সমস্ত
মাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাস
অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম হচ্ছে মহাপবিত্র
রবীউল আউওয়াল শরীফ।
গতকাল ইয়াওমুল খামীসি দিবাগত সন্ধ্যায়
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কক্সবাজার,
ফেনী, বরিশাল, চট্টগ্রাম- এসব অঞ্চলের প্রতিনিধিরা
মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ
মাস উনার চাঁদ দেখা
যাওয়ার খবর পরিবেশন করেছেন। অর্থাৎ
আজ ইয়াওমুল জুমুয়াতি বা জুমুয়াবার পহেলা
রবীউল আউওয়াল শরীফ।
সে অনুযায়ী আগামী ১৬ ছামিন
১৩৮১ শামসী (১৪ জানুয়ারি
২০১৪ ঈসায়ী), ইয়াওমুছ ছুলাছায়ি বা মঙ্গলবার পালিত
হবে কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ
ঈদ, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে
ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে
ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে
মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম।
উল্লেখ্য,
১৪৩৫ হিজরী সনের মহাপবিত্র
রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস
উনার চাঁদ দেখার সংবাদ
পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে
সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য গতকাল ইয়াওমুল
খামীসি দিবাগত সন্ধ্যায় ‘আনজুমানে
আল বাইয়্যিনাত রুইয়াতে হিলাল মজলিস’ উনার
এক পর্যালোচনা সভা পবিত্র রাজারবাগ
শরীফ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
তাই আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত রুইয়াতে
হিলাল মজলিস উনার মহাসম্মানিত
প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক- খলীফাতুল্লাহ,
খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামে আ’যম,
মুজাদ্দিদে আ’যম ঢাকা
রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ
হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি চাঁদ
দেখার সংবাদ আলোচনা-পর্যালোচনা
শেষে আজ ০৫ ছামিন
১৩৮১ শামসী (০৩ জানুয়ারি
২০১৪ ঈসায়ী), ইয়াওমুল জুমুয়াতি বা জুমুয়াবার থেকে
১৪৩৫ হিজরী সনের মহাপবিত্র
ও মহা বরকতময় রবীউল
আউওয়াল শরীফ মাস উনার
পহেলা তারিখ মুবারক গণনার
ঘোষণা দেন।
সুতরাং
সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম মহাপবিত্র রবীউল
আউওয়াল শরীফ মাস উনার
পহেলা তারিখ মুবারক আজ
ইয়াওমুল জুমুয়াতি বা জুমুয়াবার।
আর মহাসম্মানিত ১২ রবীউল আউওয়াল
শরীফ মুতাবিক ১৬ ছামিন ১৩৮১
শামসী (১৪ জানুয়ারি ২০১৪
ঈসায়ী), ইয়াওমুছ ছুলাছায়ি বা মঙ্গলবার পালিত
হবে সারা কায়িনাতের সকলের
সবচেয়ে খুশির, সবচেয়ে আনন্দের,
মুসলিম উম্মাহর রহমত, বরকত ও
সাকীনা মুবারকের এক সুমহান দিন-
সমস্ত ঈদের সেরা ঈদ
তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে
ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে
ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে
মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম।
মহান আল্লাহ পাক তিনি
পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ
উনার ৫৮ নম্বর পবিত্র
আয়াত শরীফ উনার মধ্যে
ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে
আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, মহান
আল্লাহ পাক উনার ফযল
ও রহমত অর্থাৎ আমাকে
পাওয়ার কারণে তোমাদের উচিত
ঈদ বা খুশি প্রকাশ
করা। অর্থাৎ
পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
পালন করা।”
মূলত,
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্
সালামগণ উনাদের মুবারক আগমন
ও বিদায় এবং বিশেষ
ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিন,
তারিখ, বার এবং মাস
উম্মাহর জন্য ঈদ বা
খুশি প্রকাশের মহান উপলক্ষের অন্তর্ভুক্ত।
কাজেই
মহান আল্লাহ পাক জাল্লা
শানুহু তিনি আমাদের জন্য
তথা সারা আলমের জন্য
উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
‘উসীলায়ে কুবরা’ তথা সবচেয়ে
বড় উসীলা বানিয়েছেন।
মহান আল্লাহ পাক উনার
হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
সারা আলমের জন্য রহমতুল্লিল
আলামীনরূপে প্রেরণ করেছেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
আগমন তথা বিলাদত শরীফ
এবং উনার মুবারক বিছাল
শরীফ দিবসও সারা আলমের
জন্য মহান আল্লাহ পাক
উনার রহমত এবং ফজল
ও করম স্বরূপ।
তাই জিন-ইনসানসহ কুল-কায়িনাতের জন্য সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে
আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে
আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন
নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
পালন করা এবং এ
উপলক্ষে সাধ্যমতো খরচ করা ফরয।
No comments:
Post a Comment