Sunday, March 24, 2013

এক নজরে ধর্মব্যবসায়ী ,সন্ত্রাসী এবং অত্যাচারী জামায়াতের ঘৃণ্য ইতিহাস (১৯৪১-২০১৩)

"ইসলাম" শব্দের প্রতি বাঙ্গালী মুসলমানদের অন্যরকম আবেগ জড়িত। আর সেই আবেগের ঘৃণ্য ব্যবহার শুরু হয় ১৯৪১ সাল থেকে। এ বছর ধর্মব্যবসায়ী জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামক একটি ইসলাম বিদ্বেষী দলের জন্ম হয়। দলটির প্রতিষ্ঠাতা ধর্মব্যবসায়ী আবুল আলা মওদুদীর
(জন্ম ভারতের আওরঙ্গবাদে, বর্তমান হায়দারাবাদ, মহারাষ্ট্র) ব্যাক্তিগত দর্শনই এই দলটার রাজনৈতিক দর্শন। শুধু তাই নয়; ধর্মব্যবসায়ী জামাতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আবু আলা মওদুদীর পুত্র সৈয়দ হায়দার ফারুক মওদুদী পাকিস্তানের রয়েল টেলিভিশনে গত ২৮ মে ২০১১ ইং এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলো, জামায়াত ধর্মব্যবসায়ী এবং অত্যাচারী। (তার বিস্তারিত সাক্ষাৎকার দেখুন ৪ পর্বে https://www.facebook.com/photo.php?v=388377624594147 এখানে)। সৈয়দ হায়দার ফারুক মওদুদী বলেছে, আমার বাবা কখনও আমাদেরকে রাজনীতির সাথে জড়াতে দেয়নি। এছাড়া সে ধর্মব্যবসায়ী এবং অত্যাচারী জামায়াত সম্পর্কে অনেক সত্য উন্মোচন করেছে এখানে।

ধর্মব্যবসায়ী জামায়াতের এই প্রতিষ্ঠাতা ইসলাম সম্পর্কেও অনেক নেক্কার জনক কথা বলেছে। কোরআন শরীফ উনার অনেক অপব্যাখ্যা করেছে যা সর্বজন স্বীকৃত। তার তিনটি নমুনা এখানে তুলে ধরেই আসল কথায় যাবো। তার এসব ধর্মবিকৃতি চেতনা দেখলেই বুঝতে পারবেন তারা আসলে ইসলামের নামে কি করছে।

০১. “গণতন্ত্র বিষাক্ত দুধের মাখনের মত” – মওদূদী, সিয়াসি কসমকস, তৃতীয় খন্ড, পৃঃ ১৭৭

০২. “গণতন্ত্রএর মাধ্যমে কোনো সংসদ নির্বাচনে পার্থী হওয়া ইসলাম অনুযায়ী হারাম” - রাসায়েল ও মাসায়েল । লেখক ধর্মব্যবসায়ী মওদূদী । প্রথম সংঙ্করণ, পৃষ্ঠা ৪৫০

০৩. “সময়ে সময়ে মিথ্যা বলা শুধু জায়েজই নয় বরং অবশ্য কর্তব্য” – ধর্মব্যবসায়ী আবুল আলা মওদূদী, তরজমানুল কোরআন, মে ১৯৫৮!

এক নজরে জামায়াতের ঘৃণ্য ইতিহাস (১৯৪১-২০১৩)
১৯৪১- সালে ২৬ আগস্ট লাহোরে “জামায়াতে ইসলামী হিন্দ” নামে দলটা গঠিত হয় । ভারতবর্ষের কম্যুনিস্ট বিরোধী শক্তি হিসেবে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদীদের আশ্রয়ে এই দলটির জন্ম । এখনো ব্রিটিশদের সাথে ধর্মব্যবসায়ী দলটির সম্পর্ক গভীর । জন্মের সাথে সাথে এরা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার তীব্র বিরোধীতা করতে থাকে । ধর্মব্যবসায়ী মওদূদী ফতোয়া দেয় পাকিস্তান রাষ্ট প্রতিষ্ঠার দাবী করা সবাই, মুসলীম লীগ, জিন্নাহ এরা কেউই “খাটি মুসলিম” না । মাথায় রাখেন ৭১ সালেও গণ হত্যার সময় “খাটি মুসলিম” তত্ব ব্যাবহার করা হয়েছে ।

