Wednesday, January 15, 2014

সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত মা আমিনা আলাইহাস সালাম উনার রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ উনার অনুবাদ ও শাব্দিক অর্থ


وَاِنَّكَ لَعَلٰى خُلُقٍ عَظِيْمٍ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই আপনি সর্বোত্তম চরিত্র উনার অধিকারী।” (পবিত্র সূরা ক্বলম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)
পবিত্র হামদ শরীফ, পবিত্র না’ত শরীফ, পবিত্র ক্বাছীদা শরীফ লেখা, পাঠ করা, পাঠ করতে সাহায্য করা, শ্রবণ করা ইত্যাদি সবকিছুই খাছ সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অন্তর্ভুক্ত। বাংলায় যাকে গযল ও কবিতা বলা হয়। তবে এসব ক্ষেত্রে গান ও সংগীত শব্দগুলো ব্যবহার করা হারাম নাজায়িয। কারণ, পবিত্র দ্বীন ইসলামে গান ও সংগীত বলতে কিছু নেই। গান, গীতি ও সংগীত শয়তানী ইবলীসী কার্যকলাপ। যা সম্মানিত শরীয়তে সম্পূর্ণ নাজায়িয ও হারাম।

কাব্য ও ছন্দের মিলের মাধ্যমে আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করাকে হাম্্দ শরীফ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রশংসা মুবারক করাকে না’ত শরীফ এবং আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের প্রশংসা মুবারক করাকে মাদ্্হ বা ক্বাছীদা শরীফ বলা হয়। তবে ক্বাছীদা শরীফ দ্বারা সকলপ্রকার দ্বীনী কাব্য ও ছন্দকেও বুঝানো হয়ে থাকে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রশংসামূলক কাব্যের ব্যাপারেও পবিত্র ক্বাছীদা শরীফ শব্দটি ব্যবহার করতে দেখা যায়। মূলত পবিত্র হামদ শরীফ, পবিত্র না’ত শরীফ, পবিত্র মাদ্্হ শরীফ (আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের প্রশংসা) ও দ্বীনী সকল প্রকার অন্তমিলযুক্ত কাব্যকে ‘ক্বাছীদা শরীফ’ বলে। অর্থাৎ ক্বাছীদা শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহার হয়।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্্ নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা শ্রদ্ধেয়া আম্মা খাইরাতুল উম্মাহাত, ত্বাহিরা, ত্বইয়্যিবাহ, মুনাওওয়ারাহ, যাকিয়্যাহ হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম স্বীয় আওলাদ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে প্রশংসামূলক যে না’ত শরীফ বা ক্বাছীদা শরীফ পাঠ করেছিলেন তা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুবারক না’ত শরীফ হিসেবে গণ্য ও পরিচিত। যা তিনি স্বীয় ইন্তিকাল মুবারক উনার অল্পক্ষণ পূর্বে পাঠ (আবৃত্তি) করেছিলেন। যা ১০ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ আল্লামা হযরত ইমাম আবুল ফদ্বল আব্দুর রহমান আবূ বকর জালালুদ্দীন সুয়ূতী শাফিয়ী আশয়ারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ-৯১১) উনার ‘আল খছায়িছুল কুবরা- বাবুন মা ওয়াক্বায়া ইনদা ওয়াফাতি উম্মিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিনাল আইয়াত’ ১ম খন্ড ১৩৫-১৩৬ পৃষ্ঠা এবং ‘কিতাবুল আযীম ওয়াস সুন্নাহ’ কিতাবে সঙ্কলন করেছেন। নিম্নে উক্ত মুবারক না’ত শরীফ বা ক্বাছীদা শরীফ উল্লেখ পূর্বক তার সহজ অনুবাদ ও শাব্দিক অর্থ উল্লেখ করা হলো।
اخرخ ابو نعيم من طريق الزهرى عن ام سماعة بنت ابى رهم عن أمها قالت: شهدت امنة ام رسول الله صلى الله عليه و سلم في علتها التى ماتت فيها ومحمد غلام يقع له خمس سنين عند راسها فنظرت إلى وجهه ثم قالت:بارك فيك الله من غلام
يا ابن الذى من حومة الحمام
نجا بعون الملك المنعام
فودى غداة الضرب بالسهام
بمائة من ابل سوام
ان صح ما ابصرت فى الـمنام
