আমরা মুসলমান। মুসলিম দেশ হিসেবে আমাদের এই দেশটা পৃথিবীর কাছে অতি পরিচিত। আমরা গর্ব করে বলি- ‘আমরা মুসলমান’ এবং ‘আমরা বাংলাদেশী’। আজকের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেও দেশে প্রতিবছর পালিত হচ্ছে, কথিত ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’। এ উপলক্ষে দেশের এবং বাইরের তথাকথিত বরেণ্য ব্যক্তিরা যখন নারীবাদের এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের সাফাই গায়; তখনই মনে ভাবনার উদয় হয়- ‘নারীমুক্তি’ নিয়ে আমাদেরও কিছু বলার আছে। প্রথমেই বলেছি- ‘আমরা মুসলমান’ কিন্তু এই মুসলমানদের মধ্যে শুধু পুরুষ পড়ে না, মহিলারাও পড়ে অর্থাৎ ‘মুসলিমা মহিলারাও এর অন্তভুক্ত’। আজকের প্রেক্ষাপটে নারীমুক্তির যে চিত্র চিত্রায়িত হয় তা নিদারুণ বিভীষিকাময়, ভয়াল আর্তনাদের এবং পাপ-পঙ্কিলতায় ডুবে থাকা এক রূঢ় সত্য। ‘আমরা মুসলমান’। আমাদের সংস্কৃতি বা Culture হবে পবিত্র ইসলামী নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা অনুযায়ী।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি আমাদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে তথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ‘পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ’ উনার ৩ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের উপর আমার নিয়ামত সমাপ্ত করলাম এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকেই তোমাদের পবিত্র দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম।”
অন্যত্র খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত পবিত্র দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “তিনি (মহান আল্লাহ পাক) উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েত এবং সত্য পবিত্র দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন সমস্ত পবিত্র দ্বীনের উপর যা অতীতে ওহী মুবারক দ্বারা নাযিলকৃত এবং অতীতে, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে মানবরচিত সমস্ত মতবাদের উপর প্রাধান্য দিয়ে এবং এ বিষয়ে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষ্যই যথেষ্ট। (যার সাক্ষী মহান আল্লাহ পাক) আর রসূল হচ্ছেন হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” (পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮, ২৯)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদিন হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা ইহুদীদের নিকট থেকে কিছু নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা শুনে থাকি, তা থেকে কিছু লিখে রাখবো কি? তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আপনারাও কি ইহুদী-নাছারাদের মতো পবিত্র দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে দ্বিধাগ্রস্ত রয়েছেন? নিশ্চয়ই আমি আপনাদের জন্য পরিপূর্ণ, উজ্জ্বল পবিত্র দ্বীন নিয়ে এসেছি। এমনকি যদি ইহুদীদের নবী হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিও জীবিত থাকতেন, তবে উনার উপরও আমার আনীত পবিত্র দ্বীন মানা ওয়াজিব হতো।” (আহমদ, বায়হাক্বী)
অতএব, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যে জীবন বিধান দিয়েছেন তা যেমন পুরুষদের জন্য মানা ফরয-ওয়াজিব; তেমনি মহিলাদের জন্যও বিশ্বাস করা এবং মানা ফরয-ওয়াজিব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ মুবারক।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)
অন্যত্র খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন সেটা আঁকড়িয়ে ধরো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, সেটা থেকে বিরত থাক। এ বিষয়ে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর, নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
অর্থাৎ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা আদেশ করেছেন এবং যা নিষেধ করেছেন- সেটা পরিপূর্ণভাবে মেনে চলার নামই হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম’।
তাই পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরকেও অতি উত্তমভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মুতাবিক জীবনযাপন করতে হবে। আর যখন মহিলারা অনুরূপভাবে জীবনযাপন করবে তখনই তারা মুসলমান মহিলা বা আদর্শ মহিলা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে আনন্দবোধ করতে পরবে।
