ভোলাহাট উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সচল থাকার পরও এ্যাম্বুলেন্সটি এক মাস ধরে বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে রুগীরা। জানা গেছে, উপজেলার একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে কখনও ডাক্তার নার্স সুইপারের স্বল্পতা থাকলেও এখন বড় সমস্যা সচল এ্যাম্বুলেন্স থেকেও সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন রুগীরা। যেসব অসুখ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না, উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হয় এলাকার বাইরে, তখন এ্যাম্বুলেন্সের অভাবে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
এ উপজেলায় হাতেগুনা ক’টা মাইক্রো থাকলেও বেশির ভাগ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই। এছাড়া গুণতে হয় অনেক বেশি ভাড়া এবং চাইলেও দ্রুত মাইক্রো পাওয়া যায় না। ফলে চরম ভোন্তির শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগী রুগীরা। গত ২৫ জুলাই হাউসপুর গ্রামে কুপিয়ে জখম হওয়া এক ব্যক্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। কিন্তু সচল এ্যাম্বুলেন্স থাকার পরও চালক অসুস্থ থাকায় এ্যাম্বুলেন্স সুবিধা না পেয়ে মাইক্রো খুঁজাখুঁজি করে না পেয়ে অবশেষ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই মারা যায়। এ ব্যাপারে চালক আশরাফুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ১ মাস যাবৎ রাজশাহীতে চিকিৎসাধী রয়েছেন বলে জানান। অপরদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ডাঃ এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ্যাম্বুলেন্স সচল থাকলেও চালক অসুস্থ থাকায় সমস্যা হচ্ছে। তবে ১০/১২ দিনের মধ্যে এ সমস্য দূর হয়ে যাবে বলে জানান। (খবর সূত্র- ভোলাহাট প্রেসক্লাব)
No comments:
Post a Comment