Monday, November 14, 2016

একের পর এক পবিত্র জুমুয়াহ শরীফ দিনে খেলার সূচি নির্ধারণ করা হচ্ছে।


.................
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া মুতাবিক "সমস্ত খেলাধুলাই হারাম-নাজায়িয" আর সে অনুযায়ী মুসলমান উনাদের ফরয ছিল সর্বপ্রকার খেলাকে বয়কট করা, খেলা থেকে নিজেকে দুরে রাখা। কিন্তু মুসলমান উনাদের অবস্থা এমন হয়েছে- খেলা থেকে বিরত থাকাতো দুরের কথা নামায-কালাম, রোযা-ইফতার-সাহরী, জুমুয়ার নামায আদায় হোক বা না হোক খেলা যথাসময় দেখতে হবে, উপভোগ করতে হবে। এতে যদি ইসলাম বাদ দিতে হয় তবুও রাজি। (নাউযুবিল্লাহ)

এখন বলার বিষয় হচ্ছে, যারা নিজেকে মুসলমান দাবী করে তাদের তো উচিত ছিল- পবিত্র জুমুয়াহ শরীফ উনার দিন সর্বপ্রকার খেলা থেকে নিজেকে দুরে রাখা। পবিত্র জুমুয়াহ শরীফ দিনটি হচ্ছে- মুসলমান উনাদের ঈদের দিন। যার মর্যাদা হচ্ছে- রোযার ঈদ এবং কুরবানী ঈদের চাইতেও ফযীলতপূর্ণ। তাহলে এমন একটা ফযীলতপূর্ণ দিনে মুসলমান কি করে খেলাতে মশগুল থাকতে পারে।
এখন অনেকে বলতে পারে, খেলার দিন নির্ধারণ তো আমরা করি না, তাহলে আমাদের দোষ কি! অবশ্যই আমাদের দোষ আছে। খেলা যতই পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনে নির্ধারণ করা হোক আমরা যদি জুমুয়ার দিনে মাঠে গিয়ে হোক বা টিভির পর্দায় হোক খেলাকে বয়কট করি এবং তীব্র প্রতিবাদ করি যে, জুমুয়ার দিনে খেলা বন্ধ করা হোক তা না করা হলে কঠোর কর্মসুচির ডাক দেয়া হবে। তবে দেখা যাবে, কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে সর্বপ্রকার খেলাকে পবিত্র জুমুয়াহ শরীফের দিনে বন্ধ রাখবে।
আর রাখতেই হবে কারণ, দর্শক বা স্রোতা ছাড়া কোন খেলাই টিকে থাকতে পারে না। খেলার মুলেই হচ্ছে, স্রোতা থাকা।

কাজেই যারা নিজেকে মুসলমান দাবী করে তাদের অবশ্যই উচিত হবে- পবিত্র জুমার দিনে খেলা থেকে নিজেকে বিরত রাখা এবং তীব্র প্রতিবাদ করা।

No comments:

Post a Comment