Monday, October 27, 2014

সাইয়্যিদুল ক্বওনাইন, যাবীহুল্লাহ হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার খুছুছিয়ত মুবারক ও সীরাত মুবারক

মাখলুকাত মাঝে মহান আল্লাহ পাক কর্তৃক আখাছছুল খাছভাবে মনোনীত ব্যক্তিত্বগণ উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম। তিনি মহান বারী তায়ালা উনার সর্বাধিক প্রিয়পাত্র বলেই নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধারণ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن جابر رضى الله تعالى عنه قال قلت يارسول الله صلى الله عليه وسلم بابى انت وامى اخبرنى عن اول شئ خلقه الله قبل الاشياء قال يا جابر ان الله تعالى خلق قبل الاشياء نور نبيك من نوره فجعل ذلك النور يدور بالقدرة حيث شاء الله تعالى ولم يكن فى ذلك الوقت لوح ولا قلم ولا سماء ولا ارض.

অর্থ: হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আরয করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম কি সৃষ্টি করেছেন? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আপনি জেনে রাখুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আপনার নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন। অতঃপর সেই নূর মুবারক মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছা মুবারক অনুযায়ী বিচরণ মুবারক করতে থাকেন। সেই সময় লৌহ-কলম, আসমান-যমীন কোনো কিছুই ছিলো না। (মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া)

কিতাবে উল্লেখ করা হয়, সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি দুনিয়ার যমীনে ২৫ বছর অবস্থান মুবারক করেন। সে অনুযায়ী ঈসায়ী ৫৪৫ সনে তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মাঝে বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার পর্যায়ক্রমে ছয়জন আহলিয়া ছিলেন। উনাদের মধ্যে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার আদী বংশের যাহরা গোত্রের সাইয়্যিদুনা হযরত ফাতিমা বিনতে আমর ইবনে আইছ আলাইহাস সালাম উনার রেহেম শরীফে হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার হুলিয়া মুবারক উনার হুসনিয়াত তৎকালীন আরবীদেরকে অত্যাধিক আশ্চর্যান্বি^ত করেছে। কিতাবে উল্লেখ করা হয়-

كان صيت حسن حضرت عبد الله عليه السلام و جماله مشتهرا.

অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি হুসনিয়াত ও জামালিয়তের কারণে অত্যাধিক প্রসিদ্ধ ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! (মাদারেজুন নবুওওয়াত)
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক কর্তৃক পূর্ব মনোনীত মহান ব্যক্তিত্ব। সঙ্গতকারণেই উনার শান মুবারক ও খুছুছিয়ত মুবারক সম্পর্কে পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহে সুস্পষ্ট আলোচনা মুবারক ছিলো। এ সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ করা হয়-

اهل الكتاب كانوا يعرفون عن بعض العلمات ان النبى صلى الله عليه وسلم اخر الزمان يكون من صلب حضرت عبد الله عليه السلام فيعادونه عدوانا.

অর্থ: আহলে কিতাবগণ বিভিন্ন আলামত (তথা তাদের কিতাবী বর্ণনার কারণে) জানত যে, আখিরী নবী নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ঔরস মুবারক হতে তাশরীফ মুবারক আনবেন। (তারা উনাকে খুব-ভালোভাবেই চিনতো) তারা উনার প্রতি শত্রুতা পোষণ করতো। (আল বারাহিনুল ক্বতইয়্যা ফি মাওলিদী খইরিল বারিয়্যা)
সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সদা-সর্বদা গাইবী মদদ দ্বারা বেষ্টিত ছিলেন। অপরদিকে উনার অসংখ্য কারামত মুবারক নিয়মিত প্রকাশ হতো। কিতাবে উল্লেখ করা হয়-

كان حضرت عبد الله عليه السلام ذهب للصيد يوما فوصل جماعة كثيرة من جانب الشام لقصد حضرت عبد الله عليه السلام مسلين سيوفا وكان حضرت وهب بن مناف عليه السلام فى ذلك الصحراء ايضا فراى فرسانا اجلادا لايشبهون باهل عالم الشهادة ظهورا من الغيب و دفعوا الجماعة عنه دفعا.

অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি শিকার করার জন্য এক স্থানে তাশরীফ মুবারক রাখলেন। তখন শাম দেশের দিক হতে একদল শত্রু উনাকে শহীদ করার জন্য তরবারী নিয়ে এগিয়ে আসলো। সে স্থানে হযরত ওয়াহাব ইবনে মান্নাফ আলাইহিস সালাম তিনিও উপস্থিত ছিলেন। তিনি দেখতে পেলেন, সাধারণ মানুষের সাথে সামনজস্য নেই এমন একদল তেজস্বী অশ্বারোহী দ্রুতগতিতে আসলো। আগত অশ্বারোহী দল সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার শত্রুদেরকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে পুনরায় অদৃশ্য হয়ে যায়। (নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতা আলাইহিস সালাম উনাকে যেরূপ পূর্বেই মনোনীত করে রেখেছেন, তদ্রƒপ হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেও মনোনীত করেই দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। সঙ্গতকারণেই উনাদের শাদী মুবারক ছিলো মহান বারী তায়ালা কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত। তাই তো অন্যান্য মহিলাদের প্রস্তাবনা বাতিল করে উনাদের শাদী মুবারক সম্পন্ন হয়। কিতাবে উল্লেখ করা হয়-

قال حسن بن احـمد البكرى رحمة الله عليه لـما اراد الجليل جل جلا له ان ينقل نور سيدنا محمد صلى الله عليه وسلم، جرك فى قلب عبد الله بن عبد الـمطلب عليه السلام ان يتزوج فقال عبد الله عليه السلام لامه عليها السلام اريد منك ان تـخطبى لى امراة ذات حسن وجمال وقد واعتدال وبـهاء وكمال وحسب ونسب عال، قالت حبا وكرامة يا ولدى، ثـم انـها دارت احياء قريش وبنات العرب، فلم يعجبها الا امنة بنت وهب عليها السلام، فقال يا اماه انظريها مرة ثانية، فمضب ونظرتـها فاذا هى تضىء كانـها كوكب درى، فانقدوها اوقية من فضة واوقية من ذهب، ومائة من الابل ومثلها من البقر والغنم وذبح واصلح طعام كثير، لاجل عرس عبد الله بن عبد الـمطلب عليه السلام، و زفت له ثـم اختلا بـها عبد الله فى خلوة الـطاعة عشبة، وكانت ليلة الـجمعة روى انه لـما اراد الله ان يـخلق مـحمدا صلى الله عليه وسلم فى بطن امه امنة عليها السلام ليلة الـجمعة من شهر رجب الاصم،

