======
মিডিয়া সবার মৃত্যু বা ইন্তেকালের খবর প্রচার করে না। কিন্তু মিডিয়া যাদের মৃত্যুবরণের খবর ফলাও করে ছাপায়, তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সুমহান মূল্যবোধের আলোকে কোনো মূল্যায়নের তবকায় পড়ে না। তদুপরি মিডিয়ায় আজকাল মুসলমানের মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে ইন্তিকাল শব্দটিও ব্যবহার করা হয় না। শিরোনাম হয়, “তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে”, অমুকের জীবনাবাসন”, “তিনি আর নেই”, “চির নিদ্রায় শায়িত”, “অমুকের মহাপ্রয়াণ”, “তার চলে যাওয়াটা কি খুব জরুরী ছিল?” ইত্যাদি ইত্যাদি।
বলাবাহুল্য, মিডিয়ার শিরোনামে প্রতিভাত হয় যে, মিডিয়া মৃত্যু পরবর্তী জনম সম্পর্কে নিরেট অন্ধকারে আছে। অজ্ঞতায় আছে। অবিশ্বাসে আছে এবং তথ্যগত অপূর্ণতায় আছে। অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে পুরো বিশ্বাস করলেই কেউ কেবলমাত্র মুসলমান হওয়া যায়। আর পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি শুকনা ও ভিজা কোনোটাই এ কিতাবে বর্ণনা করতে ছাড়িনি।”
কাজেই মৃত্যুর পর মৃতব্যক্তির কী অবস্থা হতে পারে- সেটা কিন্তু অন্ততঃ আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মতোই মিডিয়া পূর্বধারণা দিতে পারতো। কিন্তু মিডিয়া ও এর দ্বারা প্রভাবিত সাধারণ মানুষ মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে বড়ই বেখবর। পাশাপাশি তারা কি করলে অথবা যেসব মহান ব্যক্তিত্ব উনাদের মূল্যায়ন ও স্মরণ করলে বিশেষতঃ সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম তথা খিদমত বিশেষতঃ উনাদের মহিমান্বিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ ও পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস যথাযোগ্যভাবে পালনের কোশেশ করা যে অনিবার্য ও চরম ফায়দাকর তা প্রকাশ করতে, প্রচার করতে, চেতনা বিস্তার করতে মিডিয়া, নামধারী আলিম-উলামা, সরকার সবাই চরমভাবে ব্যর্থ। নাঊযুবিল্লাহ!
উল্লেখ্য, সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহণের ফলে এখন আর সরকারিভাবে বিশ্বাস করা হয় না (নাঊযুবিল্লাহ!) যে- মহান আল্লাহ পাক তিনিই রিযিক, দৌলত, হায়াত, মৃত্যুর মালিক। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই সবকিছু বণ্টনের মালিক এবং উনার পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি নিসবত তায়াল্লুক, খিদমতের আলোকেই এ বণ্টন হয়। সুবহানাল্লাহ!
এছাড়া অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামগণ উনারা যমীনবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানকারী তথা সার্বিক ফায়দা বিতরণকারী।” সুবহানাল্লাহ!
সংবিধানে ‘রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম’ বিধিবদ্ধ থাকলেও সরকার মহিমান্বিত এ বিষয়টি আমলে নেয় না। নাঊযুবিল্লাহ! এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান- উনাদের মাঝে মৌলিক ঈমানী ইলম ও আমলের চেতনা বিস্তার করে না। সর্বপোরি মহিমান্বিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস পালনের প্রতি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা করে না। যা যুগপৎভাবে গভীর দুঃখজনক ও চরম সংক্ষুব্ধমূলক।
প্রসঙ্গত, আজ ইমামুল মুত্তাক্বীন, সুলত্বানুল আউলিয়া, পেশওয়ায়ে দ্বীন, আওলাদে রসূল, ইমামুর রবি’ সাইয়্যিদুনা ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের সুমহান দিবস। তিনি ৯৪ হিজরী সনের এদিনে তথা ২৫ মুহররমুল হারাম শরীফ তারিখে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার পবিত্র শাহাদাতী তথা পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন প্রায় ৪৭ বছর বয়স মুবারকে। মুনাফিক ও কাফিরেরা উনাকে ধোঁকা দিয়ে বিষ পান করিয়েছিল। নাউযুবিল্লাহ! উনাকে পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফ উনার মধ্যে দাফন মুবারক করা হয়েছে। অর্থাৎ উনার পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত।
কারবালার ঘটনার পর ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখনই পানি দেখতেন, তখনই কারবালায় হযরত আহলু বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পিপাসার কথা মনে পড়তো ও তিনি এতে অত্যন্ত ব্যথিত হতেন।
ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম তিনি সবসময় রোযা রাখতেন। ইফতারীর সময় তিনি অত্যন্ত বেদনাতুর হয়ে বলতেন, হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শহীদ করা হয়েছে ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্ত অবস্থায়।
সাইয়্যিদুনা ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসুলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার এই দুনিয়াবী জিন্দেগীর পুরো সময়ই সম্মানিত আহলু বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্য অশ্রু ঝরিয়েছেন, উনাদের ব্যথায় বেদনাতুর সময় কাটিয়েছেন। যে কারণে উনাকে কারাবালার মর্মান্তিক ঘটনার পর কেউ কখনো হাসতে দেখেনি।
মূলত, ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার এ করুণ কাহিনীতে যদি কোনো মুসলমানের কান্না উদগলিত না হয়, তবে সে মুসলমান থাকতে পারে না। এমনকি কেউ যদি এ ঘটনার কাফফারা আদায় ও এ ঘটনা থেকে নসীহত হাসিল না করতে চায়, তবে সেও মুসলমান থাকতে পারবে না। নাঊযুবিল্লাহ!
