================
চলতে-ফিরতে আমরা কত কি-ই না বলে থাকি। ভালো-মন্দ কত কিছুই উচ্চারিত হয় আমাদের জবানে। অথচ একটু খেয়াল করে নিয়ত ঠিক করলেই অর্জিত হয় অসংখ্য ছওয়াব। স্থান-কাল বুঝে মাত্র কয়েকটি শব্দ উচ্চারণেই হাছিল হয় অমূল্য নেকী ও সন্তুষ্টি। নিচে কয়েকটি ধারায় এমন কিছু পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার কথা আলোচনা করা হলো- যা দু’একটি শব্দ বলে অতি সহজেই আদায় করা যায়।
(১). ভালো কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোনো কিছু লেখা বা পড়ার সময় অর্থাৎ যেকোনো ভালো কাজ শুরু করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(২). ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোনো খোশ খবর শোনা হলে, কেউ ‘কেমন আছো’ জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সুন্নত। [ইবনে মাজাহ শরীফ]
(৩). কারো হাঁচি আসলে ‘আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হাল’ বা সংক্ষেপে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সুন্নত। [তিরমিযী শরীফ]
(৪). কোনো হাঁচিদাতকে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে শুনলে- তার জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(৫). খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানূ তায়ালা উনার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ত্ব বা বড়ত্বের কোনো নিদর্শন দেখলে কিংবা শুনলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(৬). স্বাভাবিকের মধ্যে কোনো ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরনের কোনো কথা শুনলে তথা কুদরতী কিছু দেখলে বা শুনলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(৭). বেশ ভালো বা সুন্দর কোনো কিছু বেশি দেখলে ‘মাশাআল্লাহ’ বলা সুন্নত। [মুসলিম শরীফ]
(৮). ভবিষ্যতে কোনো কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করলে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ]
(৯). কোনো বাজে বা খারাপ তথা হারাম-কুফরী-শিরকী কথা শুনলে বা কোনো বাজে বা খারাপ কাজ তথা হারাম-কুফরী-শিরকী কাজ দেখলে ‘নাউযুবিল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(১০). কোনো বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোনো খারাপ, অশুভ বা ক্ষয়-ক্ষতির সংবাদ শুনলে, কোনো কিছু হারিয়ে গেলে, কোনো কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোনো দুঃখ-কষ্ট পেলে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বা সংক্ষেপে ‘ইন্নালিল্লাহ’ বলা সুন্নত। [মুসলিম শরীফ]
(১১). কথা প্রসঙ্গে কোনো গুনাহের কথা বলে ফেললে, সঙ্গে সঙ্গে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র সূরা মুহম্মদ শরীফ]
(১২). উপরে উঠার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা এবং নিচে নামার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(১৩). নিশ্চিতভাবে না জেনে কোনো বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে “ওয়াল্লাহু আ’লাম” বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(১৪). কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোনো কাজ হলে বা কেউ কোনো উপকার করলে তার বদলে ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বা ‘জাযাকাল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(১৫). কোনো বিজয় লাভ করলে কিংবা বিজয় লাভের আশায় শ্লোগান দিলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয় রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সুন্নত মুবারক যথাযথভাবে পালন করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
চলতে-ফিরতে আমরা কত কি-ই না বলে থাকি। ভালো-মন্দ কত কিছুই উচ্চারিত হয় আমাদের জবানে। অথচ একটু খেয়াল করে নিয়ত ঠিক করলেই অর্জিত হয় অসংখ্য ছওয়াব। স্থান-কাল বুঝে মাত্র কয়েকটি শব্দ উচ্চারণেই হাছিল হয় অমূল্য নেকী ও সন্তুষ্টি। নিচে কয়েকটি ধারায় এমন কিছু পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার কথা আলোচনা করা হলো- যা দু’একটি শব্দ বলে অতি সহজেই আদায় করা যায়।
(১). ভালো কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোনো কিছু লেখা বা পড়ার সময় অর্থাৎ যেকোনো ভালো কাজ শুরু করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(২). ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোনো খোশ খবর শোনা হলে, কেউ ‘কেমন আছো’ জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সুন্নত। [ইবনে মাজাহ শরীফ]
(৩). কারো হাঁচি আসলে ‘আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হাল’ বা সংক্ষেপে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সুন্নত। [তিরমিযী শরীফ]
(৪). কোনো হাঁচিদাতকে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে শুনলে- তার জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(৫). খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানূ তায়ালা উনার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ত্ব বা বড়ত্বের কোনো নিদর্শন দেখলে কিংবা শুনলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(৬). স্বাভাবিকের মধ্যে কোনো ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরনের কোনো কথা শুনলে তথা কুদরতী কিছু দেখলে বা শুনলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(৭). বেশ ভালো বা সুন্দর কোনো কিছু বেশি দেখলে ‘মাশাআল্লাহ’ বলা সুন্নত। [মুসলিম শরীফ]
(৮). ভবিষ্যতে কোনো কিছু করার ইচ্ছা পোষণ করলে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ]
(৯). কোনো বাজে বা খারাপ তথা হারাম-কুফরী-শিরকী কথা শুনলে বা কোনো বাজে বা খারাপ কাজ তথা হারাম-কুফরী-শিরকী কাজ দেখলে ‘নাউযুবিল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(১০). কোনো বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোনো খারাপ, অশুভ বা ক্ষয়-ক্ষতির সংবাদ শুনলে, কোনো কিছু হারিয়ে গেলে, কোনো কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোনো দুঃখ-কষ্ট পেলে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বা সংক্ষেপে ‘ইন্নালিল্লাহ’ বলা সুন্নত। [মুসলিম শরীফ]
(১১). কথা প্রসঙ্গে কোনো গুনাহের কথা বলে ফেললে, সঙ্গে সঙ্গে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র সূরা মুহম্মদ শরীফ]
(১২). উপরে উঠার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা এবং নিচে নামার সময় ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(১৩). নিশ্চিতভাবে না জেনে কোনো বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে “ওয়াল্লাহু আ’লাম” বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(১৪). কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোনো কাজ হলে বা কেউ কোনো উপকার করলে তার বদলে ‘জাযাকাল্লাহু খাইরান’ বা ‘জাযাকাল্লাহ’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
(১৫). কোনো বিজয় লাভ করলে কিংবা বিজয় লাভের আশায় শ্লোগান দিলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা সুন্নত। [পবিত্র বুখারী শরীফ]
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয় রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সুন্নত মুবারক যথাযথভাবে পালন করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
No comments:
Post a Comment