কার্বোনেইটেড
পানীয় (কথিত ‘কোমল পানীয়’) শরীরের জন্য খারাপ। তারপরও লোভ সামলানো দায়। কথিত ‘কোমল
পানীয়’ পানের অদম্য আগ্রহকে দমাতে এই ধরনের পানীয়র কয়েকটি ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক
এক ওয়েবসাইট।
দাঁতের ক্ষতি: চিনি
ও অম্লীয় উপাদান দুটোই প্রচুর পরিমাণে থাকে কার্বোনেইটেড পানীয়তে। দুটোই দাঁতের শত্রু।
তাই দাঁতের ক্ষয় ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কথিত ‘কোমল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
ডায়বেটিস ও হৃদরোগ: নিয়মিত কথিত ‘কোমল পানীয় পান করলে টাইপ-টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
আমেরিকান ডায়েট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে
এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব, তবে পুরোপুরি নাকচ করা সম্ভব হয় না। একই গবেষণায় আরো জানা যায়,
কথিত কোমল পানীয় ‘মেটাবলিক সিন্ড্রোম’ বা বিপাকীয় প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি
বাড়ায়, যা ক্রমেই ঠেলে দেয় হৃদরোগের দিকে। আছে উচ্চ রক্তপচাপের আশঙ্কাও।
বৃক্ক ও যকৃৎ: প্রতিদিন
একবার কার্বোনেইটেড পানীয় (কথিত ‘কোমল পানীয়’) খাওয়া কিডনি বা বৃক্কে পাথর হওয়া এবং
অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত করার জন্য যথেষ্ট। যকৃতের (লিভার) বিভিন্ন রোগের
জন্যও বিশেষভাবে দায়ী কথিত কোমল পানীয়। স্থূলতা এবং হাড়ের ক্ষয়ও কথিত কোমল পানীয় পানের
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।
অর্থের অপচয়: কথিত কোমল পানীয়ের দাম বেশি। সুতরাং এর পেছনে অর্থ ব্যয় নিরেট অপচয়। তাই
এর পেছনের অর্থ অপচয় না করে একই খরচে ডাবের পানি, তাজা ফলের শরবত পান করার চেষ্ট করতে
হবে। একটু ভিন্ন স্বাদ পেতে চাইলে মসলা চা, গ্রিন-টি বেছে নিতে পারেন। এতে একদিকে স্বাস্থ্য
ভালো থাকবে, অপরদিকে নিম্নবিত্ত ডাব বিক্রেতা, শরবত বিক্রেতাও উপকৃত হবে।
পরিবেশগত সমস্যা: সমস্যাটি আমাদের সরাসরি প্রভাবিত না করলেও, ছোটখাট অবহেলার কারণেই পরিবেশের
ক্ষতি হয়। কার্বোনেইটেড পানীয় তৈরিতে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়, এ থেকে সৃষ্ট বর্জ্যও
যায় পানিতেই। অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি ক্যান পুরোপুরি রিসাইকেল করা সম্ভব হয় না। আবার
অ্যালুমিনিয়াম সংগ্রহের প্রক্রিয়াও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আর যেখানে সেখানে কথিত কোমল
পানীয়ের বোতল, ক্যান ফেলার কুপ্রভাব তো আছেই। সূত্র- রয়টার্স।
No comments:
Post a Comment