ভোলাহাটে রেজিস্টার্ড প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের যাঁচায়-বাছায়ের নামে ২১টি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিকট
থেকে শিক্ষা অফিসারের ঘণ্টায় ১ লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা আয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের প্রায় ২৬ হাজার
রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়ায় অসহায় প্রাথমিক শিক্ষকরা নিজেদের
বাঁচার অবলম্বন খুঁজে পান। এমন সময় স্কুলগুলো যাঁচায়-বাছায়ের সুযোগে ভোলাহাট প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল
ইসলাম শুরু করে তেলেসমাতি কান্ড। পূর্ব ঘোষণা দিয়ে প্রতি স্কুলের অসহায় শিক্ষকদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে বুধবার
(৬ মার্চ-২০১৩) বেলা ১১টা হতে দুপুর ১২টার মধ্যে নিজ অফিসে বসে ২১টি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক
বিদ্যালয় থেকে আয় করেন ১০৫০০০ টাকা। কেউ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে যাঁচায়-বাছায়ে ভুল তথ্য দিয়ে হয়রানি করারও হুমকি
প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় কান্না জড়িত কণ্ঠে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ
করেন, শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলামের
বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শিক্ষকদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে আদায়ের ব্যাপারে কোথাও কোনো
অভিযোগ করলে যাঁচায়-বাছায়ের ক্ষেত্রে ক্ষতিসহ পরবর্তী সময় স্কুলের যেকোনো কাজে ক্ষতি
করে ফেলতে পারে এবং ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে বলে হুমকি প্রদান করায় চড়া সুদে মহাজনি
ঋণের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে দিতে হয়েছে বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসার নুরুল
ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি যথাযথ উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। অপরদিকে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এদিন বিকেল ৩টার সময় শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা অফিসার আবু শামীম
অবৈধভাবে আদায়কৃত টাকার ভাগাভাগিতে ব্যাপক কম-বেশি হওয়ায় উভয়ের মধ্যে বাকবিতান্ডর খবর
শুনা গেছে।
No comments:
Post a Comment