বছর
ঘুরে আবার এসেছে খুশির ঈদ। এক মাস সিয়াম সাধনার পর খুশির ঈদ উদযাপন করছে বাংলাদেশের
মুসলমানরা। বাংলাদেশের প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে অনুরণিত হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল
ইসলামের সেই কালজয়ী ক্বাছীদা ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ’। ঘরে-ঘরে জনে-জনে চলছে ঈদের আনন্দ বারতা। প্রভাত
বেলা হতেই ঈদের কোলাকুলিতে ঘোষিত হচ্ছে সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের মহিমা। সম্প্রীতির এই আনন্দধারায় সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক।
মুসলিম
সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় এই আনন্দ-উৎসব সামাজিক সম্প্রীতি আর সাম্যচেতনায় ভাস্বর। ধনী-গরিব
নির্বিশেষে সবাই একসাথে ঈদের আনন্দে শামিল- এটাই এই উৎসবের মূল মর্মবাণী। মাসজুড়ে রোজা
পালনের মাধ্যমে সংযম আর ত্যাগের শিক্ষা অর্জন এই আনন্দের জন্য প্রস্তুত করে প্রতিটি
মুসলমানকে। ধনী-গরিব সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করছে স্বজন-পরিজন নিয়ে দিনটি উদযাপনের। ঈদের কেনাকাটা
সেরে তাই সবাই মাটির টানে নাড়ির টানে শহর ছেড়ে গ্রামে হাজির। স্বজন-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিলনের বাঁধভাঙা
উচ্ছ্বাস দেখা গেছে পথে পথে।
এখন
ঘরে ঘরে পিঠা-পায়েস বানানো ও পরিবেশন হচ্ছে। শিশু-তরুণ-বৃদ্ধ সবাই মসজিদ ও ঈদগায়ে গিয়ে
নামাজ আদায় করে ।
No comments:
Post a Comment