১৯৪২- লাহোর থেকে ধর্মব্যবসায়ীর হেডকোয়ার্টার ভারতের পাঠানকোটে স্থানান্তর ।

১৯৪৩- মাসিক “তরজমানুল কোরআন” ম্যাগাজিনের মাধ্যমে নিজেদের মতবাদ প্রচার করতে থাকে। এই ম্যাগাজিনের ফেব্রুয়ারী সংখ্যায় ধর্মব্যবসায়ী মওদূদী পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরোধিতা করে লিখে, পাকিস্তান নামক কোনো রাষ্ট্রের জন্ম হলে সেটা “আহাম্মকের বেহেশত” এবং “মুসলমানদের কাফেরানা রাষ্ট্র” হবে। *পাকিস্তানের স্বাধীনতার সরাসরি বিরোধীতা করে ধর্মব্যবসায়ী দলটি।

১৯৪৪- ধর্মব্যবসায়ী দলটি দ্রুত সংঘঠিত হতে থাকে । দ্রুত বাড়তে থাকে সদস্য সংখ্যা ।

১৯৪৫- অবিভক্ত ভারতে সর্বপ্রথম কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয় ।

১৯৪৬- কয়েকজন কথিত আলেমকে দলে ভেড়াতে সক্ষম হয়।

১৯৪৭- দেশভাগের সাথে সাথে লাহোরে ধর্মব্যবসায়ীর প্রধাণ কার্যালয় স্থানান্তর । অথচ এর আগে পর্যন্ত পাকিস্তান রাষ্ট গঠনের চরম বিরোধীতা করে। পাকিস্তানে যাওয়ার পর পাকিস্তানের কাশ্মীরের জন্য আন্দোলন করাকে হারাম ঘোষণা দেয়।

১৯৪৮- ইসলামী সংবিধান ও ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা শুরু করে। এর পর পাকিস্তান সরকার জননিরাপত্তা আইনে ধর্মব্যবসায়ী মওদূদীকে কারাবন্দী করে । *এ বছর পূর্বপাকিস্তানে ধর্মব্যবসায়ী জামাতের কার্যক্রম শুরু হয়।

১৯৪৯- পাকিস্তান সরকার আগে বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত জামাতের “ইসলামী সংবিধানের রূপরেখা” গ্রহণ করে । পরে পাকিস্তান ধর্মব্যবসায়ী জামাত প্রভাবিত সংবিধান প্রণয়ন করে ।

১৯৫০- পরের বছর পাঞ্জাবের প্রাদেশিক নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য ব্যাপক প্রচারণা । ধর্মব্যবসায়ী মওদূদী জেল থেকে মুক্তি পায় ।

১৯৫১- পাঞ্জাবের প্রাদেশিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ভরাডুবি ধর্মব্যবসায়ী দলটির।

১৯৫২- ধর্মব্যবসায়ী গো আজম ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহন করে । পরে ১৯৭০ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুর শহরে এক সংবর্ধণা সভায় সে বলে “উর্দূ পাক-ভারত উপমহাদেশের মানুষের সাধারণ ভাষা। ৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশ নেওয়া তার মারাত্নক ভুল ছিলো। বাংলা ভাষা আন্দোলন মোটেও সঠিক কাজ হয়নি। সে এজন্য দুঃখিত” সূত্র : দৈনিক আজাদ ২০ জুন ১৯৭০/ সাপ্তাহিক গণশক্তি ২১ জুন ১৯৭০/ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- ডঃ মোহাম্মদ হান্নান, পৃঃ ৩৯৯

