দারসবাড়ী মসজিদ ও মাদ্রাসাঃ
১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে এ স্থানে একটি জঞ্জাল স্ত্তপের নিচে মুন্সী এলাহী বখশ ১১ফুট ৩ ইঞ্চি ও ২ ফুট ১ ইঞ্চ উচু একটি তোঘরা লিপি প্রাপ্ত হন। এটা এখন কলকাতা যাদুঘরে রক্ষিত আছে। নম্বর-৩১৩৯। লিপিটির বিপুল দৈর্ঘের কারণে একে দু’ভাগ করতে হয়েছে। লিপির অর্থ হচ্ছে-
‘‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক বলেন- নিশ্চয়ই সব মসজিদ আল্লাহ পাক উনার, সুতরাং আল্লাহ উনার সাথে কাউকে শরীক করো না।’ আর হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ পাক উনার জন্য যে একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ পাক তার জন্য বেহেস্তে অনুরূপ একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন। এই জামে মসজিদ ন্যায় পরায়ণ ও মহান সুলতান, জনগণ ও জাতি সমূহের কর্তা, সুলতানের পুত্র সুলতান, তাঁর পুত্র সুলতানের পুত্র শামসুদ্দুনীয়া ওয়াদ্দীন আবুল মুজাফ্ফর ইউসুফ শাহ সুলতান, পিতা বরবক শাহ সুলতান, পিতা মাহমুদ শাহ সুলতান কর্তৃক নির্মিত। আল্লাহ পাক তার শাসন চিরস্থায়ী করুন এবং তার উদারতা ও উপচিকীর্ষা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক। তারিখ ৮৮৪ হিঃ’’
ছোট সোনামসজিদ ও কোতোয়ালী দরজার মধ্যবর্তী স্থানে ওমরপুরের সন্নিকটে
দারসবাড়ী অবস্থিত। পুরুষানুক্রমে স্থানীয় জনসাধারণ এই স্থানকে ‘দারসবাড়ী’
বলে
থাকে। বর্তমানে এই স্থান পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দর্স অর্থ পাঠ। সম্ভবতঃ একসময় মসজিদ সংলগ্ন একটি মাদ্রাসা ছিল এখানে। ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের সময় মুনশী এলাহী বখশ কর্তৃক আবিস্কৃত একটি আরবী শিলালিপি অনুযায়ী (লিপি-দৈর্ঘ্য ১১ ফুট ৩ ইঞ্চি, প্রস্থ ২ফুট ১ ইঞ্চি) ১৪৭৯ খ্রিস্টাব্দে (হিজরী ৮৮৪) সুলতান শামস উদ্দীন ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে তাঁরই আদেশক্রমে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইট নির্মিত এই মসজিদের অভ্যন্তরের আয়তক্ষেত্র দুই অংশে বিভক্ত।
থাকে। বর্তমানে এই স্থান পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দর্স অর্থ পাঠ। সম্ভবতঃ একসময় মসজিদ সংলগ্ন একটি মাদ্রাসা ছিল এখানে। ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের সময় মুনশী এলাহী বখশ কর্তৃক আবিস্কৃত একটি আরবী শিলালিপি অনুযায়ী (লিপি-দৈর্ঘ্য ১১ ফুট ৩ ইঞ্চি, প্রস্থ ২ফুট ১ ইঞ্চি) ১৪৭৯ খ্রিস্টাব্দে (হিজরী ৮৮৪) সুলতান শামস উদ্দীন ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে তাঁরই আদেশক্রমে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইট নির্মিত এই মসজিদের অভ্যন্তরের আয়তক্ষেত্র দুই অংশে বিভক্ত।
এর আয়তন ৯৯ ফুট ৫ ইঞ্চি, ৩৪ ফুট ৯ ইঞ্চি। পূর্ব পার্শ্বে একটি বারান্দা,
যা ১০ ফুট ৭ ইঞ্চি। বারান্দার খিলানে ৭টি প্রস্ত্তর স্তম্ভের উপরের ৬টি
ক্ষুদ্রাকৃতি গম্বুজ এবং মধ্যবর্তীটি অপেক্ষাকৃত বড় ছিল। উপরে ৯টি গম্বুজের
চিহ্নাবশেষ রয়েছে উত্তর দক্ষিণে ৩টি করে জানালা ছিল। উত্তর পশ্চিম কোণে নামাজের জন্য প্রস্তর স্তম্ভের উপরে একটি ছাদ ছিল। এর পরিচয়
স্বরূপ এখনও একটি মেহরাব রয়েছে। এতদ্ব্যতীত পশ্চিম দেয়ালে পাশাপাশি ৩টি করে
৯টি কারুকার্য খচিত মেহরাব বর্তমান রয়েছে। এই মসজিদের চারপার্শ্বে দেয়াল ও
কয়েকটি প্রস্তর স্তম্ভের মূলদেশ ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট নেই । এ মসজিদটিও
বাংলার প্রথম যুগের মুসলিম স্থাপত্যের কীর্তির একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন।
এখানে প্রাপ্ত তোগরা অক্ষরে উৎকীর্ণ ইউসুফি শাহী লিপিটি এখন কোলকাতা
যাদুঘরে রক্ষিত আছে। জেনারেল ক্যানিংহাম তার নিজের ভাষাতে একে দারসবাড়ী বা
কলেজ বলেছেন। এ ঐতিহাসিক কীর্তির মাত্র কয়েকগজ দূরে ভারতীয় সীমান্ত।
দারসবাড়ী মসজিদের প্রস্তর লিপিঃ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে এ স্থানে একটি জঞ্জাল স্ত্তপের নিচে মুন্সী এলাহী বখশ ১১ফুট ৩ ইঞ্চি ও ২ ফুট ১ ইঞ্চ উচু একটি তোঘরা লিপি প্রাপ্ত হন। এটা এখন কলকাতা যাদুঘরে রক্ষিত আছে। নম্বর-৩১৩৯। লিপিটির বিপুল দৈর্ঘের কারণে একে দু’ভাগ করতে হয়েছে। লিপির অর্থ হচ্ছে-
‘‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক বলেন- নিশ্চয়ই সব মসজিদ আল্লাহ পাক উনার, সুতরাং আল্লাহ উনার সাথে কাউকে শরীক করো না।’ আর হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ পাক উনার জন্য যে একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ পাক তার জন্য বেহেস্তে অনুরূপ একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন। এই জামে মসজিদ ন্যায় পরায়ণ ও মহান সুলতান, জনগণ ও জাতি সমূহের কর্তা, সুলতানের পুত্র সুলতান, তাঁর পুত্র সুলতানের পুত্র শামসুদ্দুনীয়া ওয়াদ্দীন আবুল মুজাফ্ফর ইউসুফ শাহ সুলতান, পিতা বরবক শাহ সুলতান, পিতা মাহমুদ শাহ সুলতান কর্তৃক নির্মিত। আল্লাহ পাক তার শাসন চিরস্থায়ী করুন এবং তার উদারতা ও উপচিকীর্ষা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক। তারিখ ৮৮৪ হিঃ’’
No comments:
Post a Comment