ঠ। প্রাণ যেন যায় যায় ভাব। একটু শীতল বাতাসের
জন্য এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করেও লাভালাভ হচ্ছে না। বিরূপ আবহাওয়ায় নানা অসুখ-বিসুখে
আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও ছোট্ট শিশুরা। এ উপরে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং আর ভেলকিবাজিতে
জনজীবন পড়েছে বেকায়দায়। ঘরে-বাইরে কোথাও গিয়ে একটু স্বস্তি খুঁজে পাওয়া ভার।
আবহাওয়াবিদগণ
বলছে, আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গত কয়েকদিন ধরে অত্যাধিক ভ্যাপসা
গরম আর লু-হাওয়ায় অন্যান্য জায়গার ন্যায় ভোলাহাট উপজেলার সর্বত্রই যেন হাঁ-হুঁতাশ অব্যাহত
রয়েছে। বেকায়দায় পড়েছে বর্তমান বিরূপ আবহাওয়ায় অসুস্থ, শিশু ও বৃদ্ধ মানুষেরা। নানাজনের
অসুখ-বিসুখ লেগেই আছে। আর চরম বেকায়দায় পড়েছে এই অঞ্চলের কৃষকেরা। তাদের আশানুরূপের
অতিরিক্ত ফলন পেয়েছে এবারের বোরো ধান আবাদ করে। তাই তারা লু-হাওয়া আর প্রচন্ড খরতাপকে
উপেক্ষা করে বোরো ধানের জমিতে ধান কাটা ও মাড়াইতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। তাদের উভয়
সঙ্কট হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান আবহাওয়া। অপরদিকে উপজেলার সর্বত্রই পল্লী বিদ্যুতের ঘন
ঘন লোডশেডিং আর ভেলকিবাজিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখাসহ নানা ইলেক্টোনিক্স
সামগ্রী, বিশেষ করে কম্পিউটার, ফ্রিজ ও তার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে
ব্যবহারকারীরা। এমনিতেই বর্তমান আবহাওয়ায় বেকায়দায় জনজীবন; তারপরে বিদ্যুতের যাওয়া-আসা
খেলার শেষ কোথায় পথ খুঁজে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষেরা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৈশ্বিক
উষ্ণতা ও আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবে এ বছর গরমের প্রকোপটি বেশি। তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ
তাই জনগণ।
এ বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাবাকে নিয়ে গেছি হাসপাতালে
সেখানেও বিদ্যুৎ নেই। একে তো গরম তার মধ্যে বিদ্যুৎ নেই এ পরিস্থিতিতে বাইরে এসে গাছের
ছায়ায় দাঁড়ানোর জন্য এলে সেখানেও ভ্যাপসা গরম আর লু-হাওয়ায় বাবার যেন প্রাণ য়ায় অবস্থা।
মাটিতে আর্দ্রতা না থাকা, ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাওয়াসহ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে
এ বছর গরমের স্থায়িত্ব বেশি। এছাড়াও রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপদাহ।
আম্রকাননের ছায়ায় কাঁৎ হয়ে শুয়ে থাকা জনৈক বাবু বলেন, এখানে শুয়ে আছি একটু বাতাসের
জন্য।
সূত্রটি আরো বলছে, চলতি মাসে তাপমাত্রা খুব
বেশি কমার সম্ভাবনা নেই বললে চলে। অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের ব্যাপারে জিএম শাহনেওয়াজের
সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যুতের চাহিদা যে হারে বেড়েছে সে অনুপাতে আমরা সে পরিমাণ
বিদ্যুৎ না পাওয়ায় পরিস্থিতি বুঝে অবস্থার ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।
No comments:
Post a Comment