মাধ্যমিকের নবম শ্রেণির
‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বই পুনঃমুদ্রণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট। বুধবার
(১৩ মার্চ ২০১৩ ঈ.) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির
চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানানো হয়। একই
সঙ্গে বইটির ৮২নং পৃষ্ঠায় ‘দেব-দেবী বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্যদের নামে উৎসর্গকৃত পশুর
গোস্ত খাওয়া হারাম’ উল্লেখ করে মহান আল্লাহ
পাক উনাকে অবমাননা করায় বইটি সম্পাদনাকারী ঢাবি
শিক্ষক ড. আখতারুজ্জামানকে নাস্তিক উল্লেখ করে তার
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া।
তিনি আরও বলেন, মাধ্যমিকের নবম শ্রেণির ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের ৮২নং পৃষ্ঠায় মহান আল্লাহ পক উনার সঙ্গে মুশরিকদের কল্পিত
দেব-দেবীকে তুলনা করায় বইটির এ বাক্যটি বাদ দিয়ে পুনঃমুদ্রণ ও তা সম্পাদনাকারী ড. আখতারুজ্জামানের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে জঘন্য কুফরী বাক্যটি
সম্পর্কে ড. আখতারুজ্জামানের দেয়া ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য ‘এটি সত্য ও নির্ভুল’- এর
তীব্র প্রতিবাদ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিম ভূঁইয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, বেসরকারি শিক্ষকরা আজও অবহেলিত। তাদের
সামাজিক মর্যাদা, চাকরির নিরাপত্তা ও অর্থিক
স্বচ্ছলতা নেই। সরকার ক্ষমতায় গিয়ে শিক্ষকদের দেয়া সব ওয়াদা ভঙ্গ করেছে। সংবাদ
সম্মেলনে আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের দাবি না মানা হলে ২৭ মার্চ
থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে সব শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও ২৮ মার্চ ঢাকায় শিক্ষক মহাসমাবেশের
ঘোষণা দেয়া হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত
ছিলেন- শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের যুগ্ম কো-চেয়ারম্যান মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসন, বাংলাদেশ সহকারী অধ্যাপক সমিতির আহ্বায়ক অধ্যাপক আলমগীর
হোসেন, বাংলাদেশ প্রভাষক সমিতির আহ্বায়ক
অধ্যাপক তফাজ্জল হোসেন বাদল, বাংলাদেশ
শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment