Saturday, January 25, 2014

ভোলাহাটের কৃষকরা বোরো চাষে ব্যস্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার সর্বত্রই বোরো চাষের ধুম পড়েছে একদিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কৃষকদের চাহিদামত সার পাওয়ার নিশ্চয়তায় বিগত মৌসূমের তুলনায় চলতি মৌসূমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী বোরো উৎপাদন হবে এমনটিই আশা করছে কৃষকরা কৃষি নির্ভরশীল ভোলাহাট উপজেলার প্রায় ৮০ ভাগ পরিবার কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে এসব পরিবারের মধ্যেই প্রায় ৩৯.১৪ ভাগ পরিবার ভূমিহীণ কৃষক যারা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে জমি চাষাবাদ করে পরিবারের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার পুষিয়ে বাদবাকী অর্থ দিয়ে কোন রকমে দিনযাপন করে আসছে
বর্তমানে বোরো চাষীরা তাদের চাহিদামত বীজ-সার পেয়ে নিশ্চিন্ত মনে চাষাবাদ করছে চলতি মৌসূমে কৃষকরা দ্বিগুণ উৎসাহ আর উদ্দীপনা নিয়ে বোরো আবাদে ঝুকে পড়েছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, চলতি মৌসূমে হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে সেচ পাম্পের উপর নির্ভরশীল মোট প্রায় ৪২ হাজার ২৫০জন কৃষককে সেচ পাম্পের আওতায় আনা হয়েছে তবে বোরো আবাদের চাহিদা মিটাতে উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমানে সারের মজুদ রয়েছে তাদের চাহিদা অনায়াসে মিটাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে বর্তমান সরকার তাদের প্রয়োজনে যথেষ্ট পরিমান সার ডিলারগুলোর কাছে মজুদ রয়েছে এর মধ্যে ফেব্রয়ারী মাসে বরাদ্দ রয়েছে হাজার ১শত বস্তা সার উপজেলার আলীসাহাসপুর, পঞ্চানন্দপুর, ফুটানীবাজার, ছোটজামবাড়ীয়া, আদমপুর, বৃহত্তর বজরাটেক গ্রামগুলির কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অতিরিক্ত মজুরী প্রদানের লোভ দেখিয়েও বোরো মৌসূমে শ্রমিক পাওয়া অনেকটা কঠিন যেসব শ্রমিক আগে কৃষি কাজের সাথে জড়িত ছিলো ঐসব শ্রমিকেরা এখন চড়াদামে নির্মাণ কাজ করায় তারা আর কৃষিতে শ্রম দিতে অনীহা প্রকাশ করছে স্থানীয় কৃষকদের দাবী, মৌসূমের মাঝামাঝি সময় থেকে শেষ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত প্রকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবারের বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষকগণ তাদের মতামত ব্যক্ত করেছে এখন উপজেলার বৃহত্তম বিলভাতিয়ার খাল-বিল, জলাশয় গুলি কিছুটা শুকিয়ে গেলেও কৃষকগণ তাদের চাহিদামত বীজ-সার তাদের হাতের নাগালে পাওয়ায় পুরোদ্দমে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে তারা বলছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোনপ্রকার অনিহা না করলে তাদের বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে অসুবিধা হবেনা আর বিদ্যুৎ তাদের ভেলকীবাজী আরাম্ভ করলে কৃষকরা পড়বে চরম বেকায়দায় এবং তারা তাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবে না বলে এমনটাই মনে করছেন প্রান্তিক চাষীগণ উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল ওয়াদুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধ থাকলে সরকারীভাবে প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিটি এলাকায় কৃষকদের চাহিদা পূরণে সার সরবরাহ অব্যাহত থাকবে বোরো আবাদে কৃষকদের পরামর্শ সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে এবং তা চাষাবাদকালীণ সহযোগিতা চলবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সার সরবরাহের জন্য আমাদের ডিলার এবং সাব ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে বলে তিনি জানান

No comments:

Post a Comment