মওদুদীবাদী
ধর্মব্যবসায়ী জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী হরতালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নুরুল ইসলাম (৪২)
নামে একজন নিহত হয়েছে। ১৫ জুলাই ২০১৩ ঈ. সোমবার
দুপুরে পর শিবগঞ্জ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের রসুলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল
ইসলাম শিবগঞ্জের ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের মোহদীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
হরতালে দিনভর
বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মেজর ও পুলিশ সদস্যসহ অন্তত
১৫ জন আহত হয়েছে। ১৫ জুলাই ২০১৩ ঈ. সোমবার দুপুরে
মানবতাবিরোধী অপরাধে ঘাতক গুরু গো-আযমের রায় ঘোষণার পর রসুলপুর এলাকায় জামায়াত-শিবিরের
সন্ত্রাসী কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও ভাঙচুর চালায়। এসময় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা
সেখানে গেলে শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মীরা গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময়
উভয় পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এর মাঝে পড়ে পথচারী নুরুলের মৃত্যু হয়। তবে শিবির নেতারা
নিহত নুরুলকে তাদের কর্মী হিসেবে দাবি করেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে
পুলিশ-শিবির সংঘর্ষ :
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
জেলা শহরের পিটিআই সংলগ্ন এলাকায় পিকেটিংয়ের সময় সন্ত্রাসবাদী শিবিরের সঙ্গে
পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।১৫ জুলাই ২০১৩ ঈ. সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহসড়কের পিটিআই এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে
ব্যারিকেড সৃষ্টি করে শিবিরকর্মীরা। পুলিশ ব্যারিকেড সরাতে গেলে শিবিরের সঙ্গে
সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় শিবিরকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেল বিস্ফারণ
করে। পুলিশও পাল্টা রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে। পরে ঘটনাস্থলে র্যাব ও বিজিবি
সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে হরতাল সমর্থনে শহরের নিমতলা মোড়
থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মিছিল বের করে শিবিরকর্মীরা। মিছিলটি শান্তির মোড় এলাকায়
পৌঁছালে র্যাব সদস্যদের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিলকারীরা। এ সময় কয়েক রাউন্ড
রাবার বুলেটে ছুড়ে র্যাব।
এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ইট ফেলে এবং অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করেছে শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মীরা।
এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ইট ফেলে এবং অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করেছে শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মীরা।
No comments:
Post a Comment