فانت مبعوث الى الانام
من عند ذى الجلال والاكرام
تبعث فى الحل و فى الحرام
تبعث با لتحقيق والاسلام
دين ابيك البر ابراهام
فالله انهاك عن الاصنام
ان لا تواليها مع الاقوام
ثم قالت:
كل حى ميت وكل جديد بال
وكل كبير يفنى وانا ميتة وذكرى باق
وقد تركت خيرا وولدت طهرا
ثم ماتت فكنا نسمع نوح الجن عليها فحفظنا من ذلك:
نبكى الفتاة البرة اللامينة
ذات الجمال العفة الرزينة
زوجة عبد الله والقرينة
ام نبى الله ذى السكينة
وصاحب المنبر بالمدينة
صارت لدى حفرتها رهينة
(كفاية الطالب اللبيب فى خصائص الحبيب الـمعروف الخصائص الكبرى للسيوطى رحمة الله عليه باب ما وقع عند وفاة امه صلى الله عليه وسلم من الايات الجلد ۱ الصفحة ۱۳۶-۱۳۵)
অনুবাদ: হযরত আবূ নুয়াইম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত তাবিয়ী ইমাম ইবনু শিহাব যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। হযরত উম্মু সামায়াহ বিনতু আবী রহম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি উনার মাতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন: আমি সাইয়্যিদুনা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান বিছাল শরীফ উনার (ইন্তিকালের) সময় উনার নিকটে উপস্থিত ছিলাম। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বয়স মুবারক তখন ছিলো পাঁচ বছর (কিন্তু মশহূর বর্ণনা মতে ৬ বছর)। তিনি উনার মায়ের মাথা মুবারক উনার পাশেই বসা ছিলেন। আর এমতাবস্থায় উনার মা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরানী চেহারা মুবারক উনার দিকে তাকিয়ে না’ত শরীফ পাঠ করছিলেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুবারক না’ত শরীফখানা হলো-
۱. بارك فيك الله من غلام
يا ابن الذى من حومة الحمام
۲. نجا بعون الملك المنعام
فودى غداة الضرب بالسهام
۳. بمائة من ابل سوام
ان صح ما ابصرت فى المنام
۴. فانت مبعوث الى الانام
من عند ذى الجلال والاكرام
۵. تبعث فى الحل و فى الحرام
تبعث با لتحقيق والاسلام
۶. دين ابيك البر ابراهام
فالله انهاك عن الاصنام
۷. ان لا تواليها مع الاقوام
ان لا تواليها مع الاقوام
۸. كل حى ميت وكل جديد بال
وكل كبير يفنى وانا ميتة وذكرى باق
۹. وقد تركت خيرا وولدت طهرا
وقد تركت خيرا وولدت طهرا
১. হে আমার যোগ্য পুত্র, মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে বরকতময় করে সৃষ্টি করেছেন। হে আমার যোগ্য পুত্র আমার বিদায়ের সময় আমি তা বলে যাচ্ছি। শাব্দিক অর্থ : الله – আল্লাহ পাক, بارك – বরকতময় করেছেন, غلام – আমার পুত্র, حومة – ইন্তিকালের সময়, বিদায়ের মুহূর্ত, মউতকালীন অবস্থা, الحمام – আমার ইন্তিকাল বা বিদায়।
২. আল্লাহ মালিক মিনয়াম উনার অনুগ্রহে লটারীর সময় উটের বিনিময়ে আমার জীবন সঙ্গী (অর্থাৎ আপনার পিতা) বেঁচে যান।
শাব্দিক অর্থ :
نجا Ñ নাজাত পেয়েছেন, বেঁচে গিয়েছেন, عون Ñ অনুগ্রহ, দয়া, রহমত, সাহায্য, الملك Ñ সবকিছুর অধিপতি মহান আল্লাহ পাক, মালিক, المنعام Ñ নিয়ামতের মালিক, নিয়ামত দানকারী, অনুগ্রহকারী فودى Ñ আমার জীবন সঙ্গী বা স্বামী, দিক, পক্ষ, দল, বাহিনী غداة Ñ সময়, সকাল, ভোর الضرب Ñ লটারী, ভাগ্য, প্রহার, উদাহরণ (এ শব্দটি অবস্থার চাহিদানুযায়ী অনেক অর্থ প্রদান করে) السهام Ñ উট।
৩. একশত তরুতাজা উটের বিনিময়ে (আপনার পিতা) বেঁচে যান। আর আমি যা মুবারক স্বপ্নে দেখেছি নিশ্চয়ই তা সত্য। তা হলো-
শাব্দিক অর্থ : مائة Ñ একশত, ১০০, ১শ’ ابل Ñ উট سوام Ñ তরুতাজা, হৃষ্টপুষ্ট, সুস্থ, রোগহীন ان Ñনিশ্চয়ই, অবশ্যই صح Ñ সত্য, মিথ্যা নয় ما Ñ যা, যা কিছু ابصرت Ñ আমি দেখেছি فى Ñ মধ্যে, ভিতরে المنام Ñ স্বপ্নে, ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে।
