“একদিন একটা ঘটনা আমার মনে দাগ কেটে দিয়েছিল, আজও সেটা ভুলি নাই। আমার এক বন্ধু ছিল ননীকুমার দাস। ... ও ওর কাকার বাড়িতে থাকত। একদিন ওদের বাড়িতে যাই। ও আমাকে ওদের থাকার ঘরে নিয়ে বসায়। ওর কাকীমাও আমাকে খুব ভালবাসত। আমি চলে আসার কিছু সময় পর ননী কাঁদো কাঁদো অবস্থায় আমার বাসায় এসে হাজির। আমি বললাম, “ননী কি হয়েছে?” ননী আমাকে বলল, “তুই আর আমাদের বাসায় যাস না। কারণ, তুই চলে আসার পর কাকীমা আমাকে খুব বকেছে তোকে ঘরে আনার জন্য এবং সমস্ত ঘর আবার পরিষ্কার করেছে পানি দিয়ে ও আমাকেও ঘর ধুতে বাধ্য করেছে।” (সূত্র: অসমাপ্ত আত্মজীবনী, শেখ মুজিবুর রহমান, পৃষ্ঠা ২৩)
কেউ যদি শেখ সাহেবের আত্মজীবনী পড়া শুরু করেন, তাহলে প্রথমেই তিনি খেয়াল করবেন যে তিনি হিন্দুদেরকে একদমই সহ্য করতে পারতেন না। কারণ হিন্দুরা জাড়িগতভাবে চাটুকার প্রতারক ও বিশ্বাসঘাতক। বঙ্গবন্ধু তাঁর আত্মজীবনী শুরুই করেছেন হিন্দুদের বিরোধিতা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ সাহেব তাঁর আত্মজীবনীর প্রথমেই বলেছেন যে, তার পিতৃপুরুষদের বহু ভূ-সম্পত্তি ছিল। কিন্তু ব্রিটিশদের সহায়তায় রাসমণি নামে এক হিন্দু মহিলা জমিদারের চক্রান্তে শেখ পরিবার তাদের সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে ফেলে। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুকে তার জীবনের প্রথম জেল খাটতে হয়েছিল হিন্দুদের মিথ্যা মামলায় কারণে । তিনি তার আত্মজীবনীতে নিজের প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে, “ভীষণভাবে হিন্দু জমিদার ও বেনিয়াদের আক্রমণ করতাম। একসাথে লেখাপড়া করতাম, একসাথে বেড়াতাম, বন্ধুত্বও ছিল হিন্দুদের অনেকের সাথে। আমার বংশও খুব সম্মান পেত হিন্দু-মুসলমানদের কাছ থেকে। কিন্তু আমি যখন কোনো হিন্দু বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যেতাম, আমাকে অনেক সময় তাদের ঘরের মধ্যে নিতে সাহস করত না আমার সহপাঠীরা।”
বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যেভাবে দেশের প্রত্যেকটি প্রশাসনিক স্তরে মুসলমানদের অগ্রাহ্য করে হিন্দুদেরকে প্রাধান্য দিচ্ছে, তাতে করে বলা চলে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সম্পূর্ণ উল্টো পথে চলছে। আওয়ামী লীগ যদি হিন্দুদের বাহ্যিক ভলোমানুষি দেখে তাদেরকে আপন মনে করে, সেক্ষেত্রে তারা যেন শেখ সাহেবের বাল্যবন্ধু ঐ ননীকুমারের ‘কাকীমা’র বিষয়টি ফিকির করে। বিষয়টি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই আয়াত শরীফখানার সাথে তুলনীয়, “কাফিররা মুসলমানদের সম্মুখে আসলে বলে- ‘আমরা বিশ্বাস করি’ (অর্থাৎ কপট মুহব্বত প্রদর্শন করে)। কিন্তু যখন তারা নিজেরা পরস্পর মিলিত হয়, তখন তারা মুসলমানদের প্রতি ঘৃণায় নিজেদের হাতের আঙুলগুলো কামড়াতে থাকে।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
