খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন,
অর্থ: “(হে আমার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আর আপনি তাদেরকে তথা সমস্ত
বান্দাদেরকে, উম্মতদেরকে, সমস্ত কায়িনাতবাসীকে মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিন
মুবারকগুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিন, স্মরণ করিয়ে দিন। অর্থাৎ তারা যেন মহান আল্লাহ পাক
উনার সম্মানিত বিশেষ বিশেষ দিন মুবারকগুলো যথাযথভাবে অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীম মুবারক
ও সম্মান-ইজ্জত মুবারক উনাদের সাথে এবং অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে পালন করে, উদযাপন করে।
আর নিশ্চয়ই এর মধ্যে প্রত্যেক শুকুর-গুজার ও ধৈর্যশীল বান্দা-বান্দী উনাদের জন্য নিদর্শন
মুবারক তথা নাজ-নিয়ামত মুবারক, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক নিহিত রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ!
(সম্মানিত সূরা ইব্রাহীম
শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ: ৫)
নূরে মুর্কারাম, মুয়ায্যাম, সুলত্বানুল
আউলিয়া, নাওয়াসীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম, হাবীবাতুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুল
উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহ নাওয়াসী ছালিছা আলাইহাস সালাম উনার আযীমুশ শান আক্বীক্বা
মুবারক দিবস সুমহান ২০ যিলহজ্জ শরীফ হচ্ছে আইয়্যামিল্লাহ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার
আখাচ্ছুল খাছ বিশেষ দিন মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
তাই সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য, সমস্ত কায়িনাতবাসীর
জন্য ফরয হচ্ছে নূরে মুর্কারাম, মুয়ায্যাম, সুলত্বানুল আউলিয়া, নাওয়াসীয়ে মুজাদ্দিদে
আ’যম আলাইহিস সালাম, হাবীবাতুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত
শাহ নাওয়াসী ছালিছা আলাইহাস সালাম উনার আযীমুশ শান আক্বীক্বা মুবারক দিবস সুমহান ২০
যিলহজ্জ শরীফ উনাকে যথাযথভাবে অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীম মুবারক ও সম্মান-ইজ্জত মুবারক
উনাদের সাথে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, শিশুদের জন্মের সপ্তম দিনে
আক্বীক্বা দেয়া, নাম রাখা, মাথার চুল কাটা এবং চুল ওজন করে সেই অনুযায়ী রূপা ছদক্বা
করা সম্মানিত আখাচ্ছুল খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ
শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত সালমান ইবনে আমের দ্বববী রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা
আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, শিশুর জন্মের সাথে আক্বীক্বা
জড়িত। সুতরাং শিশুর পক্ষ থেকে তোমরা রক্ত প্রবাহিত করো (অর্থাৎ পশু যবেহ করো) এবং তার
শরীর হতে কষ্ট দূর করে দাও (অর্থাৎ তার মাথার চুল কেটে ফেলো)।” (বুখারী শরীফ, সুনানে
ইবনে মাজাহ, তিরমিযী শরীফ, মুছান্নাফে আব্দির রাজ্জাক্ব, মুছান্নাফে আবী শায়বাহ, মুসনাদে
আহমদ ইত্যাদি)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত উম্মে কুরয
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, তোমরা
পাখীকে তার বাসায় অবস্থান করতে দাও। উম্মে কুরয রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি আরো
বলেন, উনাকে এটাও ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি, ছেলের পক্ষ থেকে দুটি বক্রী এবং মেয়ের
পক্ষ থেকে একটি বকরী আক্বীক্বা দিতে হয় এবং সেগুলো ছাগ বা ছাগী হওয়ার মধ্যে কোনো দোষ
নেই।” (আবূ দাঊদ শরীফ,
তিরমিযী শরীফ, নাসায়ী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, মুছান্নাফে আবী শায়বাহ
শরীফ ইত্যাদি)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে: “হযরত হাসান বসরী
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সামুরা ইবনে জুনদুব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা
করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, শিশু আক্বীক্বার সাথে আবদ্ধ থাকে। জন্মের সপ্তম দিন তার
পক্ষ থেকে পশু যবেহ করবে এবং তার নাম রাখবে, তার মাথা মুড়াবে।” (মুসনাদে আহমদ শরীফ,
তিরমিযী শরীফ, নাসায়ী শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, মুসনাদে বাযযার শরীফ, মুস্তারকে হাকিম শরীফ,