অর্থ; হযরত হাসান বিন আহমদ বাকরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: যখন মহান আল্লাহ জাল্লা জালালুহু তিনি সাইয়্যিদুনা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারককে উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার রেহেম শরীফ-এ স্থানান্তরিত করার ইচ্ছা মুবারক করলেন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক অন্তরে নিকাহ করার আগ্রহ সৃষ্টি করে দিলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম তিনি নিজ মাতা উনাকে বললেন, আমি চাচ্ছি আপনি আমার সাথে একজন আহলিয়াকে নিকাহের মাধ্যমে সম্পর্ক করে দেন; যিনি হবেন উত্তম চরিত্রের অধিকারিনী, সুদশর্না, ন্যায় নিষ্ঠাবান, জ্যোতির্ময়, পূর্ণতাপ্রাপ্তা ও সুউচ্চ বংশ ও গোত্রের ব্যক্তিত্বা। উনার মাতা তিনি উত্তরে বললেন, হে আমার স্নেহের আওলাদ! আপনার জন্য মুহব্বত ও সম্মান-ইজ্জত। অতঃপর তিনি (উনার মাতা) কুরাইশ বংশের ও আরবের সকল কুমারী মহিলাগণের ব্যাপারে প্রতিটি বাড়ি থেকে সংবাদ নিলেন। উনার কাছে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত আমিনা বিনতে ওয়াহাব আলাইহাস সালাম তিনি ব্যতীত অন্য কাউকে উপযুক্ত মনে হলো না। বলা হলো- হে সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মাতা! আপনি দ্বিতীয়বারের মতো আবারো উনাকে দেখুন। অতএব, তিনি আবারো দেখলেন এমতাবস্থায় যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তিনি নূরানী আলোকময়, যেন মুক্তা সাদৃশ্য তারকা। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনাদের উভয়ের মধ্যে নিকাহ মুবারক সুসম্পন্ন করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
এই মুবারক বিবাহে উনাকে নগদ এক আউকিয়া স্বর্ণ ও এক আউকিয়া রৌপ্য দেনমোহর হিসেবে প্রদান করা হয়েছিলো। সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকাহ মুবারক উনার ওলীমায় একশতটি উট, একশত গরু, একশত বকরী (খাশি, মেষ, ভেড়া, দুম্বা, ছাগল) জবাই করা হয়েছিলো এবং প্রচুর খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনাকে সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ফুল সজ্জিত ঘর মুবারকে পাঠানো হলো। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার আহলিয়া উনার সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ মুবারক লাভ করলেন। সেই মুবারক রাতখানা ছিলো লাইলাতুল পবিত্র জুমুয়াতি বা জুমুয়া উনার রাত। বর্ণিত রয়েছে যে, “যখন মহান আল্লাহ পাক চাইলেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার বরকতময় রেহেম শরীফ উনাতে তাশরীফ মুবারক নেন, সে সময়টি ছিলো রজবুল আছাম মাস উনার ১লা লাইলাতুল জুমুয়াতি বা জুমুয়াবার রাত (লক্ষণীয় যে, সেই বছর রজব মাসের ১লা জুমুয়াবার ছিলো ১লা তারিখেই)। (আন নিয়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম)
সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মুবারক ব্যবসা করার জন্য সিরিয়া মতান্তরে বসরা সফর করেছেন। যা উনার পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণের ঘটনা মুবারক হতে খুব সহজেই অনুধাবনীয়।
সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণের তারিখ সম্পর্কে উম্মাহ ছিল গাফিল। খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সুলত্বানুল আউলিয়া, মাখযানুল মারিফাহ, খযীনাতুর রহমাহ, মুঈনুল মিল্লাহ, লিসানুল উম্মাহ, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার সীমাহীন দয়া ও ইহসান। তিনি আমাদের চোখ-কান খুলে দিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার তারিখ পবিত্র ২রা মুর্হরমুল হারাম শরীফ। একটু সূক্ষ্মভাবে ফিকির করলে দেখা যাবে আমরা প্রায়ই পাঠ করি, কিন্তু হাক্বীক্বী নিসবত না থাকার কারণে বিষয়টি আমাদের উপলব্ধিতে আসেনি। আমরা পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার তাওয়াল্লুদ শরীফে পাঠ করি-

وَلَـمَّا تَـمَّ مِنْ حَـمْلِه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّةُ اَشْهُرٍ عَلٰى مَشْهُوْرِ الْاَقْوَالِ الْـمَرْوِيَّةِ، تُوُفّـىَ بِالْـمَدِيْنَةِ الْـمُنَوَّرَةِ الشَّرِيْفَةِ حَضْرَتْ ذَبِيْحُ اللهِ الْمُكَرَّمُ اَبُوْهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ قَدِ اجْتَازَ بِاَخْوَالِه بَنِىْ عَدِىّ مّنَ الطَّائِفَةِ النَّجَّارِيَّةِ، وَمَكَثَ فِيْهِمْ شَهْرًا سَقِيْمًا يُّعَانُوْنَ سُقْمَه وَشَكْوَاهُ، 

অর্থ: মশহুর তথা অধিক প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে, যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম রেহেম শরীফ উনার মধ্যে অবস্থানকাল মুবারক ছয় মাস পূর্ণ হলো, তখন উনার সম্মানিত পিতা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মদীনা মুনাওওয়ারা শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। যখন তিনি নাজ্জারিয়া গোত্রের বনী আদী বংশে উনার মামাগণ উনাদের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন, তখন তিনি উনার মামাগণ উনাদের বাড়িতে রোগ নিরাময়ের জন্য একমাস থাকাবস্থায় সে রোগেই পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম রেহেম শরীফ উনার মধ্যে অবস্থান মুবারক নিয়েছেন পহেলা রজবুল হারাম শরীফ। সে অনুযায়ী ছয় মাস পুরা হয় ১লা মহররম শরীফে। সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন ২রা মহররমুল হারাম শরীফে। কাজেই সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক শানে আমাদেরকে হাক্বীক্বী হুসনে যন পোষণ করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসীলায় আমাদেরকে  সেই তাওফীক্ব দান করুন। (আমীন)

No comments:

Post a Comment