হরতাল চলাকালে গত বৃহস্পতিবার ভোলাহাট পোলাডাঙ্গা বাজারের সন্নিহিত জিন্নাহনগর গ্রামের পশ্চিম পাশের আমবাগান থেকে তাড়া করে সম্পূর্ণ বিদ্বেষবশতঃ ও আক্রোশমূলকভাবে বিএনপি-জামাতের দুষ্কৃতিকারীরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পোলাডাঙ্গা হাজীপাড়া গ্রামের মুহম্মদ দাউদ আলীর কনিষ্ঠ ছেলে মুহম্মদ আব্দুর রহমানকে। এ নৃশংস হত্যার ঘটনায় নিহতের মেজ ভাই মুহম্মদ শরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে ভোলাহাট থানায় গত শুক্রবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিএনপি-জামাত জোটের দুর্ধর্ষ ক্যাডার সেন্টুকে (পিতা- মৃত আইয়ুব আলী মাস্টার)।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী এলাকার সাধারণ মানুষরা প্রতিনিধিকে জানান, বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী হামলায় নৃশংসভাবে খুন হওয়া মুহম্মদ আব্দুর রহমান (২২) খুবই সাধারণ ছেলে এবং ভদ্র ও মিশুক ছিলেন। তিনি বর্তমান বিশ্বের একমাত্র হক্ব দরবার শরীফ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার অনুসারী/মুরিদ র্ছিলেন। তিনি বাল্যকালে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতিমখানা ভোলাহাট শাখার (মুন্সিগঞ্জ, বজরাটেক) মক্তবে ভর্তি হয়ে কিছুদিন পবিত্র কুরআন শরীফ শিক্ষা করেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, ঘটনার দিন মুহম্মদ আব্দুর রহমান পোলাডাঙ্গা বাজার সন্নিহিত জিন্নাহনগর গ্রামের পশ্চিম পাশের আমবাগানে ছিলেন। পোলাডাঙ্গা বাজারে তার কোনো দোকান নেই। হরতালের দিন তার সাথে বিএনপি-জামাতের উগ্র পিকেটারদের কোনো কথা কাটাকাটি বা বাক-বিতন্ডা হয়নি। তিনি ছিলেন পাশের আমবাগানে। বিএনপি-জামাতের দুষ্কৃতিকারী পিকেটাররা উগ্র-হিংসাত্মক মিছিল নিয়ে পোল্লাডাঙ্গা বাজারে পৌঁছে অতর্কিত হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তা-ব চালায় এবং বাজারস্থ সাধারণ জনতাকে মারধর করতে থাকে ও লুটপাট চালায়। এমনকি আশেপাশে তাড়া করে যাকে-তাকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিএনপি-জামাতের হিংস্র ক্যাডাররা বাজার সন্নিহিত জিন্নাহনগর গ্রামের পশ্চিম পাশের আমবাগানে অবস্থান করা মুহম্মদ আব্দুর রহমানকে তাড়া করে বিদ্বেষবশতঃ ও আক্রোশমূলকভাবে ফাইজুদ্দিনের বাড়ির পিছনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
সংশোধনী:-
গত ৪ মার্চ শুক্রবার দৈনিক আল ইহসান পত্রিকায় বর্তা সংস্থা এনএনবি’র বরাতে ভোলাহাটে বিএনপি-জামাতের তান্ডবের সংবাদ প্রকাশিত হয়। এনএনবি’র সংবাদে বলা হয়- ...“হরতালকারীরা বাজারে অবস্থিত আবদুর রহমানের দোকানে গিয়ে তাকে দোকান বন্ধ করতে বলে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিত-া শুরু হয়। একপর্যায়ে সেখানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা উপস্থিত হলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।”...
এনএনবি’র সংবাদের এ অংশবিশেষ সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক; পাশাপাশি তথ্য বিভ্রাট ঘটেছে এ সংবাদে। দৈনিক আল ইহসান পত্রিকার নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, মূলত পোলাডাঙ্গা বাজারে আব্দুর রহমানের কোনো দোকান নেই এবং উগ্রবাদী মিছিল আসার সময় তিনি বাজারেই ছিলেন না। হরতালের মিছিলকারী কোনো ক্যাডারের সাথে তার কোনো বাকবিতন্ডা বা কথা কাটাকাটি হয়নি। তিনি তখন পার্শ্ববর্তী আমবাগানে ছিলেন। বিএনপি-জামাতের দুর্ধর্ষ ক্যাডাররা সম্পূর্ণ বিদ্বেষবশতঃ ও আক্রোশমূলকভাবে তাকে তাড়া করে হত্যা করেছে।
No comments:
Post a Comment