আল মু’জামুল কবীর শরীফ, আল মু’জামুল আওসাত্ব শরীফ, শরহুস সুন্নাহ শরীফ)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে: “হযরত বুরাইদা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাহিলী যুগে আমাদের মধ্য থেকে
কারো সন্তান বিলাদত শরীফ গ্রহণ করলে সে একটি বকরী যবেহ করতো এবং তার রক্ত নিয়ে শিশুর
মাথায় মালিশ করে দিতো। কিন্তু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আবির্ভাবের পর শিশুর জন্মের
সপ্তম দিন আমরা একটি বকরী যবেহ করি, উক্ত শিশু উনার মাথা কামিয়ে ফেলি এবং উনার মাথায়
জাফরান মালিশ করি।” (আবূ দাঊদ শরীফ)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে: “উম্মুল মু’মিনীন
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদেরকে ছেলের পক্ষ থেকে
দুইটি এবং মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরী আক্বীক্বা দেয়ার জন্য নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন।”
(সুনানে ইবনে মাজাহ
শরীফ)
অন্য বর্ণনায় এসেছে: “যার কোনো সন্তান
জন্মগ্রহণ করে, আর সে সন্তানের পক্ষ থেকে কোনো পশু যবেহ করতে চায়, তবে সে যেন অবশ্যই
ছেলের পক্ষ থেকে দুইটি এবং মেয়ের পক্ষ একটি বকরী যবেহ করে।” (আবূ দাঊদ
শরীফ, নাসায়ী শরীফ)
উল্লেখ্য যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস
সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের সম্মানিত বিলাদত
শরীফ মুবারক গ্রহণের সপ্তম দিনে উনাদের আক্বীক্বা মুবারক দিয়েছেন, উনাদের নাম মুবারক
রেখেছেন এবং উনাদের মাথা মুবারক উনার চুল মুবারক কেটে চুল মুবারক উনার ওজন পরিমাণ রূপা
ছদক্বা করার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার
মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে: “সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম
উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা
হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের তরফ থেকে আক্বীক্বা মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
(আল মু’জামুল কাবীর
শরীফ, মাজমাউয যাওয়াইদ শরীফ)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে: “উম্মুল মু’মিনীন
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ
ছানী আলাইহিস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের সম্মানিত
বিলাদত শরীফ মুবারক গ্রহণের সপ্তম দিনে উনাদের আক্বীক্বা মুবারক দিয়েছেন, উনাদের নাম
মুবারক রেখেছেন এবং উনাদের মাথা মুবারক উনার চুল মুবারক কেটে ফেলার আদেশ মুবারক দিয়েছেন।”
(ছহীহ ইবনে হিব্বান
শরীফ, তুহফাতুল মুহতাজ শরীফ, আল বাদরুল মুনীর শরীফ ইত্যাদি)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে: “সাইয়্যিদুনা
হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস
সালাম উনার তরফ থেকে একটি বকরী দ্বারা আকীক্বা করেছেন এবং ইরশাদ মুবারক করেছেন, হে
হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, আপনি উনার মাথা মুবারক মুড়িয়ে দিন এবং চুলের ওজন পরিমাণ
রূপা ছদক্বা করুন। (সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,)
আমরা ইমামুছ ছানী সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার চুল মুবারকগুলি ওজন
করলাম। সেই সম্মানিত চুল মুবারকগুলো উনাদের ওজন এক দিরহাম বা তার চেয়ে কিছু কম ছিল।”
(তিরমিযী, আল ফাতহুল
কবীর, জামিউল আহাদীছ, জামউল জাওয়ামি’, যখায়েরুল উক্ববাহ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ইত্যাদি)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে: “হযরত ইবনে আব্বাস
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার এবং
ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের উভয়ের পক্ষ থেকে দুইটি দুইটি করে দুম্বা আক্বীক্বা
মুবারক করেছেন।” (নাসায়ী
শরীফ)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে: “উম্মুল মু’মিনীন
সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম
উনার এবং ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের সম্মানিত বিলাদত শরীফ মুবারক গ্রহণের সপ্তম
দিনে উভয়ের পক্ষ থেকে দুইটি দুইটি করে বকরী আক্বীক্বা মুবারক দিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!
