Thursday, March 6, 2014

হায়!৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের বাংলাদেশে মুসলমানরাই কত নিদারুন অসহায় ও নিগৃহীত!! মুসলিম বিবেক জেগে উঠবে কি?

সংখ্যালঘুসংখ্যালঘু বলে যে ইসলামবিদ্বেষী পত্রিকাটি গলা ফাটায়, সংখ্যালঘুর উপর কল্পিত হামলার বিবরণ যে পত্রিকাটি ঢেলে সাজায়, সংখ্যালঘুর গায়ের উপর আঁচর লাগলে যে পত্রিকাটি সংখ্যালঘুর উপর সাম্প্রদায়িক হানাহানির ঢালাও খবর প্রকাশ করে; সে পত্রিকাটিও নির্মম নিষ্ঠুর এবং অকাট্য সত্যের প্রেক্ষিতে দিনাজপুরের কর্ণাইয়ে মুসলমানদের উপর সংখ্যালঘু হিন্দু এবং হিন্দুতোষণকারী আ’লীগ সরকারের প্রশাসনের যুগপৎ হামলার বিষয়টি সংক্ষেপে হলেও প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে

২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ঈসায়ী তারিখে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশ হয়-
.... গ্রেপ্তারের আতঙ্কে গ্রামের মুসলমান-অধ্যুষিত পাড়াগুলো পুরুষশূন্য হয়ে পড়ায় ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুনর্ভবা নদীর দুই তীরঘেঁষা গ্রামের শত শত বিঘা জমির আলু তোলাই সম্ভব হয়নি সময় মতো তৈরি হয়নি বোরো বীজতলা থেমে গেছে ভুট্টা আবাদের কাজও....”
..... এখানকার মুসলমান পাড়াগুলোতে কথা বলার জন্য দু-তিন দিনে কোনো পুরুষ মানুষ পাওয়া যায়নি তবে মুসলিম নারীরা অভিযোগ করেন, কর্ণাই বাজারে মুসলমানদের দোকানগুলোতে হামলা চালিয়ে মালামাল লুট করেছে হিন্দুরা এছাড়া ভোটের পরদিন রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় মহাদেবপুরের ৩০টির বেশি বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাটের জন্য হিন্দুদের দায়ী করেন তারা.....”
এদিকে বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অন্যান্য দৈনিকেরও দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার সংবাদদাতাদের তথ্যেও একই চিত্র বেরিয়ে এসেছে সে তথ্য এবং একটি অনলাইন দৈনিকের চুম্বক অংশগুলো এখানে তুলে ধরা হলো
হিন্দুদের অবস্থা:
(কাঁচা বাড়ি হচ্ছে দালান,
খাবার চলছে মুরগি দিয়ে)
কর্ণাইয়ের বাসিন্দা সন্তোষ চন্দ্র জানায়, কর্ণাই বাজার সংলগ্ন আমার মাটির বাড়ি আমি কৃষিকাজ করি ভোটের দিন ভোট চলাকালে উত্তরদিকে ভাংচুর, -গোল শুরু হয় আমরা অনেক লোক একত্রে তীর-ধনুক সহকারে তাদেরকে ধাওয়া দেই বেলা ২টার পর মালদাইয়া চাঁপাইয়ারা (চাঁপাইনবাবগঞ্জ মালদহ থেকে যারা এসে এখানে স্থায়ীভাবে বসতবাড়ি করেছেন) আবার সংগঠিত হয়ে আসে প্রশাসনের লোকজন সময় ভোট কেন্দ্র থেকে ভোটের বাক্স সামগ্রী নিয়ে চলে যায় তারা চলে যাওয়ার পরই -গোল শুরু হয় কর্ণাই বাজারে বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয় আমার টিনের চালযুক্ত মাটির ঘর আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়
বর্তমানে সরকারের নির্দেশে বিজিবি সদস্যরা ইট সিমেন্ট দিয়ে আমার কাঁচা ঘরের স্থলে পাকা বাড়ি বানিয়ে দিচ্ছে আমার পরিবারকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে কি খাবার দেয়া হচ্ছে বিষয়ে সন্তোষ জানায়, সকালে হালুয়া, লুচি, দুপুরে মুরগি ভাত ডাল, আর রাতে মাছসহ অন্যান্য তরিতরকারি দেয়া হয় সন্তোষের মতে, -গোলটি ভোটের রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয় সে আরো জানায়, ঘটনার পর আমি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সহযোগিতা পেয়েছি নগদ অর্থও পেয়েছি তার মাটির ঘরের জায়গায় এখন পাকা দালান উঠছে তাই সে বেশ খুশি
মুসলমানদের অবস্থা :
(মুসলমান পুরুষরা পলাতক আর নারী শিশুরা না খেয়ে ধুকে ধুকে মরছে)
সাহাপাড়া বকরীপাড়ায় সরেজমিন গেলে এক করুণ দৃশ্যের অবতারণা হয় শত শত মুসলিম মহিলা শিশু অঝোর কান্নায় ভেঙে পড়ে কেউ কেউ পা জড়িয়ে ধরেন, কেউ বুক চাপড়ে কাঁদতে থাকেন আর বলেন, আপনারা আমাদের বাঁচান আমরা সাহায্য চাই না আমরা নিরাপত্তা চাই আমাদের ঘরের পুরুষরা দুই মাস ধরে বাড়িতে থাকতে পারছেন না তারাই আমাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম পুরুষ তারা বাড়িতে না থাকায় এখন আমরা বাচ্চাদের নিয়ে না খেয়ে আছি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি
হিন্দুদের অবস্থা:
(হিন্দুদের দোকান পাট জমজমাট
করে দেয়া হচ্ছে)
আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচা ঘরটির স্থলে বিজিবি সদস্যরা সরকারি খরচে বর্তমানে পাকা ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে কর্ণাই ভোটকেন্দ্রটি বর্তমানে বিজিবি ক্যাম্প অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বিজিবি সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্তদের দোকানপাট বাড়িঘর মেরামত করে দিচ্ছে বাজারের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মেরামত করে ইতোমধ্যে ব্যবসা চালু করছে
মুসলমানদের অবস্থা :
(মুসলমানদের দোকান পাট পোড়া অবস্থায়ই আছে, মুসলমানদেরকে পলাতক থাকতে হচ্ছে)
মুসলমানদের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো পড়ে আছে অনেক দোকান তালাবদ্ধ তদন্ত কমিটি জানতে পেরেছে- মুসলমান অনেক দোকানির নামে মামলা হওয়ায় তারা পলাতক রয়েছেন
হিন্দুদের অবস্থা:
(হিন্দুরা হাস-মুরগি নিয়েও
বহাল তবিয়তে আছে)
সরেজমিন অনুসন্ধানে লক্ষণীয় বিষয় ছিল, কর্ণাইয়ের হিন্দু বাসিন্দারা পুরুষ-মহিলা মিলে হাঁস-মুরগি গরু ছাগল নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেও মহাদেবপুরে সাহাপাড়া বকরীপাড়ার মুসলমানদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক নয়