১৯৫৪- ধর্মব্যবসায়ী গো আজম জামাতে যোগ দেয় । প্রথম দিকে পূর্বপাকিস্তানে ধর্মব্যবসায়ী জামতের অবস্থান মজবুত না থাকলেও, ধর্মব্যবসায়ী গো আজম যোগ দেওয়ার সাথে সাথে পূর্ব পাকিস্তানে দল চাঙ্গা হয়ে উঠে ।

১৯৫৫-    ১৯৪৭ সালে গঠিত “জামায়াত ই তালেবর” নাম পরিবর্তন করে “ইসলামী ছাত্রসংঘ” নামে আত্নপ্রকাশ করে। ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা আবদুর রহীম পূর্ব পাকিস্তানের আমির নির্বাচিত হয় (পরে সে জামাতের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে)

১৯৫৬- পূর্ব পাকিস্তানে কার্যক্রম শুরু করে ধর্মব্যবসায়ী ইসলামী ছাত্রসংঘ।

১৯৫৭- সালে ধর্মব্যবসায়ী গো আজমকে পূর্ব পাকিস্তান জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল নিজুক্ত করা হয় । আমির ছিলো  ধর্মব্যবসায়ী আবদুর রহিম ।

১৯৫৮- আইয়ুব খান ধর্মব্যবসায়ী জামায়াত সহ সকল দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষনা করে । ১৯৬২ সাল পর্যন্ত এই ফরমান বলবৎ ছিল।

১৯৬২- মুসলিম পারিবার আইন বিরোধীতা কারেন। শিক্ষা আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।

১৯৬৩- মুসলিম পারিবারিক আইন নিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ।

১৯৬৪- ৪ জানুয়ারী জামাতের সকল কর্মকান্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় । *নিষিদ্ধ হয় জামায়াত । ধর্মব্যবসায়ী মওদুদী সহ ৬০ জন জামাত নেতাকে গ্রেফতার করা হয় । যার ভিতর ধর্মব্যবসায়ী গো আজম একজন । অক্টোবরেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় ।

১৯৬৫- নির্বাচনে ফাতেমা জিন্নাহর পরাজয় ঘটলে দল কোনঠাসা হয়ে পড়ে।

১৯৬৬- শেখ মুজিবের ৬ দফার বিরোধীতা করে। এই দফাগুলোকে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে অখ্যায়িত করে ।

১৯৬৭- শেখ মুজিবের ৬ দফার ভিত্তিতে যখন পূর্ব পাকিস্তানে প্রবল গণ আন্দোলন শুরু হয়, তখন ধর্মব্যবসায়ী জামাত ৫ দফা নামে আরেকটা আন্দোলন শুরু করে গণ আন্দোলন ব্যাহত করার চেষ্টা করে ।

১৯৬৮- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পাকিস্তান উত্তাল হয়ে উঠে । সারা পাকিস্তানে চরম রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করে। এর ভিররই ধর্মব্যবসায়ী জামাত আইয়ুব খানের আস্থা অর্জন করে নেয় ।

১৯৬৯- গণ অভ্যুথানের সময় রহস্যজনক রাজনৈতিক অবস্থান । ধর্মব্যবসায়ী গো আজম পূর্ব পাকিস্তানের আমির হয় ।

১৯৭০- পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫১ আসনে পার্থী দিয়ে ৪ টি আসন জিতে নেয় । সবচেয়ে বেশি আসনে পার্থী দেয় আওয়ামীলীগ এবং তারা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভও করে । তৃতীয় সর্বোচ্চ আসনে (১২০) পার্থী দেয় ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি।

