আওয়ামীদের কি ক্বওমী ভক্তি এখনো ছুটবে না ॥ আর কত দুধ-কলা দিয়ে কাল সাপ পোষা হবে?

মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতীমখানা, ভোলাহাট শাখার জন্য মৌসুমী বোরো ধানের উশর আদায় লক্ষ্যে গণসংযোগ করতে আমরা এবছর অত্র মাদরাসা কমিটির কিছু লোক মাঠে নেমেছিলাম। হেফাজতে ইসলাম নাম ধারণকারী  হেক্বারতের ৫ মে’র (২০১৩ ঈসায়ী) তান্ডবের আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছিলো তখন সর্বত্র।  হেক্বারতী কওমীরা যে পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়িয়েছে, গরিব হকারদের সবকিছু জ্বালিয়ে দিয়েছে, দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে- তা সাধারণ জনগণ অনেকটা উপলব্ধি করলেও স্থানীয় আওয়ামীরা বুঝতে অক্ষম হয়েছে।

৭ মে ২০১৩ ঈসায়ী তারিখে সকালে আমরা উশরের ধানের বিষয়ে যখন গণসংযোগ করছিলাম, তখন এক লোক প্রকাশ্যে বলেই ফেললো যে, “এবার ধানের উশর হেফাজত তথা হেকারত কওমীদের দিব না”। আরেকদিন ভোলাহাটের স্থানীয় দুইজন পীরভাই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তখন এক লোক আরেকজনকে দেখিয়ে বলে যে, “আল বাইয়্যিনাত-এর লোকদেরকে ধান দিবা। হেফাজতী তথা হেকারতী কওমীদেরকে নয়। হেফাজতী তথা হেকারতী ক্বওমীরা বোমা মারে, এদেরকে ধান দেয়া যাবে না।” এ রকম অনেক আলোচনা হতে থাকে ভোলাহাটের যেখানে-সেখানে। কিন্তু আওয়ামী নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা আমাদেরকেও উশরের ধান দেয়ার কথা বলে সাথে সাথে হেক্বারতী ক্বওমীদেরকেও দেয়ার কথা ব্যক্ত করে।
মূলত, গদির লোভ আওয়ামীদেরকে অন্ধ করে দিয়েছে। আওয়ামীরা এখনো মনে করে হেক্বারতীরা তাদেরকে ভোট দিয়েছে এবং দিবে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে- হেক্বরতীরা আওয়ামীদের কোনোও দিন ভোট দেয়নি, দিবেও না কোনোও দিন। হেক্বারতীরা যতই জোট করুক তারা বিএনপি-জামাত ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দেয়নি, ভবিষ্যতেও দিবেও না।
আওয়ামীদের শুধু দুধ-কলা দিয়ে কাল সাপ পোষা হবে কিন্তু লাভ হবে না কোনোও দিন। সে সাপ খোদ আওয়ামীদেরকেই অতীতে দংশন করেছে, বর্তমানে করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সুতরাং এখনই সাবধান হওয়া দরকার আওয়ামীদের। না হলে শেষ অস্তিত্বটুকুও হারাতে হবে।