মুসলমানদের অবস্থা :
(* মুসলমানদের বাড়ি-ঘর এখনও লুটপাট করা হচ্ছে, * মহিলাদের সম্ভ্রম লুণ্ঠন করা হচ্ছে * মুসলমান মেয়েদের জোর করে সিঁদুর পরিয়ে দেয়া হচ্ছে, * মুসলমানদের গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেয়া হচ্ছে * গ্রামে জুমুয়া হচ্ছে না, * মসজিদে আযান নামায হচ্ছে না)
কর্ণাই বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মহাদেবপুর বকরীপাড়া গ্রাম বকরীপাড়া থেকে আধা কিলোমিটার দূরে সাহাপাড়া গ্রাম সদর উপজেলার কাঞ্চন নদীর তীরে অবস্থিত এই এলাকার গ্রামগুলো মুসলমান অধ্যুষিত জানুয়ারি বিরোধী দলের কর্মসূচিতে এসব এলাকার মানুষ বেশি অংশগ্রহণ করে কর্ণাইয়ের ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তাতে এসব এলাকার বাসিন্দাদের গণহারে আসামি করা হয়েছে এজাহারে কিছু নেতার নাম দিয়ে বাকি শত শত লোককে অজ্ঞাত হিসেবে দেখিয়ে আসামি করা হয় নির্বাচনের পর দিন জানুয়ারি (২০১৪) রাতে কর্ণাই, তেলিপাড়া, যুগিপাড়া, সাধুপাড়াসহ আশপাশের এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ ক্যাডারদের সহায়তায় মদদে হিন্দুরা বকরীপাড়া, সাহাপাড়া আশপাশের গ্রামে পুলিশ এবং যৌথবাহিনীর উপস্থিতিতে মুসলমানদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালায় তারা লোকজনকে মারধর, ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করে এমনকি গরু বাছুর, হাঁস-মুরগি ঘরে থাকা ধান-চালের বস্তাও লুট করে তারা গ্রামের মহিলাদের সম্ভ্রম লুণ্ঠন করে
তারা হুমকি দিয়ে বলে গ্রামে একটি মুসলমানও রাখা হবে না যুবতী মেয়েদের সিঁদুরও পরিয়ে দেয়া হয় গ্রেফতারের ভয়ে এলাকার প্রতিটি গ্রাম পুরুষশূন্য গ্রামের কোনো পুরুষই বাড়িতে থাকেন না
এই গ্রামের জার্জিস আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, আমার স্বামী কৃষি কাজ করেন আমাদের বাড়িতে ভোটের পর দিন রাত ২টার দিকে একদল পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের হিন্দু ক্যাডাররা এসে আমাদের বাড়ি-ঘরে আক্রমণ করে পুরুষ সদস্যরা তাদের ভয়ে আগেই পালিয়েছিল তারা ঘরের প্লেট, গ্লাস, কাঁচের জিনিসপত্র, আলমারি, ফ্যান, হাঁড়ি-পাতিল, চেয়ার-টেবিল ইত্যাদি ভেঙে চুরমার করে ফেলে তারা বলে যে, আমরা নৌকা মার্কায় ভোট পেয়েছি মুসলমান গ্রামে রাখব না তারা সংখ্যায় -৩শ ছিল গ্রামে কোনো পুরুষ ছিল না তারা আমাদের আমাদের বাড়ির গরু-ছাগল লুটপাট করে নিয়ে যায় মেয়েদের সম্ভ্রম লুণ্ঠন করে প্রশাসনের লোকজন ছিল, কিন্তু তারা কোনো বাধা দেয়নি তারা এসে জানতে চায় গ্রামের পুরুষ লোকগুলো কোথায় গেছে পুলিশ বলে বেশি চেঁচামেচি করলে গুলি করে দেব

আমীর হোসেনের স্ত্রী তাহেরা খাতুন বলেন, ভোটের পর দিন গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের হিন্দু ক্যাডাররা আমাদের বাড়িতে ঢুকে পুরুষ লোক না পেয়ে মহিলাদের শ্লীলতাহানি ঘটায় বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় এবং ভাংচুর করে তার স্বামী ২৪ দিন ধরে পলাতক আছেন সাহায্য চাই না স্বামীকে এনে দেন নিরাপদে থাকতে দেন হামলাকারীরা তাকে বলেছে, বউ-বেটিকে সিঁদুর পরিয়ে দেবে

No comments:

Post a Comment