১৯৭১- একাত্তরের ধর্মব্যবসায়ী জামাত নিয়ে কয়েক লাইনে শেষ করা অসম্ভব । তারপও দুই এক লাইন লিখলাম । ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষায় ঢাকায় শান্তি কমিটি গঠন করা হয় । কয়েকদিন আগে উদ্ধার হওয়া একটা নথিতে দেখা যায় এই কমিটির ১ নম্বর সদস্য হচ্ছেন গো আজম । নথিটা দীর্ঘদিন যাবত পুরান ঢাকার এক ভদ্রলোক সংরক্ষন করেছিলেন । কিছুদিন আগে নথিটা তিনি আন্তর্জাতিক যুদ্ধপরাধ ট্রাইবুনালে জমা দেন । ৩০ জুন লাহোরে ধর্মব্যবসায়ী গো আজম বলে তার দল মুক্তিযোদ্ধাদের (দুস্কৃতকারীদের) দমন করার জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা চালাচ্ছে । দলের নেতৃত্বে গঠন করা হয় আলবদর রাজাকার । সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আবদুল মালেকের নেতৃত্বে প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয় । ধর্মব্যবসায়ী জামাতের সাবেক আমীর আব্বাস  এই সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ছিলো । ১৯৭১ সালে সংঘঠিত ইতিহাসের বৃহত্তম গণহত্যার জন্য দলটা কোনো ক্ষমা চায়নি । বরং ধর্মব্যবসায়ী গো আজম দম্ভের সাথে জানিয়ে দেন একাত্তরের জন্য তারা অনুতপ্ত নয় । বরং তারা যা করেছে ঠিক করেছে ।

১৯৭২- ধর্মব্যবসায়ী গো আজমের উদ্যোগে পাকিস্তানে পালিত হয় “পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার সপ্তাহ” এরপর লন্ডন গিয়ে সেখানে “পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধার কমিটি ” নামে একটা কমিটি গঠন করেন। এই কমিটি বাংলাদেশকে উদ্ধার করে আবার পূর্ব পাকিস্তান করার সর্বাত্নক চেষ্টা চালায়। ডিসেম্বরে সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলনে অংশ নিয়ে সকল মুসলিম রাষ্ট্রকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে, এবং যুদ্ধ বিদ্ধস্ত মানুষের সহায়তায় কোনো প্রকার আর্থিক সাহায্য না দিতে আহবান জানায়।

১৯৭৩- সরকারী এক আদেশে ৩৮ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয় । এর একজন গো আজম । গো আজম মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো সফর শুরু করে। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে এবং পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধারে সহায়তা চায়। ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত ফেডারেশন অব স্টুডেন্টস ইসলামিক সোসাইটির সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধারের বিষয়ে বক্তৃতা দেয়।

১৯৭৪- মাহমুদ আলী সহ কয়েকজন পাকিস্তানিকে নিয়ে লন্ডনে পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধার কমিটির বৈঠক হয় । মক্কায় অনুষ্ঠিত রাবেতায়ে ইসলামীর সম্মেলনে বাংলাদেশ উদ্ধার নিয়ে বক্তৃতা দেন।

১৯৭৫- একাত্তর সালের পর আত্নগোপনে চলে যাওয়া জামাত নেতারা আস্তে আস্তে দেশে ফিরতে শুরু করে । কুখ্যাত যুদ্ধপরাধী শাহ আজিজুর রহমান দেশে ফিরে । পরে তিনি বিএনপির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়।

১৯৭৬- সরকার এক প্রেসনোটে নাগরিক্ত্ব ফেরত পাওয়ার জন্য ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের আবেদন জানাতে বলে। ধর্মব্যবসায়ী গো আজম সাথে সাথে আবেদন করে এবং প্রত্যাখাত হয়।

১৯৭৭- ধর্মব্যবসায়ী গো আজম আবারো নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করেন এবং প্রত্যাখ্যাত হয় ।

১৯৭৮- ধর্মব্যবসায়ী গো আজম পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে কোনো ভিসা ছাড়াই ১১ জুলাই ঢাকা আসেন । মায়ের অসুস্থতার জন্য মানবিক কারনে তাকে ৩ মাসের অনুমতি দেওয়া হয় । এরপর ৭৮ থেকে ৯৪ সাল পর্যন্ত অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করে ।