প্রকৃতপক্ষে একজন মহিলা তখনই আদর্শ মুসলিমা হিসেবে নিজেদের সার্থক মনে করবে যখন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক নিজেদের জীবনকে গঠন করবে। আর যথার্থ পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনেই মহিলাদের মুক্তি নিহিত। এজন্যে প্রয়োজন যামানার ইমাম উনার মুবারক সান্নিধ্য এবং ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করা। যেহেতু মহিলাদের পক্ষে তো যামানার ইমাম, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সরাসরি দর্শন লাভে, সান্নিধ্য হাছিল সম্ভব নয়। তাই মহিলাদেরকে মুজাদ্দিদে আ’যম, যামানার ইমাম উনার সহধর্মিণী আফযালুন নিসা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার খাছ ছোহবতের মাধ্যমে হাক্বীক্বী মুসলিমা মু’মিনায় পরিণত হতে হবে।
অন্যত্র খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত পবিত্র দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “তিনি (মহান আল্লাহ পাক) উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েত এবং সত্য পবিত্র দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন সমস্ত পবিত্র দ্বীনের উপর যা অতীতে ওহী মুবারক দ্বারা নাযিলকৃত এবং অতীতে, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে মানবরচিত সমস্ত মতবাদের উপর প্রাধান্য দিয়ে এবং এ বিষয়ে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষ্যই যথেষ্ট। (যার সাক্ষী মহান আল্লাহ পাক) আর রসূল হচ্ছেন হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” (পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮, ২৯)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদিন হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা ইহুদীদের নিকট থেকে কিছু নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা শুনে থাকি, তা থেকে কিছু লিখে রাখবো কি? তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আপনারাও কি ইহুদী-নাছারাদের মতো পবিত্র দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে দ্বিধাগ্রস্ত রয়েছেন? নিশ্চয়ই আমি আপনাদের জন্য পরিপূর্ণ, উজ্জ্বল পবিত্র দ্বীন নিয়ে এসেছি। এমনকি যদি ইহুদীদের নবী হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিও জীবিত থাকতেন, তবে উনার উপরও আমার আনীত পবিত্র দ্বীন মানা ওয়াজিব হতো।” (আহমদ, বায়হাক্বী)
অতএব, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যে জীবন বিধান দিয়েছেন তা যেমন পুরুষদের জন্য মানা ফরয-ওয়াজিব; তেমনি মহিলাদের জন্যও বিশ্বাস করা এবং মানা ফরয-ওয়াজিব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ মুবারক।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)
অন্যত্র খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন সেটা আঁকড়িয়ে ধরো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, সেটা থেকে বিরত থাক। এ বিষয়ে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর, নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
অর্থাৎ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা আদেশ করেছেন এবং যা নিষেধ করেছেন- সেটা পরিপূর্ণভাবে মেনে চলার নামই হচ্ছে- ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম’।
তাই পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরকেও অতি উত্তমভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মুতাবিক জীবনযাপন করতে হবে। আর যখন মহিলারা অনুরূপভাবে জীবনযাপন করবে তখনই তারা মুসলমান মহিলা বা আদর্শ মহিলা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে আনন্দবোধ করতে পরবে।
প্রকৃতপক্ষে একজন মহিলা তখনই আদর্শ মুসলিমা হিসেবে নিজেদের সার্থক মনে করবে যখন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক নিজেদের জীবনকে গঠন করবে। আর যথার্থ পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনেই মহিলাদের মুক্তি নিহিত। এজন্যে প্রয়োজন যামানার ইমাম উনার মুবারক সান্নিধ্য এবং ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করা। যেহেতু মহিলাদের পক্ষে তো যামানার ইমাম, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সরাসরি দর্শন লাভে, সান্নিধ্য হাছিল সম্ভব নয়। তাই মহিলাদেরকে মুজাদ্দিদে আ’যম, যামানার ইমাম উনার সহধর্মিণী আফযালুন নিসা, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, উম্মুল উমাম হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার খাছ ছোহবতের মাধ্যমে হাক্বীক্বী মুসলিমা মু’মিনায় পরিণত হতে হবে।
No comments:
Post a Comment