====================
উপজাতিদের
পাশাপাশি এবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ৭ মুসলিম নারী-পুরুষকে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিতকরণের
চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গত রোববার ২৫ অক্টোবর-২০১৫
ধর্মান্তরিত হওয়া এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রাপ্ত
তথ্যে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম দোছড়ি ইউনিয়নের অসহায় গরিব
বাসিন্দা আয়াজের ছেলে মতিউর রহমান, নুরুল হাকিমের ছেলে আবছার, সৈয়দ আলম নাগু’র ছেলে দেলোয়ার হোসেন, ছালেহ আহমদের স্ত্রী ছবুরা খাতুন, আলিমউদ্দিনের ছেলে শহিদুল্লাহ ইউনুছ-এর ছেলে ছালেহ আহামদকে
বিভিন্নভাবে প্রলোভন দিয়ে উখিয়ায় বসবাসকারী মিশনারী এজন্টরা খ্রিস্টধর্ম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ
করে আসছিল।
খোঁজ নিয়ে
জানা গেছে, খ্রিস্টান মিশনারীরা ধর্মান্তরকণে নতুন কৌশল অবলম্বন করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজাতিদেরকে সরাসরি খ্রিস্টান মিশনারীরা ধর্মান্তরকরণে প্রলুব্ধ করে আসলেও এখন তারা
কৌশল পাল্টিয়েছে। নগদ টাকা ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে এখন সেই কাজটিই
করাচ্ছে ধর্মান্তরিত হওয়া নামধারী মুসলমানদের দ্বারা। কিন্তু ধর্মান্তরিত হওয়ার কথাটি
কৌশলে গোপন রাখা হয়। যার ফলে ধোঁকা খেয়ে তাদের সমিতিতে যোগ দিচ্ছে সাধারণ মুসলমানরা।
গত ২৫ অক্টোবর-২০১৫
রোববার খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হওয়া এমন ৮ ব্যক্তিকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ
করার পর ৬ জনকে ছেড়ে দেয়া হলেও আনোয়ার হোসেন(৪০)কে আটক করা হয়েছে। পলাতক আছে তার ভাই
সরওয়ার আলম। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্মান্তরিত হওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছে, সমিতির মাধ্যমে আর্থিক ও সামাজিক
সুযোগ-সুবিধা ও সহযোগিতা পাওয়ার প্রলোভনে পড়ে তারা এ কাজে উদ্ধুদ্ধ হয়েছিল। তবে তারা
খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিতকরণের বিষয়টি জানতো না। সমিতির উর্ধ্বতন লোকজন তথা খ্রিস্টান
মিশনারীর কর্মকর্তারা সে কথাও তাদের জানায়নি। গোপন রাখে বিষয়টি।
ধর্মান্তরিত
আটক আনোয়ার পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে কর্মরত তার
বাবা মূলত তাদের ধর্মান্তরিতকরণের কাজে প্রথম উদ্ধুদ্ধ করেছিল। এ ধরাবাহিকতায় গত ১৪
সেপ্টেম্বর-২০১৫ কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকায় দোছড়ি এলাকার এসব অসহায় নাগরিকদের
নিয়ে খ্রিস্টধর্মের গুরুত্বের বিভিন্ন দিক
আলোচনার মাধ্যমে তাদের শরীরে এক প্রকার রক্ত ছিটানো হয়। এলাকায় ফেরার পথে তাদের প্রতিজনকে
৫ শত টাকা করে প্রদান করে মিশনারীজের পক্ষ থেকে এবং তাদের প্রত্যেককে বসতবাড়ি তৈরি
করে দেয়ারও প্রলোভন দেয়। পরে এলাকায় ফিরে এ ঘটনা জনৈক দেলোয়ার হোসেন স্থানীয়দের মাঝে
প্রকাশ করে।
ঘটনার সত্যতা
স্বীকার করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ। দীর্ঘদিন
ধরে গোপনে তারা স্থানীয়দের ধর্মান্তরিতকরণের কাজ করে আসছে। সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পেরে
ধর্মান্তরিতকরণের শিকার ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
এবিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান, অসহায় দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে দোছড়ি এলাকার এসব নাগরিকদের
ধর্মান্তরিতকরণে উদ্ধুদ্ধ করে জনৈক আনোয়ার হোসেন। ঘটনার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা
হচ্ছে বলে তিনি জানান।
No comments:
Post a Comment