Monday, October 20, 2014

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে বেড়ছে ছিনতাই ও চুরি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে চুরি ও ছিনতাইয়ের আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতিদিন রাতেই ঘটছে কোন না কোন চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা। শহরের ১০টি পয়েন্ট এখন সাধারণ মানুষের কাছে মহাআতঙ্কের নাম। গত বুধবার (১৫ অক্টোবর-২০১৪) ভোরে জেলা শহরের বালুবাগান পিটিআই সড়কের স’মিলের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে এক কলা বিক্রেতা। ছিনতাইকারীরা পথরোধ করে তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের বেশ কিছু পয়েন্টে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে শহরের ফুড অফিস মোড়, সরকারি কলেজ গেট, সরকারি কলেজের মসজিদ সংলগ্ন সড়ক, পাঠানপাড়ার আনোয়ার ডাক্তারের বাড়ির সামনের সড়ক, শান্তি মোড়, আরামবাগ, পিটিআই মোড়, বালুগ্রাম কলেজ সংলগ্ন এলাকা, ফায়ার সার্ভিস মোড়সহ বেশ কিছু পয়েন্টে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। তাই এসব এলাকা এখন সাধারণ মানুষের কাছে মহাআতঙ্কের নাম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১২টার পর এসব এলাকায় পারত পক্ষে যেতে চান না মানুষ। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছে, রাত ১২টার পর থেকেই এসব এলাকা চলে যায় ছিনতাইকারীদের দখলে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। অবস্থা এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, প্রতি রাতেই শহরের কোনো না কোনো পয়েন্টে একটি হলেও ছিনতায়ের ঘটনা ঘটছে। মূলত নৈশ কোচে আসা যাত্রী ও ভোর বেলার পথচারীরাই ছিনতাইকারীদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে।
গত ১৫ অক্টোবর-২০১৪ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রেল স্টেশন এলাকায় কলা কিনতে যাওয়ার সময় জেলা শহরের বালুবাগান পিটিআই সড়কের স’মিলের সামনে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে আসগর আলী নামের এক ব্যবসায়ী। এসময় ছিনতাইকারীরা ছিনতাইকারীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে হাসপাতাল থেকে দুপুরের পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আসগর আলী সদর উপজেলার চক আলমপুর গ্রামের শীষ মোহাম্মদের ছেলে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় চুরির ঘটনাও আগের চেয়ে বেড়েছে।

এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ নিয়মিত কাজ করছে। তারপরেও কিছু কিছু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলে অনেক সময় পুলিশের কাছে আসে না ভুক্তভোগীরা। তাই আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারি না।

No comments:

Post a Comment