১৯৭৯- ঢাকায় একটা কনভেনশনের মাধ্যমে ধর্মব্যবসায়ী “জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ” গঠিত হয়। গোপনে গো আজমকে আমীর করে আব্বাস আলী খানকে ভারপ্রাপ্ত আমীরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

১৯৮০- প্রথমবারের মত বায়তুল মোকারমের সামনে জামাতের সভা হয়। প্রকাশ্যে এটাই তাদের প্রথম সম্মেলন।

১৯৮১- ধর্মব্যবসায়ী জামাতের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন “একাত্ততে আমরা যা করেছি ঠিকই করেছি। একাত্তরে বাংলাদেশ কনসেপ্ট ঠিক ছিলোনা”

১৯৮২- রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ যায়গা গুলোতে জামাত দ্রুত প্রবেশ করতে থাকে। ধর্মব্যবসায়ী কাদের মোল্লা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।

১৯৮৩- দলের রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে ব্যাস্ত থাকে দলটি।

১৯৮৪- জামাতের সাবেক আমির মাওলানা আবদুর রহিম জামাত ছেড়ে ইসলামী ঐক্য (জোট) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

১৯৮৫- এরশাদ সরকারের সাথে দলটার সখ্যতা গড়ে উঠে। ধর্মব্যবসায়ী কাদের মোল্লা ঢাকা মহানগর আমির নির্বাচিত হয়।

১৯৮৬- এরশাদ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশগ্রহন করে ১০ টা আসন পায়।

১৯৮৭- সাংঘঠনিক কার্যক্রম বাড়ানোর দিকে মনযোগ দেয়।

১৯৮৮- অনেকদিন নিষ্ক্রিয় থাকার পর জামাতের ধর্মব্যবসায়ী ছাত্র সংঘঠন শিবির নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে মরিয়া হয়ে উঠে। চট্টগ্রাম রাজশাহী সহ বিভিন্ন জেলায় তাদের ট্রেডমার্ক রগ কাটার রাজনীতি শুরু করে।

১৯৮৯- তৎপর হয়ে উঠে ধর্মব্যবসায়ী জামাত। সাংঘঠনিক কার্যক্রম বাড়াতে থাকে।

১৯৯০- এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। টিভিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃরা বক্তৃতা বিবৃতি দেয় । ধর্মব্যবসায়ী জামাতের নেতারাও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে টিভিতে আসে! সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।

১৯৯১- নির্বাচনে রেকর্ড ১৮ টি আসনে জিতে নেয় ! কুলুষিত হয় মহান জাতীয় সংসদ । বিএনপি সরকারের সাথে আপোষে এত আসন পায়। নাগরিকত্বহীন গো আজমকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জামাত আমির ঘোষনা করে।

১৯৯২- বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা জামাতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে। বিজেপি বিরোধী আন্দোলন করে গণহারে রাস্তায় নেমে আসে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌচাতে চেষ্টা করে। একই বছর জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি গঠিত হয়।ধর্মব্যবসায়ী গো আজমকে মৃত্যুদন্ডযোগ্য ঘোষনা করা হয়।

১৯৯৩- গণাদালতের কারনে কিছুটা কোনঠাসা হয়ে পড়ে দলটি। ধর্মব্যবসায়ী নিজামী কাদেরমোল্লা সাইদী কামরুজ্জামান আব্দুল আলীম সহ আট জনকে মৃত্যুদন্ডযোগ্য ঘোষনা করে।

১৯৯৪- সালে উচ্চ আদালতের এক রায়ে গো আজম জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব ফিরে পায় ।

১৯৯৫- ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হলেও এবছর ধর্মব্যবসায়ী জামাত প্রথমবারের মত একদিন হরতাল দেয়।

১৯৯৬- সালে জামাত এবং আওয়ামীলীগ তত্ববধাক সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। একসাথে আন্দোলন করেছে, তবে রাজনৈতিক জোট হিসেবে নয়। নির্বাচনে জামাত একাই লড়েছিল।

