Thursday, May 22, 2014

দেশব্যাপী নিজস্ব সন্ত্রাসী গ্রুপ ও নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে তাবলীগ নেতা মালানা যোবায়ের ও ওয়াসিফুল ॥ ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

তাবলীগ জামাতের আমির মালানা ওয়াসিফুল ইসলাম তাবলীগ ও কাকরাইল মসজিদ নির্মাণের নামে দেশ-বিদেশ থেকে টাকা তুলে দুই শত কোটি টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক এম মুশফিকুর রহমান চৌধুরী সমর্থিত তাবলীগ জামাতের শিক্ষকেরা। গত ১৮ মে ২০১৪ ঈসায়ী ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় জুবেরী ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকেরা এ অভিযোগ করেছে। সম্প্রতি রাজশাহী মার্কাজ মসজিদে ওয়াসিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে “মুরুব্বিদের জীবন থেকে” নামক বই বিতরণ করতে গেলে ওই মসজিদের অবস্থানরত তাবলীগের উগ্র কর্মীরা রাবির কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে মারধর করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল হাজবেন্ড্রী এন্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ও আরবি বিভাগের শিক্ষক আল আমীনসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভাষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেছে, ওয়াসিকুল ইসলাম তাবলীগের শুরা সদস্য ও আমির পরিচয় বহাল রেখেই চাঁদাবাজি ও রাজনীতি করে যাচ্ছে। সে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের কারণে বিপুলসংখ্যক তাবলীগকর্মীর সমর্থন পাচ্ছে; তবে সম্পূর্ণ তাবলীগ বিভ্রান্ত হচ্ছে। এতে যারা বাধা দিচ্ছে তাদেরকে তাবলীগ বহির্ভূত বলছে। রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে সম্পূর্ণ তাবলীগ কর্মসূচিই লক্ষ্যহারা হয়ে একটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। সে “মুরুব্বিদের জীবন থেকে” বইয়ের বরাত দিয়ে বলেছে, ওয়াসিফুল ইসলাম ও কাকরাইল মসজিদের খতীব মালানা যোবায়ের তাদের অসৎ পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য দেশব্যাপী নিজস্ব সন্ত্রাসী গ্রুপ ও নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।

ওই বইয়ে আরো বলা হয়, মালানা ওয়াসিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল দেশ-বিদেশ থেকে তাবলীগ ও কাকরাইল মসজিদ নির্মাণের নামে প্রচুর টাকা তুলেছে এবং তার সিংহভাগ অর্থাৎ প্রায় দুই শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছ। সে বিদেশ থেকে নিজে টাকা সংগ্রহ করেছে এবং তাকে সহায়তা করেছে তার ছেলে ওসামা ইসলাম। গত ১৫ মে রাতে রাজশাহী মার্কাজ মসজিদে রাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. এম মুশফিকুর রহমান, আরবি বিভাগের ড. জিয়াঊর রহমান খান, ফার্মেসি বিভাগের ড. আলম খান, ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহকারী রেজিস্টার হারুন অর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলো।

No comments:

Post a Comment