জমি জালিয়াত চক্রের গড ফাদার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী গ্রামের মৃত: এমাজুদ্দিনের ছেলে আফসার আলী(৬৫)। ভোলাহাট উপজেলার বিলভাতিয়া মৌজার ৭টি দাগে প্রায় ১১ একর ২৫ শতাংশ জমি জালিয়াতি করে নিজ নামে প্রস্তাবিত খতিয়ান তৈরী করে যার অনুমোদিত খারিজ কেস নং দেয়া হয়েছে ৯৭/ষী- ও/০৭-০৮, তারিখ-৩০/০৪/০৮ এবং হোল্ডিং নম্বর-২১৭৮, প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর-২৩৫/১। এ দিকে এ জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রসিদ যার ক্রমিক নং-প নম্বর- ৬০৩১০৩তে ১৪০১-১৪১৩ বাংলা সনের অংকে ২২ হাজার ২ শত ২৫ টাকা পরিশোধ লেখলেও কথায় লেখে ৯ হাজার ৮ শত টাকা। এ দিকে ডুপ্লিকেট কার্বন রসিদ বহি যার বহি নং-২০৬৭৬ এবং পৃষ্ঠা নম্বর-২০ উল্লেখ করে এসিল্যান্ড স্বাক্ষর করার কথা থাকলেও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা স্বাক্ষর করে। আর এ জালিয়াত কাগজপত্র দেখিয়ে বিভিন্ন উপজেলার সহজ-সরল মানুষকে প্রতিনিয়ত ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এ চক্রের শিকার জেলার ভোলাহাট উপজেলার চরধরমপুর গ্রামের মৃত: ফজলুল হকের ছেলে মোশারফ হোসেন । তিনি অভিযোগ করে বলেন, আফসার আলীর সাথে তার যে কোন সূত্র ধরে পরিচয় হওয়ার এক পর্যায়ে সে জমি বিক্রয়ের জন্য কাগজপত্র দেখালে সহজ মনে বুঝে উঠার আগেই তড়িঘরি করে ১১.২৫ একর জমির মধ্যে ৭ একর জমি ২১ লাখ টাকা বিক্রয়কৃত দাম হয় এবং ১১ ফের্রুয়ারী ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার বায়নামার মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করে বাঁকী ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ৫ মাসের মধ্যে প্রদান করে রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও জালিয়াতের সব তথ্য ফাঁস হওয়ায় জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন তিনি। তারপর থেকে ঐ জালিয়াত আফসার গাঢাঁকা দিলে বেকায়দায় পড়েন ভুক্তভূগি। দীর্ঘদিন পর তার দেখা পেলে আফসার বায়নামার টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরৎ দেয়ার কথা বলে সট্কে পড়েন। পরে জালিয়াত নিজেকে বাঁচাতে আদালতে বাদী হয়ে মোশারফ হোসেন ও তার ভাই আব্দুল বারীকে আসামী করে মারধর করার অভিযোগে মামলা করে। এ ঘটনায় বাঙ্গাবাড়ী এলাকায় সরজমিন গেলে এলাকাবাসী জানায়, আফসার একজন জালিয়াত চক্রের গডফাদার। সে জালিয়াতি করে চলে এবং ঠিকানা বিহীন মানুষ। একাধীক বিয়ে কখন কোথায় থাকে কেউ জানাতে পারেনি। মোবাইলে নম্বর সংগ্রহ করে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ৩০/৩৫টি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে বলে জানান এলাকাবাসী জানান। তার ব্যাপারে এলাকাবাসী আরো জানান, সে গোমস্তাপুর, শিবগঞ্জ, ভোলাহাট উপজেলার একাধীক লোককে এ ভাবে জালিয়াতি কওে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় জালিয়াতি কাগজপত্র দেখে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী জিয়াউল বাসেত পর্যবেক্ষণ করে সম্পূর্ণ জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন এবং এ চক্রকে এলাকায় পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
No comments:
Post a Comment