(মুছান্নাফে আব্দির
রাজ্জাক্ব শরীফ, মাজমাউয যাওয়াইদ শরীফ, ছহীহ ইবনে হিব্বান শরীফ, দুলাবী শরীফ ইত্যাদি)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে: হযরত জাফর ইবনে
মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘হুসাইন’ নাম মুবারকখানা ‘হাসান’ থেকে
বের করেছেন। তিনি উভয়ের নাম মুবারক যথাক্রমে ‘হযরত হাসান আলাইহিস সালাম এবং হযরত হুসাইন
আলাইহিস সালাম’ রাখেন উভয়ের সম্মানিত বিলাদত শরীফ মুবারক গ্রহণের সপ্তম দিনে।” সুবহানাল্লাহ!
(যখাইরুল ‘উক্ববা
ফী মানাক্বিবিল যবিল কুরবা লিমুহিব্বে ত্ববারী শরীফ, দুলাবী শরীফ, সুবুলুল হুদা ওয়ার
রশাদ)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, “হযরত জাফর ইবনে মুহম্মদ
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার এবং ইমামুছ
ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাদের সম্মানিত নাম মুবারক যথাক্রমে ‘হাসান আলাইহিস সালাম এবং
হুসাইন আলাইহিস সালাম’ রাখেন উনাদের সম্মানিত বিলাদত শরীফ মুবারক গ্রহণের সপ্তম দিনে।
তিনি ‘হুসাইন’ নাম মুবারকখানা ‘হাসান’ থেকে বের করেছেন। আর সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন,
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আফদ্বলুন নাস ওয়াস সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাতুয
যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার এবং ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস
সালাম উনাদের সম্মানিত বিলাদত শরীফ মুবারক গ্রহণের সপ্তম দিনে উনাদের সম্মানিত মাথা
মুবারক মু-ন করেন এবং উনাদের চুল মুবারক ওজন করে সেই সম্মানিত ওজন মুবারক অনুযায়ী রূপা
ছদক্বা করেন।” সুবহানাল্লাহ! (মু’জামুছ ছাহাবাহ লিলবাগবী, যখাইরুল ‘উক্ববাহ, দুলাবী)
আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে: “সাইয়্যিদুনা
হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইমামুছ
ছানী সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বিলাদত শরীফ মুবারক
গ্রহণ করলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আফদ্বলুন নাস ওয়াস
সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক
রেখে বলেন, আমাকে আমার সন্তানকে (নাতিকে) দেখান। উনার কি নাম মুবারক রেখেছেন? আমি বললাম,
উনার নাম মুবারক রেখেছি ‘হারব’। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, না। বরং উনার সম্মানিত নাম মুবারক রাখুন ‘হযরত হাসান
আলাইহিস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে ইমামুছ ছালিছ সাইয়্যিদুনা হযরত হুসাইন আলাইহিস
সালাম তিনি সম্মানিত বিলাদত শরীফ মুবারক গ্রহণ করলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রেখে বলেন, আমাকে
আমার সন্তানকে (নাতিকে) দেখান। উনার কি নাম মুবারক রেখেছেন? আমি বললাম, উনার নাম মুবারক
রেখেছি ‘হারব’। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি বললেন, না। বরং উনার সম্মানিত নাম মুবারক রাখুন ‘হযরত হুসাইন আলাইহিস সালাম’।”
সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে
হাকিম শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, ছহীহ ইবনে হিব্বান শরীফ, আল মু’জামুল কাবীর শরীফ, মাজমাউয
যাওয়াইদ শরীফ, ইছাবাহ শরীফ, আল আদাবুল মুফরাদ শরীফ)
মূলত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন হযরত ইমামুছ ছানী ও হযরত ইমামুছ ছালিছ
আলাইহিমাস সালাম উনাদের সম্মানিত বিলাদত শরীফ গ্রহণের সপ্তম দিনে আক্বীক্বা মুবারক