বলার অপেক্ষা রাখে না, সেক্ষেত্রে অনন্য ও অনবদ্য নছীহত এই যে, বর্তমান যামানায় যিনি লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ও উনার মহিমান্বিত সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ হুসনে যন পোষণ করা, মুহব্বত, মা’রিফাত লাভ করা, খিদমতে, নিসবতে ফানা হয়ে বাক্বা লাভ করা। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, তখনই হবে ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার প্রতি মুহব্বত পোষণের সার্থক বহিঃপ্রকাশ।
প্রসঙ্গত, “প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য, সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য তথা বিশ্বের সকল মুসলিম সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ছাওয়ানেহে উমরী মুবারক জানা, পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা, সেখান থেকে নছীহত হাছিল করা এবং এদিনে সরকারিভাবে ছুটির ঘোষণা করা। এছাড়া সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সব বিশেষ বিষয় সর্ম্পকে ইলম হাছিল করা এবং এসব মর্যাদাপূর্ণ দিনগুলো বেমেছাল তাযীম-তাকরীম ও গভীর জওক-শওকের সাথে ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি যথাযথভাবে পালন করা।
পাশাপাশি এদিনে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করা ও এদিনের ফাযায়িল-ফযীলত বর্ণনা করা তথা ওয়াজ শরীফ ও সামা শরীফ উনাদের মাহফিলের ব্যবস্থা করা, মানুষকে খাদ্য খাওয়ানো, গরিব-দুঃখীদের আর্থিক সহায়তা করাসহ সব ধরনের নেক কাজ করা।”
মিডিয়া সবার মৃত্যু বা ইন্তেকালের খবর প্রচার করে না। কিন্তু মিডিয়া যাদের মৃত্যুবরণের খবর ফলাও করে ছাপায়, তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সুমহান মূল্যবোধের আলোকে কোনো মূল্যায়নের তবকায় পড়ে না। তদুপরি মিডিয়ায় আজকাল মুসলমানের মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে ইন্তিকাল শব্দটিও ব্যবহার করা হয় না। শিরোনাম হয়, “তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে”, অমুকের জীবনাবাসন”, “তিনি আর নেই”, “চির নিদ্রায় শায়িত”, “অমুকের মহাপ্রয়াণ”, “তার চলে যাওয়াটা কি খুব জরুরী ছিল?” ইত্যাদি ইত্যাদি।
বলাবাহুল্য, মিডিয়ার শিরোনামে প্রতিভাত হয় যে, মিডিয়া মৃত্যু পরবর্তী জনম সম্পর্কে নিরেট অন্ধকারে আছে। অজ্ঞতায় আছে। অবিশ্বাসে আছে এবং তথ্যগত অপূর্ণতায় আছে। অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে পুরো বিশ্বাস করলেই কেউ কেবলমাত্র মুসলমান হওয়া যায়। আর পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি শুকনা ও ভিজা কোনোটাই এ কিতাবে বর্ণনা করতে ছাড়িনি।”
কাজেই মৃত্যুর পর মৃতব্যক্তির কী অবস্থা হতে পারে- সেটা কিন্তু অন্ততঃ আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মতোই মিডিয়া পূর্বধারণা দিতে পারতো। কিন্তু মিডিয়া ও এর দ্বারা প্রভাবিত সাধারণ মানুষ মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে বড়ই বেখবর। পাশাপাশি তারা কি করলে অথবা যেসব মহান ব্যক্তিত্ব উনাদের মূল্যায়ন ও স্মরণ করলে বিশেষতঃ সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম তথা খিদমত বিশেষতঃ উনাদের মহিমান্বিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ ও পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস যথাযোগ্যভাবে পালনের কোশেশ করা যে অনিবার্য ও চরম ফায়দাকর তা প্রকাশ করতে, প্রচার করতে, চেতনা বিস্তার করতে মিডিয়া, নামধারী আলিম-উলামা, সরকার সবাই চরমভাবে ব্যর্থ। নাঊযুবিল্লাহ!