১৯৯৭- রাজনীতিতে ধর্মব্যবসায়ী জামাত শিকড় গেড়ে ফেলেছে। ধর্মব্যবসায়ী শিবির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল, ধর্মব্যবসায়ী সাইদী ব্যাপক ভাবে কথিত ওয়াজ নসিহত শুরু করে।

১৯৯৮- বিএনপির সাথে মতৈক্যে আসে ধর্মব্যবসায়ী দলটি।

১৯৯৯- বিএনপির সাথে ৪ দলীয় জোট গঠন করে । পায়ের নিচে শক্ত মাটি পায়। দেশের মানুষ চুড়ান্ত হতাশ হয়।

২০০০- ধর্মব্যবসায়ী জামায়াত রাজনৈতিক হাইওয়েতে উঠে যাওয়ায় নিশ্চিন্তে রাজনীতি থেকে অবসর নেয় গো আজম। দলের নতুন আমীর হয় ধর্মব্যবসায়ী  নিজামী।

২০০১- নির্বাচনে ১৮ টি আসন লাভ করে। এরপর ঘটে জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক ঘটনা। দলের শীর্ষ ধর্মব্যবসায়ী দুই নেতা নিজামী এবং মুজাহীদ মন্ত্রিত্ব লাভ করে! গাড়িতে উড়ায় জাতীয় পতাকা !!

২০০২- শিকড় বাকড় ছড়াতে থাকে একেবারে ক্ষমতায় থেকে। নেতারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও বক্তৃতা বিবৃতি দেয় !!

২০০৩- ধর্মব্যবসায়ী সাইদীর কথিত ওয়াজ নসিহত চলতে থাকে ।
২০০৪- শুরু করে জঙ্গী তৎপরতা। জঙ্গী দলগুলোর সাথে গড়ে তোলে সুসম্পর্ক । ধর্মব্যবসায়ী জামাতের আমন্ত্রনে পাকিস্তান জামাতে ইসলামীর শীর্যস্থানীয় নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে আসে। তারা শিরিরের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেয়।

২০০৫- নির্বাচনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে থাকে। শুধুমাত্র ভারতীয় কোম্পানী বলে টাটার ২.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলো তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিজামী (উইকিলিকস)

২০০৬- ধর্মব্যবসায়ী জামাতের তান্ডবময় একটা বছর।

২০০৭- নতুন প্রজন্ম জমাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে থাকে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ধর্মব্যবসায়ী জামাতকে নির্বাচন করতে দেওয়ার বিপক্ষে ছিলেন। ২৫ অক্টোবর মিডিয়ায় কাদের মোল্লা বলেন মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে গিয়েছেন নারী এবং সম্পত্তির লোভে ! দেশ ক্ষোবে ফেটে পড়ে।

২০০৮- নির্বাচনে জামতের লেজেগোবরে অবস্থা। শুধুমাত্র যুদ্ধপরাধীদের বিচার হবে এজন্য তরুন প্রজন্মের ভোটে আওয়ামীলীগের বিপুল ব্যাবধানে জয়লাভ।

২০০৯- মহান জাতীয় সংসদে একজন সংসদ সদস্য যুদ্ধপরাধীদের বিচারের প্রস্তাব পেশ করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

২০১০- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠিত হয়। গ্রেপ্তার হতে থাকে অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা। জনগন আশাবাদী হয়।

২০১১- দেশ বিদেশে ট্রাইবুনালের নামে অপপ্রচার চালাতে থাকে। একই সাথে প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করে চলতে থাকে আন্তর্জাতিক লবিং।

২০১২- দেশপ্রেমকে পুঁজি করে সীমিত সামর্থ নিয়ে চলতে থাকে বিচার কার্যক্রম। চলতে থাকে দুই পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ।

২০১৩- যুদ্ধাপরাধীদের একেরপর এক ফাঁসির আদেশ দেওয়ার বছর। এ পর্যন্ত (মার্চ ২০১৩) তিনটি রায় হয়েছে। তার মধ্যে দুই জনের ফাঁসি এবং এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

No comments:

Post a Comment