Monday, March 4, 2013

শানে নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম



সমস্ত ছানা-ছিফত এবং অবারিত প্রশংসার একচ্ছত্র অধিকারী খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিআর অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক বর্ষিত হোক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিঅসংখ্য-অগণিত ছলাত-সালাম মুবারক মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী খলিফা, আস সাফফাহ, মুজাদ্দিদে আযম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার প্রতি এবং উনার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি


১. লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আযম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার আগমনের প্রেক্ষাপট এবং প্রয়োজনীয়তা :
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি (উনার খাছ ওলী হিসেবে) যাঁকে ইচ্ছা উনাকেই মনোনীত করেন” (পবিত্র সূরা শুরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩)
বলাবাহুল্য, আজ পৃথিবীতে সর্বোচ্চ ভয়ঙ্কর ফিতনা নারী ঘটিতফিতনাসম্মানিত ইসলামিক আদর্শ উনার লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই বর্তমান নারী সমাজেচারদিকে বাতিলের জয়জয়কার আর নারী নিয়ে নোংরামী উল্লাসনারী স্বাধীনতার আপ্ত শ্লোগানের আড়ালে নারীরা ভোগ্যপণ্যের নিম্নস্তরে পদার্পণ করেছেআজ নারী সমাজ বাতিলের খপ্পরে পড়ে ভোগবাদী নেশায় বুদ হয়ে বহুরূপী দুনিয়ার কঠিন আগুনে ঝাঁপ দিয়েছেতারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সুমহান আদর্শকে ছেড়ে কথিত স্বাধীনতাঅর্জনের দিবাস্বপ্নে বিভোর হয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে তাদের ইজ্জত-আবরুকেফলতঃ নিষিদ্ধপল্লীর মেয়ে আর ভদ্র পরিবারের মেয়ে পার্থক্য করা বড়ই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছেপবিত্র দ্বীন ইসলাম নারী জাতিকে যে সীমাহীন শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা দিয়েছে, তারা সেই মর্যাদাকে ধরে রাখতে পারছে নাবরং তারা সেখানে কুঠারাঘাত করছে নিজের অজান্তেই
শুধু কি অমুসলিম নারীদের এই করুণ পরিণতি? না; খোদ মুসলিম নারীরাও পর্দাহীনতা, নগ্নতা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নির্লজ্জতা, হারাম খেলাধুলা, গান-বাজনা, নাচ-অভিনয়, বিজ্ঞাপনী মডেল, অবৈধ ভালোবাসা, উল্কি আঁকা, নষ্টামী, বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে বিবিধ শরীয়তবিরোধী কাজে নিজেকে নোংরামীর শেষস্তরে পৌঁছে দিয়েছেপবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে চরম হীনম্মন্যতা দেখিয়ে নিশ্চুপ থাকলেও দেহপ্রদর্শনীতে ক্ষুধার্ত বাঘের ন্যায় ঝাঁপিয়ে পড়ছেপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ মুবারক তাদের মাঝে খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপারআজকের নারীরা এভাবেই তাদের মান-সম্মান-ইজ্জত-আবরুকে নাক ছিটকানী দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে আইয়ামে জাহিলায়াতের ন্যায় আচরণ জারি রাখায় তারা ইহজগতে বর্ণনাতীত লাঞ্ছিত, পদদলিত হচ্ছে এবং হতেই থাকবেআর তাই সমাজে নারীমানেই ভোগ্যপণ্যহিসেবে তাদের নোংরা পরিচিতির বিস্তার ঘটছেলানতের অগ্নি ছেয়ে যাচ্ছে সর্বত্রআর পরকালে জাহান্নামের ভয়ানক আযাব-গযবে পাকড়াও হওয়া ছাড়া বাঁচার উপায় থাকছে না কারোই
মূলত, এই বেহায়া, পথহারা, নারী জাতিকে সঠিক সম্মানিত গন্তব্যে পৌঁছে দিতে, কায়িনাত মাঝে নারী জাতির সম্মান ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে, লানত ও অশান্তির করুণ পরিণতি থেকে হিফাযত করতে এবং দুনো-জাহানে তাদেরকে মুক্তি দান করতে ধরার বুকে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বিশেষ নিয়ামত হাদিয়া করেছেনসুবহানাল্লাহ!
শামসী চৌদ্দ শতাব্দীর নারী জাতির মুক্তির সেই আরশী নূর মুবারক হচ্ছেন- বেমেছাল মহিমান্বিত নিয়ামত, রহমত, বরকত, ফযীলতপূর্ণ, সাকীনাযুক্ত এবং লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আযম, ক্বায়িম-মাক্বামে যাহরা আলাইহাস সালাম, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল হযরত শাহযাদী ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালামযিনি কুল-কায়িনাতে নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম মুবারক লক্ববে মশহুরসুবহানাল্লাহ!
যিনি উম্মুল মুমিমীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মাক্বামসুন্নতের রঙে বেমেছাল সৌরভী ফুলজ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটা শাখায় ব্যাপক ব্যুপত্তির অধিকারিণীইলম, আমল, ইখলাছ এবং কামালতে প্রস্ফুটিত কুদরতী ফোয়ারামহান আল্লাহ পাক ও উনার পেয়ারা হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সর্বশ্রেষ্ঠা মুরাদ ত্ববকার হাবীবাজাহিরী-বাতিনী, জিসমানী-রূহানী সর্বদিক থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার ও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে রয়েছে উনার বেমেছাল নিগূঢ় তায়াল্লুক-নিছবতউনার চলাফেরা উঠাবসা উনাদের দেখে দেখেই হয়সুবহানাল্লাহ!
সেই কামিলা, আরিফা, আলিমা, হাবীবা উনার তাছিরে পাথরসম কুফরী হৃদয় বিগলিত হয়থরথর করে কেঁপে উঠে যালিম শক্তিমাথা নুয়াতে বাধ্য হয় সমস্ত জাহিলিয়াতের দেহপ্রদর্শনীর নোংরামী অপশক্তিলজ্জায় মস্তক অবনত করে বেহায়া নারী সমাজউনার মুবারক ছোহবত পথহারা নারীদেরকে পৌঁছে দেন এক মাশুকা বন্ধনে ইলাহী এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ইশকী নহরধারায়সুবহানাল্লাহ!