উল্লেখ্য, সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহণের ফলে এখন আর সরকারিভাবে বিশ্বাস করা হয় না (নাঊযুবিল্লাহ!) যে- মহান আল্লাহ পাক তিনিই রিযিক, দৌলত, হায়াত, মৃত্যুর মালিক। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই সবকিছু বণ্টনের মালিক এবং উনার পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি নিসবত তায়াল্লুক, খিদমতের আলোকেই এ বণ্টন হয়। সুবহানাল্লাহ!
এছাড়া অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামগণ উনারা যমীনবাসীকে নিরাপত্তা প্রদানকারী তথা সার্বিক ফায়দা বিতরণকারী।” সুবহানাল্লাহ!
সংবিধানে ‘রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম’ বিধিবদ্ধ থাকলেও সরকার মহিমান্বিত এ বিষয়টি আমলে নেয় না। নাঊযুবিল্লাহ! এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান- উনাদের মাঝে মৌলিক ঈমানী ইলম ও আমলের চেতনা বিস্তার করে না। সর্বপোরি মহিমান্বিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম তথা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস পালনের প্রতি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা করে না। যা যুগপৎভাবে গভীর দুঃখজনক ও চরম সংক্ষুব্ধমূলক।
প্রসঙ্গত, আজ ইমামুল মুত্তাক্বীন, সুলত্বানুল আউলিয়া, পেশওয়ায়ে দ্বীন, আওলাদে রসূল, ইমামুর রবি’ সাইয়্যিদুনা ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের সুমহান দিবস। তিনি ৯৪ হিজরী সনের এদিনে তথা ২৫ মুহররমুল হারাম শরীফ তারিখে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার পবিত্র শাহাদাতী তথা পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন প্রায় ৪৭ বছর বয়স মুবারকে। মুনাফিক ও কাফিরেরা উনাকে ধোঁকা দিয়ে বিষ পান করিয়েছিল। নাউযুবিল্লাহ! উনাকে পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফ উনার মধ্যে দাফন মুবারক করা হয়েছে। অর্থাৎ উনার পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত।
কারবালার ঘটনার পর ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখনই পানি দেখতেন, তখনই কারবালায় হযরত আহলু বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পিপাসার কথা মনে পড়তো ও তিনি এতে অত্যন্ত ব্যথিত হতেন।
ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম তিনি সবসময় রোযা রাখতেন। ইফতারীর সময় তিনি অত্যন্ত বেদনাতুর হয়ে বলতেন, হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শহীদ করা হয়েছে ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্ত অবস্থায়।
সাইয়্যিদুনা ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসুলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার এই দুনিয়াবী জিন্দেগীর পুরো সময়ই সম্মানিত আহলু বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্য অশ্রু ঝরিয়েছেন, উনাদের ব্যথায় বেদনাতুর সময় কাটিয়েছেন। যে কারণে উনাকে কারাবালার মর্মান্তিক ঘটনার পর কেউ কখনো হাসতে দেখেনি।
মূলত, ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার এ করুণ কাহিনীতে যদি কোনো মুসলমানের কান্না উদগলিত না হয়, তবে সে মুসলমান থাকতে পারে না। এমনকি কেউ যদি এ ঘটনার কাফফারা আদায় ও এ ঘটনা থেকে নসীহত হাসিল না করতে চায়, তবে সেও মুসলমান থাকতে পারবে না। নাঊযুবিল্লাহ!
বলার অপেক্ষা রাখে না, সেক্ষেত্রে অনন্য ও অনবদ্য নছীহত এই যে, বর্তমান যামানায় যিনি লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ও উনার মহিমান্বিত সম্মানিত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ হুসনে যন পোষণ করা, মুহব্বত, মা’রিফাত লাভ করা, খিদমতে, নিসবতে ফানা হয়ে বাক্বা লাভ করা। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, তখনই হবে ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার প্রতি মুহব্বত পোষণের সার্থক বহিঃপ্রকাশ।
প্রসঙ্গত, “প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য, সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য তথা বিশ্বের সকল মুসলিম সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ছাওয়ানেহে উমরী মুবারক জানা, পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা, সেখান থেকে নছীহত হাছিল করা এবং এদিনে সরকারিভাবে ছুটির ঘোষণা করা। এছাড়া সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সব বিশেষ বিষয় সর্ম্পকে ইলম হাছিল করা এবং এসব মর্যাদাপূর্ণ দিনগুলো বেমেছাল তাযীম-তাকরীম ও গভীর জওক-শওকের সাথে ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি যথাযথভাবে পালন করা।
পাশাপাশি এদিনে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করা ও এদিনের ফাযায়িল-ফযীলত বর্ণনা করা তথা ওয়াজ শরীফ ও সামা শরীফ উনাদের মাহফিলের ব্যবস্থা করা, মানুষকে খাদ্য খাওয়ানো, গরিব-দুঃখীদের আর্থিক সহায়তা করাসহ সব ধরনের নেক কাজ করা।”
No comments:
Post a Comment