দিয়েছেন, উনাদের সম্মানিত নাম মুবারক রেখেছেন, উনাদের সম্মানিত মাথা মুবারক মু-ন করে
চুল মুবারক ওজন করে সেই সম্মানিত ওজন মুবারক অনুযায়ী রূপা ছদক্বা করার নির্দেশ দিয়েছেন;
তেমনিভাবে মুজাদ্দিদে আ’যম, বাহরুল উলূম, আল জাব্বারিউল আউওয়াল ওয়াল ক্বউইয়ুল আউওয়াল,
সাইয়্যিদুল খুলাফা পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম
খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার সম্মানিতা নাওয়াসী ছালিছা আলাইহাস
সালাম উনার সম্মানিত বিলাদত শরীফ মুবারক গ্রহণের আজ সপ্তম দিনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সেই মহাসম্মানিত আযীমুশ শান সুন্নত
মুবারক আদায় করতে যাচ্ছেন। অর্থাৎ তিনি উনার দৌহিত্রা আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুল উমাম
সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহ নাওয়াসী ছালিছা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বিলাদত শরীফ মুবারক
গ্রহণ করার আজ সপ্তম দিনে উনার আযীমুশ শান আক্বীক্বা মুবারক দিতে যাচ্ছেন, উনার সম্মানিত
নাম মুবারক রাখতে যাচ্ছেন এবং এই সংশ্লিষ্ট যাবতীয় সমস্ত সুন্নত মুবারকগুলো পালন করতে
যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, আজকের এই মহাসম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক দিবস
আমাদেরকে নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সাথে হযরত ইমামুছ ছানী ও হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিমাস সালাম উনাদের বিজড়িত স্মৃতি মুবারকগুলো
স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। সুবহানাল্লাহ!
সুতরাং এরই মাধ্যম দিয়ে বিষয়টি বিশ্ববাসীর
নিকট, সমস্ত কায়িনাতবাসীর নিকট অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ
মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি
হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম, উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনারা হচ্ছেন নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী
ক্বায়িম-মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ!
তাই আমাদের জন্য, সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য
ফরয হচ্ছে- মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ
হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার, উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের এবং নূরে মুর্কারাম, মুয়ায্যাম, সুলত্বানুল আউলিয়া, নাওয়াসীয়ে মুজাদ্দিদে
আ’যম আলাইহিস সালাম, হাবীবাতুল্লাহ, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত
শাহ নাওয়াসী ছালিছা আলাইহাস সালাম উনাদেরকে যথাযথভাবে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের
সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া, উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক করা, উনাদের হাক্বীক্বী
গোলামী করা। তবেই আমরা ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে পারবে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুর্কারাম,
মুয়ায্যাম, সুলত্বানুল আউলিয়া, নাওয়াসীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম, হাবীবাতুল্লাহ,
আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাতুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহ নাওয়াসী ছালিছা আলাইহাস সালাম
উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক দান করুন। আমীন।
No comments:
Post a Comment