২.শাহিদা, মুবাশশিরা, আশশাবীহাতু বিল মুজাদ্দিদে আযম, আযযাহরা, মালিকায়ে নিয়াম হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম উনার মুবারক নছবনামা :
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদেরকে গোত্রে গোত্রে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভক্ত করেছিযাতে তোমরা একে অপরের পরিচয় লাভ করতে পার
হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক বংশ হচ্ছেন- সাইয়্যিদউনার মুবারক ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছেন নববী রক্ত মুবারক উনার ঝর্ণাধারামুবারক নছবনামা পরম্পরায় সম্মানিত পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের দিক থেকে তিনি হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের সাথে সম্পর্কযুক্তনববী রক্ত মুবারক উনার ধারাবাহিকতায় সঙ্গতকারণেই তিনি আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশীঅর্থা তিনি সাইয়্যিদ
এক কথায় তিনি আওলাদে রসূল তথা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা নাতনীপবিত্র মদীনা শরীফ থেকে মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, গরীবে নেওয়াজ হযরত সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সনজরী (খাজা ছাহেব) রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একান্ত মাহবুব ছফরসঙ্গী হিসেবে ওলীয়ে মাদারজাদ সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবূ বকর মুজাদ্দিদী বরকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আজমীর শরীফ আগমন করেনদ্বীনি হিদায়েত খিদমতের আনজাম দিয়ে তিনি সেখানেই শায়িত রয়েছেনউনার অধস্তন সম্মানিত সন্তান হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন আলাইহিস সালাম তিনি মানুষদেরকে হিদায়েতের নিমিত্তে বাংলাদেশে আসেনউনার সম্মানিত ছাহেবযাদা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মালাউদ্দিন আলাইহিস সালামউনার সম্মানিত ছাহেবযাদা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ ইলাহী বখ্শ আলাইহিস সালামউনার সম্মানিত ছাহেবযাদা ওলীয়ে মাদারযাদ, কুতুবুল আলম, ছুফীয়ে বাতিন হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালামউনার নূরী শাহযাদা ওলীয়ে মাদারযাদ, মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম- যিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মক্বাম, বর্তমান পনের হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালামআর উনারই পূত-পবিত্রা সম্মানিতা দ্বিতীয়া আওলাদ হচ্ছেন শাহযাদীয়ে ছানী হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালামসুবহানাল্লাহ!

