“কেহ চিৎকার করিতে লাগিল, “মার, মার নেড়ে
মার।” কেহ গাহিল,
“হরে মুরারে মধুকৈটভারে!” কেহ গাহিল, “বন্দে মাতরম।” কেহ বলে, “ভাই, এমন দিন
কি হইবে, মসজিদ ভাঙ্গিয়া রাধামাধবের মন্দির গড়িব?” (আনন্দমঠ, তৃতীয় খ-, অষ্টম পরিচ্ছেদ)
‘আনন্দমঠ’কে বলা হয় হিন্দুদের পলিটিক্যাল ডকট্রিন। আজকের ভারতে যে উগ্র
হিন্দুত্ববাদ, তার শেকড় নিহিত রয়েছে চরম মুসলিমবিদ্বেষী বঙ্কিমচন্দ্রের রচিত
‘আনন্দমঠে’। সুতরাং এর মধ্যে যেই ‘মসজিদ ভাঙ্গিয়া রাধামাধবের
মন্দির’ বানানোর উল্লেখ রয়েছে,
তা মূলত গোটা হিন্দু সম্প্রদায়েরই
জাতিগত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এর ধারাবাহিকতাতেই বাবরি মসজিদ ভেঙে সেখানে রামমন্দির তৈরি
করার হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বর্তমানে বিজেপি’র উগ্র হিন্দুরা।