উক্ত ‘কাকীমা’ যেভাবে শেখ সাহেবের উপস্থিতিতে মেকি ভালোমানুষি দেখিয়েছিল, ঠিক সেভাবেই হিন্দুরাও সামনাসামনি আওয়ামী লীগের প্রতি কপট আনুগত্য দেখাচ্ছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে উক্ত ‘কাকীমা’র মতোই এদেশের হিন্দুরা আওয়ামী লীগ ও তার মুসলমান নেতাকর্মীদেরকে অস্পৃশ্যজ্ঞান করে ঘৃণা করে থাকে, যা আওয়ামী লীগের বর্তমান সংশ্লিষ্টরা তাদের আক্বল-সমঝের ত্রুটির জন্য বুঝতে পারছে না।
কেউ যদি শেখ সাহেবের আত্মজীবনী পড়া শুরু করেন, তাহলে প্রথমেই তিনি খেয়াল করবেন যে তিনি হিন্দুদেরকে একদমই সহ্য করতে পারতেন না। কারণ হিন্দুরা জাড়িগতভাবে চাটুকার প্রতারক ও বিশ্বাসঘাতক। বঙ্গবন্ধু তাঁর আত্মজীবনী শুরুই করেছেন হিন্দুদের বিরোধিতা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ সাহেব তাঁর আত্মজীবনীর প্রথমেই বলেছেন যে, তার পিতৃপুরুষদের বহু ভূ-সম্পত্তি ছিল। কিন্তু ব্রিটিশদের সহায়তায় রাসমণি নামে এক হিন্দু মহিলা জমিদারের চক্রান্তে শেখ পরিবার তাদের সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে ফেলে। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুকে তার জীবনের প্রথম জেল খাটতে হয়েছিল হিন্দুদের মিথ্যা মামলায় কারণে । তিনি তার আত্মজীবনীতে নিজের প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে, “ভীষণভাবে হিন্দু জমিদার ও বেনিয়াদের আক্রমণ করতাম। একসাথে লেখাপড়া করতাম, একসাথে বেড়াতাম, বন্ধুত্বও ছিল হিন্দুদের অনেকের সাথে। আমার বংশও খুব সম্মান পেত হিন্দু-মুসলমানদের কাছ থেকে। কিন্তু আমি যখন কোনো হিন্দু বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যেতাম, আমাকে অনেক সময় তাদের ঘরের মধ্যে নিতে সাহস করত না আমার সহপাঠীরা।”
বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যেভাবে দেশের প্রত্যেকটি প্রশাসনিক স্তরে মুসলমানদের অগ্রাহ্য করে হিন্দুদেরকে প্রাধান্য দিচ্ছে, তাতে করে বলা চলে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সম্পূর্ণ উল্টো পথে চলছে। আওয়ামী লীগ যদি হিন্দুদের বাহ্যিক ভলোমানুষি দেখে তাদেরকে আপন মনে করে, সেক্ষেত্রে তারা যেন শেখ সাহেবের বাল্যবন্ধু ঐ ননীকুমারের ‘কাকীমা’র বিষয়টি ফিকির করে। বিষয়টি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই আয়াত শরীফখানার সাথে তুলনীয়, “কাফিররা মুসলমানদের সম্মুখে আসলে বলে- ‘আমরা বিশ্বাস করি’ (অর্থাৎ কপট মুহব্বত প্রদর্শন করে)। কিন্তু যখন তারা নিজেরা পরস্পর মিলিত হয়, তখন তারা মুসলমানদের প্রতি ঘৃণায় নিজেদের হাতের আঙুলগুলো কামড়াতে থাকে।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
উক্ত ‘কাকীমা’ যেভাবে শেখ সাহেবের উপস্থিতিতে মেকি ভালোমানুষি দেখিয়েছিল, ঠিক সেভাবেই হিন্দুরাও সামনাসামনি আওয়ামী লীগের প্রতি কপট আনুগত্য দেখাচ্ছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে উক্ত ‘কাকীমা’র মতোই এদেশের হিন্দুরা আওয়ামী লীগ ও তার মুসলমান নেতাকর্মীদেরকে অস্পৃশ্যজ্ঞান করে ঘৃণা করে থাকে, যা আওয়ামী লীগের বর্তমান সংশ্লিষ্টরা তাদের আক্বল-সমঝের ত্রুটির জন্য বুঝতে পারছে না।
No comments:
Post a Comment