মহান আল্লাহ পাক তিনি
আহলে বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্পর্কে ইরশাদ
মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট
কোনো প্রতিদান চাই না। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইত শরীফ ও আওলাদগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ: পবিত্র আয়াত
শরীফ ২৩)
এ পবিত্র আয়াত শরীফ
উনার ব্যাখ্যায় বিশ্বখ্যাত তাফসীর “তাফসীরে মাযহারী” ৮ম জিলদ ৩২০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি তোমাদের নিকট প্রতিদান চাই না, তবে তোমরা আমার নিকটাত্মীয়, আহলে বাইত শরীফ ও বংশধর বা আওলাদগণ উনাদের (যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক) হক্ব
আদায় করবে।
উল্লেখ্য, সুলতানুল মাশায়িখ, ইমামুল মুহসিনীন, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম তিনি সেই হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
ষষ্ঠ ইমাম ও নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ আওলাদগণ উনাদের অন্তর্ভুক্ত।
হযরত আহলে বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম উনার মুবারক নাম হচ্ছে ‘জাফর’। যার অর্থ সাগর। সত্যিকার অর্থে তিনি
ছিলেন, ইলম, আক¦ল, সমঝে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাদের মা’রিফাত-মুহব্বত প্রাপ্তিতে সাগরতুল্য। মুবারক কুনিয়াত-
আবু আবদিল্লাহ ও আবু ইসমাঈল। ‘ছাদিক্ব’ হচ্ছে উনার খাছ লক্বব মুবারক।
আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের ষষ্ঠ ইমাম,
ইমামুল মুহসিনীন, সুলতানুল মাশায়িখ, ইমামুছ ছিদ্দীক্বীন,
ফখরুল আশিক্বীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জাফর ছাদিক্ব আলাইহিস
সালাম তিনি ৯৬ হিজরী সনে পবিত্র মদীনা শরীফ-এ বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। এ মতটিই অধিক ছহীহ
এবং নির্ভরযোগ্য।
মূলত, কিতাবে উনার বেমেছাল ছানা-ছিফত, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান বর্ণিত রয়েছে। তিনি ১৪৮ হিজরী সনে
এই রজবুল হারাম মাসেরই ১৪ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ পবিত্র মদীনা
শরীফ-এ পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। যা এ বছরের জন্য অর্থাৎ ১৪৩৪ হিজরী সনের জন্য ২৬ ছানী আশার ১৩৮০ শামসী, ২৫ মে ২০১৩ ঈসায়ী, ইয়াওমুস সাবতি বা শনিবার। তাই এ মুবারক দিনটি মর্যাদা-মর্তবার
সাথে পালন এবং মুবারক দিনটির মর্যাদা ও মর্তবা অনুধাবনের জন্য এবং এ মুবারক দিনের ফাযায়িল-ফযীলত
তুলে ধরার উদ্দেশ্যে সবাইকে আলোচনা মজলিস করতে হবে; যাতে সকলে এ সমস্ত নিয়ামতের অধিকারী হতে পারে।
কাজেই মুসলমান হিসেবে
প্রত্যেক মুসলমান সরকারের তো অবশ্যই এমনকি গায়ের মুসলমান সরকারেরও উচিত- ইসলামী ঐতিহ্য
ও ফযীলতযুক্ত এ দিবসের মর্যাদা অনুধাবনে ও ফযীলত আহরণের সুবিধার্থে সরকারিভাবে ছুটি
ঘোষণা করা।
No comments:
Post a Comment