=================
কলার খোসা ছাড়ানোর সময় আপনি কী ভাবেন? উত্তরে অনেকেই বলবেন, কলা নিয়ে কিছু ভাবা হলেও হতে পারে কিন্তু খোসা নিয়ে ভাবাভাবির তো কিছু নাই। খাওয়া শেষে কলার খোসা ফেলে দেয়া হয়। কিন্তু কলা খাওয়ার পর খোসাটাকে শুধুমাত্র ‘আবর্জনা’ হিসেবে যদি মনে করে থাকেন, তাহলে ধারণাটি ভুল। কারণ কলার খোসা মোটেও আবর্জনা নয়, এর দারুন সব ব্যবহারও রয়েছে। জেনে নিন, কোলার খোসা কোন্ ক্ষেত্রে কী কাজে লাগবে?
* চামড়ার জুতা পলিস করতে কালি ও ব্রাশের কথা ভুলে যান। বরঞ্চ কলার খোলার ভেতরের আবরণ দিয়ে জুতায় ঘষে দেখুন, জুতা একদম পলিসের মতোই চকচকে দেখাবে। রুপার গয়নাও পরিস্কার করতে পারবেন কলার খোসা দিয়ে।
* হলুদ দাঁত সাদা ঝকঝকে করে তুলতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
* মুখের ব্রণ দূর করতেও কার্যকরী কলার খোসা। ব্রণে কলার খোসা ঘষুন এবং কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
* অসাবধানতায় আঙুলে শলা, কাঁটা বা অন্যকিছু বিদ্ধ হলে, তা অনেক সময় বের করাটা খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে কলার খোসা, ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে ওই স্থানে ঘণ্টাখানেক রেখে দিলে, বিদ্ধ জিনিসটি বের করাটা সহজ হয়। কারণ কলার খোসার এনজাইম ত্বককে নরম করে।
* ত্বক ফুসকুড়ি নিরাময়েও কলার খোসা বেশ কার্যকরী। এছাড়া ত্বকে মশা বা অন্যান্য পোকামাকড়ের কামড়ের আক্রান্ত স্থানেও কলার খোসা ঘষতে পারে। পোকামাকড়ের বিষ থেকে সৃষ্ট ব্যথা কমায় কলার খোসা।
* আঁচিল অপসারণেও ব্যবহার করতে পারেন। সারা রাত কলার খোসা আচিলের ওপর দিয়ে রাখলে তা আঁচিলকে মিলিয়ে যেতে সাহায্য করে। তবে আঁচিল যতদিন পুরোপুরি মিলিয়ে না যায় ততদিন ব্যবহার করতে থাকুন।
* মানসিক অবসাদ দূর করতে কাজে আসবে কলার খোসা! গবেষকদের মতে, কলার খোসার সেদ্ধ পানি অ্যন্টিডিপ্রেসেন্টস হিসেবে কাজ করে। কলার খোসা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করুন।
* কলার খোলা খুব ভালো সার হিসেবেও কাজ করে। বাসায় ফল-ফুলের গাছ থাকলে, সার হিসেবে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
* বাসায় টবে থাকা প্রিয় গাছের পাতা ঝকঝকে করার জন্য গাছের পাতায় কলার খোলা পলিস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
* সর্বশেষ আপনি কলার মতো কলার খোসাও খেতে পারেন। কাঁচা অথবা রান্না করে যেভাবে ইচ্ছে।
No comments:
Post a Comment