পুত্রবধূর জন্য শ্বশুরের দৈহিক কোনো
খিদমত করা উচিত নয়। তবে কাপড় ধোয়া, খানা-পিনার ব্যবস্থা করে দেয়া ইত্যাদি ধরনের দূরত্বসম্পন্ন কাজ করা যেতে পারে।
কিন্তু শারীরিক কোনো খিদমত করা বা নেয়া কিছুতেই শুদ্ধ নয়। অন্যথায় এ ফিতনা-ফাসাদের
যামানায় এমনও ঘটনা ঘটে যেতে পারে- যার কারণ স্বামীর জন্য তার স্ত্রী চিরতরে হারাম হয়ে
যাবে। যা হালাল করার কোনো পন্থা-পদ্ধতিই হাতে থাকবে না। তখন বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে তালাক
দিতে হবে। কাজেই বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দেয়া কর্তব্য। একইভাবে সৎমা বালিগ বা প্রাপ্ত
বয়স্ক ছেলের দৈহিক কোনো খিদমত করবে না এবং নিজেও তার থেকে অনুরূপ দৈহিক খিদমত গ্রহণ
করবে না। অবশ্য আর্থিক বা অন্যান্য খিদমত করতে পারবে। কিন্তু দৈহিক খিদমত করা বা নেয়া
থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকবে। কেননা দৈহিক খিদমতের কারণে অনাকাঙ্খিত এমন ঘটনা সংঘটিত
হতে পারে,
যার ফলে সৎমা তার নিজ স্বামীর জন্য চিরতরে হারাম হয়ে যাবে।
সৎমেয়ের ক্ষেত্রেও সৎবাপের সতর্কতা
অবলম্বন করা জরুরী। অন্যথায় স্বীয় স্ত্রী চিরদিনের জন্য হারাম হয়ে যাওয়ার কোনো উদ্ভূত
পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
স্মতর্ব্য যে, এ সকল সতর্কতামূলক হুঁশিয়ারী এ জন্যই করা হয়েছে যে, সেসব ক্ষেত্রে তারা সামান্যতম অসতর্কতার দরুন এমন মারাত্মক ক্ষতির
সম্মুখীন হতে পারে; তাতে পরকালীন ক্ষতি
তো আছেই দুনিয়াবী এমন অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হতে পারে- যা সংশোধনের কোনো পথই নেই। যেমন-
১) স্বামী তার প্রয়োজনে নিজের স্ত্রীকে
উঠাতে চায়, কিন্তু ভুলে শাহওয়াতের সাথে নিজের
মেয়ের শরীরে হাত পড়ে গেল (হাত পড়ার সাথে সাথে হারাম সাব্যস্ত হওয়ার শর্ত পাওয়া গেলো)
তাহলে ঐ স্ত্রী উক্ত স্বামীর জন্য সারা জীবনের তরে হারাম হয়ে যাবে।
একইভাবে স্ত্রী তার স্বামীকে জাগানোর
ইচ্ছা করলো। কিন্তু অজান্তে অন্ধকারের মধ্যে তার হাত শাহওয়াতের সাথে তার উপযুক্ত ছেলের
শরীরে লেগে গেলো এবং হারাম হওয়ার শর্তসমূহ পাওয়া গেলো, তাহলে ওই স্ত্রী তার আপন স্বামীর উপর চিরতরে হারাম হয়ে যাবে।
২) কেউ নিজের স্ত্রীকে একান্ত কাছে পাওয়ার জন্য ইচ্ছা করে, কিন্তু ভুলে তার হাত প্রাপ্ত বয়স্কা মেয়ের শরীরে পড়লো এবং সে
শাহওয়াতের সাথে নিজের স্ত্রী মনে করে খোচা দিলো। তাতে তার স্ত্রী উক্ত পুরুষের জন্য
চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। (আলমগীরী, ২৭৪ পৃ:)
৩) উল্লেখিত সূরতে বা অবস্থায় কাম বা শাহওয়াতের সাথে স্পর্শ
করার সাথে সাথে স্ত্রী তার স্বামীর জন্য হারাম হয়ে যাবে। চাই ইচ্ছাকৃত করুক কিংবা অনিচ্ছাকৃত
স্পর্শ করুক অথবা ভুলে স্পর্শ করুক না কেন। (ফতওয়ায়ে আলমগীরী, ১:২৭৪)
No comments:
Post a Comment