৪. আপনি সমস্ত সৃষ্টি জগতের জন্য নবী ও রসূলরূপে প্রেরিত হয়েছেন। মহা সম্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকেই প্রেরিত হয়েছেন।
শাব্দিক অর্থ : انت – আপনি, مبعوث – নবী ও রসূল রূপে প্রেরিত, الانام – সৃষ্টিজগৎ, মানবজাতি ও জিন জাতি, عند – পক্ষ থেকে ذى – অধিকারী, الجلال والاكرام – মহিমা, মহত্ত্ব, বড়ত্ব, মর্যাদা, সম্মান।
৫. আপনাকে নবী ও রসূলরূপে পাঠানো হয়েছে মদীনা শরীফ মক্কা শরীফ ও সারা দুনিয়াবাসীদের মধ্যে। আপনাকে নবী ও রসূলরূপে পাঠানো হয়েছে হক্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
শাব্দিক অর্থ : تبعث – আপনাকে নবী রসূল ও রহমত স্বরূপ পাঠানো হয়েছে, الحل – মক্কা শরীফ-এর এক বিশেষ স্থান الحرام – মদীনা শরীফ ও মক্কা শরীফ, التحقيق – হক্ব, সত্য দ্বীন, الاسلام – দ্বীন ইসলাম, সম্মানিত শরীয়ত।
৬. আপনি আপনার পিতা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সত্য দ্বীন নিয়ে এসেছেন (যা মূলত আপনার থেকেই উনাকে দান করা হয়েছিলো)। আর মহান আল্লাহ পাক আপনার সম্মান-মর্যাদার কারনেই আপনার উম্মতদেরকে মূর্তিপুজা থেকে রক্ষা করবেন।
শাব্দিক অর্থ : دين – দ্বীন ইসলাম, ابيك – আপনার পিতা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম, البر – সত্য, ন্যায়, সঠিক ابراهام – হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার দ্বীন انهاك – আপনার দ্বারা ধ্বংস করবেন, নিশ্চিহ্ন করবেন, اصنام – মূর্তিসমূহ, মূর্তিপূজা, প্রাণীর ছবি, ভাস্কর্য।
৭. যেনো মূর্তি-ভাস্কর্যের অনুশীলন সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা যমীনে কেউ না করে। যদিও মুশরিক সম্প্রদায় পূর্ব থেকে তার অনুশীলন করে আসছে।
শাব্দিক অর্থ: ان لا توالى- যেনো অনুশীলন না করে, যেনো সমর্থন না করে, যেনো পৃষ্ঠপোষকতা না করে, ها- উহার অর্থাৎ মূর্তি ও ভাস্কর্যের مع- যদিও, সত্ত্বেও, সঙ্গে, সাথে, সহিত, সহকারে, সহযোগে الاقوام- সম্প্রদায়, জাতি, দল, গোত্র (এখানে মুশরিক সম্প্রদায় উদ্দেশ্য)।
৮. প্রতিটি প্রাণীর একদিন মউত হবে। তেমনি প্রতিটি নতুন বস্তু পুরাতন হবে।
প্রত্যেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা একদিন ইন্তিকাল করবেন। আর আমিও (মধ্যবয়স্কা) বিদায় গ্রহণ করে চলে যাচ্ছি। কিন্তু আমার প্রশংসনীয় আলোচনা অনন্তকাল ধরে অবশিষ্ট থাকবে।
শাব্দিক অর্থ : كل – প্রত্যেক, সকল, সব, সমস্ত حى – প্রাণী, জীবনধারী ميت – মউত, বিছাল, বিদায়, ইন্তিকাল, পূর্ণতা, মৃত্যু جديد – নতুন, নব, নবীন, কচি بال – পুরাতন, ফ্যাকাশে, ধ্বংস।
كل -প্রত্যেক, كبير – বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, বড়, বয়সী, শায়েখ, يفنى – ধ্বংস হবে, ফানা হবে, انا – আমি, ميتة – বিদায়, বিছাল, ওফাত, ইন্তিকাল, ذكرى – আমার আলোচনা, আমার স্মরণ, باق – অবশিষ্ট, চলমান, অব্যাহত।
৯. কারণ আমি মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনাকে রেখে যাচ্ছি। আমি আপনাকে পূত-পবিত্র হিসেবে আগমন করতে সাহায্য করেছি।
শাব্দিক অর্থ : تركت – আমি রেখে গেলাম, خيرا – কল্যাণময়, বরকতপূর্ণ, রহমতময়, ولدت – আমি আগমনে সাহায্য করেছি, طهرا – পাক-পবিত্র, পূত-পবিত্র, পবিত্রম।
বর্ণনাকারী বলেন, যখন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করলেন, তখন আমরা মুসলমান জিনদের ক্রন্দন বা আর্তনাদ শুনতে পেলাম। তাই আমরা উনাদের থেকেও না’ত শরীফ মুখস্থ করে নিলাম।
মুসলমান জিনদের পঠিত না’ত শরীফ হলো-
۱. نبكى الفتاة البرة اللامينة
ذات الجمال العفة الرزينة
