Wednesday, November 16, 2016

নেক কাজে উৎসাহী করতে- সন্তানদের জান্নাতের অপার নিয়ামত শিক্ষা দিন

পড়ালেখা শিখাচ্ছেন- সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। যেন বড় হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, ভালো কোনো চাকরি বা ব্যবসার মাধ্যমে সচ্ছলভাবে থাকতে পারে এই আশায়। কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে এটাই কি আপনার এবং আপনার সন্তানদের ভবিষ্যৎ? না, কখনোই নয়। বরং আমাদের আসল ভবিষ্যৎ হলো পরকাল। এই দুনিয়ার সচ্ছলতা, একটু সুখ সেটা কত বছরের জন্য? এরপর কি হবে, কোথায় যেতে হবে, কোথায় থাকতে হবে? মুসলিম হিসেবে তা আপনাকে যেমন অনুভব করতে হবে, তেমনি সেই অনুভূতি আপনার সন্তানদের মাঝেও সৃষ্টি করে দিতে হবে। সঠিক মত-পথ তথা ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক চললে জান্নাতের অবারিত ইতমিনান, প্রশান্তি লাভ করা যাবে। বিপরীতে নাহক্ব তথা হারাম-নাজায়িয কাজ জাহান্নামের কঠিন আযাব-গযব শাস্তির মুখোমুখি করবে। যা দুনিয়ার বড় বড় কষ্ট বা যন্ত্রণার চাইতেও অনেক অনেক বেশি কষ্টকর ও যন্ত্রণাদায়ক।

                মুসলমান-ঈমানদার হিসেবে থাকতে হলে আমাদেরকে জান্নাতের প্রশান্তি-সচ্ছলতা এবং জাহান্নামের কঠোর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি সম্পর্কে জানতে হবে, সন্তানদের শিক্ষা দিতে হবে। অন্তরে এর অনুভূতি জাগরুক রাখতে হবে। তবেই পাপ থেকে বেঁচে থাকা সহজ ও সম্ভব।
                পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- কেউ জানে না তার (নেক) কৃতকর্মের জন্য কি কি নয়নাভিরাম বিনিময় লুকায়িত আছে।’’ (পবিত্র সূরা সাজদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-১৭)
                পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- যারা জান্নাতে যাবে তারা সর্বদা সচ্ছল অবস্থায় থাকবে, দারিদ্র ও অনাহার কখনো তাদের আসবে না। তাদের পোশাক পুরাতন হবে না এবং তাদের যুবক অবস্থা কোনদিন শেষ হবে না।” (মুসলিম শরীফ) সুবহানাল্লাহ!

                মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে নেককার ও জান্নাতী হিসেবে কবুল করুন। আমীন!

No comments:

Post a Comment