۲. زوجة عبد الله والقرينة
ام نبى الله ذى السكينة
۳. وصاحب المنبر بالمدينة
صارت لدى حفرتها رهينة
১. আমরা মধ্যবয়স্কা সৎকর্মপরায়ণা হযরত আমিনাহ আলাইহাস সালাম উনার জন্য ক্রন্দন করছি। যিনি সৌন্দর্যের অধিকারিনী পবিত্রা ও জ্ঞানী।
শাব্দিক অর্থ : نبكى অর্থ আমরা ক্রন্দন করছি الفتاة অর্থ মধ্যবয়স্কা, যুবতী البرة Ñসৎকর্মপরায়ণা, সতী-সাধ্বী, পুণ্যময়ী الامينة অর্থ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাতা উনার নাম, বিশ্বাসী, মুত্তাক্বী, আমানতদারিণী, শান্তিময়ী ذات অর্থ অধিকারিনী الجمال অর্থ সৌন্দর্য, সুন্দর العفة অর্থ পবিত্রা, নির্দোষ, সংযমী, চারিত্রিক নিষ্কলুষতা الرزينة অর্থ জ্ঞানী, বিচক্ষণ, মেধাবী, গম্ভীর, চিন্তাশীল।
২. যিনি হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার আহলিয়া ও জীবন সঙ্গিনী। প্রশান্তির অধিকারী মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাতা।
শাব্দিক অর্থ : زوجة অর্থ আহলিয়াহ, যাওজাহ, স্ত্রী।
عبد الله অর্থ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতা উনার নাম, আল্লাহ পাক উনার প্রিয় আব্দ القرينة অর্থ সঙ্গিনী, সাথী, স্ত্রী ام অর্থ মাতা, মা, আম্মা ذى অর্থ মালিক, অধিকারী السكينةঅর্থ প্রশান্তি, শান্তি, দয়া, মায়া, অনুগ্রহ, রহমত।
৩. এমন নবীজি যিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মিম্বর শরীফ উনার অধিপতি। উনার মাতা এখন উনার নির্জন কবর শরীফ-এ যাওয়ার নিকটে উপনিত।
শাব্দিক অর্থ : – صا حبঅধিকারী, মালিক, অধিপতি – المنبر খুতবাহ দেয়ার স্থান, নছীহতের স্থান – المدينة মদীনা শরীফ, পবিত্র শহর, পবিত্র স্থান – صارت উপনিত হয়েছেন – لدى নিকটে, কাছে, কাছাকাছি حفرتها – সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার কবর শরীফ, উনার রওদ্বা শরীফ, উনার মাজার শরীফ, – رهينة নির্জন, একাকী।
চিন্তা ও ফিকিরের বিষয়, হযরত আমিনা ত্বাহিরাহ, ত্বাইয়্যিবাহ আলাইহাস সালাম নিজের মর্যাদার কারণ ও ওসীলা হিসেবে আপন ছেলে সাইয়্যিদুনা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উল্লেখ করলেন। মূলত সমস্ত নিয়ামত মুবারক, রহমত মুবারক, বরকত মুবারক উনার উৎস তিনিই। তিনি যে বস্তুকে বা বিষয়কে মুবারক ছোহবত দিয়েছেন এবং যে জিনিস বা বস্তু উনার ছোহবত অর্জন করেছে সে বিষয় বা বস্তু বরকতময় রহমতপূর্ণ হয়ে গেছে। তেমনিভাবে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পবিত্র ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ ও ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ তারিখ ও বার হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছে উনার বরকতী ছোহবত মুবারক উনার কারণেই। সুবহানাল্লাহ। এজন্য ফতওয়া দেয়া হয়: মহান আল্লাহ পাক উনার যমীনে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ বা খুশি হচ্ছে সাইইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
সর্বশ্রেষ্ঠ ক্বাছীদাহ শরীফ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্ববাসীকে আক্বীদাহ, আমল ও ইখলাছ অর্জনের জন্য বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, আওলাদুর রসূল, মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত হওয়া জরুরী। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেককে কবূল করুন। (আমীন)

1 comment:

Knowledge is power said...

সর্বযুগের, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট নাত শরীফ মা আমিনা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ইল্মে গায়েবে পরিপুর্ন।সুবহানাল্লাহ।

Post a Comment