৩. ফারীহা, নূরে হাবীবা, হাদীয়াতুল মাদানী, হাদীয়ে মাদারযাদ, ওলীয়ে মাদারযাদ হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম তিনি কায়িনাত মাঝে শ্রেষ্ঠা আল্লাহওয়ালী :
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি (উনার খাছ ওলী হিসেবে) যাঁকে ইচ্ছা উনাকেই মনোনীত করেন” (পবিত্র সূরা শুরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩)
মুজাদ্দিদে আযম, গাউছূল আযম, দস্তগীর, কুতুবুল আলম, কাইয়্যিমুয যামান, আওলাদে রসূল মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি উনার সম্মানিত পিতা হিসেবে উনার সাথে রয়েছে বেমেছাল জাতী তায়াল্লুক-নিছবতসাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক কোলে লালিত-পালিত হওয়ার পাশাপাশি হযরত উম্মুল ওয়ারা, উম্মুল খায়ের, নক্বীবাতুল উমাম হযরত শাহযাদী ঊলা আলাইহাস সালাম উনার স্নেহ-মমতায় গভীরভাবে সম্পর্কযুক্তদায়িমী সুন্নতের ইত্তেবা, যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মুশাক্কাত, ইলমের প্রখরতা, ইবাদতে একাগ্রতা এবং তাক্বওয়া-পরহেজগারীতে ফারীহা, নূরে হাবীবা, হাদীয়াতুল মাদানী, হাদীয়ে মাদারযাদ, ওলীয়ে মাদারযাদ হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সুমহান ব্যক্তিত্বা হিসেবে ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত (সুবহানাল্লাহ!)
জাহিরী-বাতিনীভাবে খুব কম সময়ে ইলমে শরীয়ত, মারিফাত, হাক্বীক্বত উনার স্বর্ণশিখরে পদাচরণ ঘটে উনারকামালতের শ্রেষ্ঠস্তরে নিরবছিন্ন বিচরণ উনারদুনিয়াবী বয়স মুবারক যখন অল্প তখন থেকেই ফরয, ওয়াজীব, সুন্নতে মুয়াক্বাদা, সুন্নতে যায়িদা এমনকি মুস্তাহাব বিষয়গুলোও গুরুত্বসহকারে পালন করেনফলে কুল-কায়িনাতে মহান আল্লাহ পাক উনার বেমেছাল আল্লাহওয়ালী হিসেবে উনার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটে যায়যদিও তিনি আগমনগত দিক থেকেই বেমেছাল আল্লাহওয়ালীএজন্য উনার মুবারক শানে কিতাবে উল্লেখ করা হয়, ‘ওলী তো ওলী, যদিও তিনি শিশু হন না কেনসুবহানাল্লাহ!
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে সৃষ্টিগতভাবেই উনার বেমেছাল জাহিরী-বাতিনী তায়াল্লুক-নিছবতএজন্য তিনি সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, রোগ-শোক, আহার-অনাহার, আমল-আখলাক, রীতি-নীতি, নিদ্রা-জাগরণ, শয়নে-স্বপনে সর্ব অবস্থায় দায়িমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ধ্যানে-খেয়ালে মশগুল থাকেনমুবারক এই ধ্যান-খেয়ালের নিবিষ্টতা এত গভীর যে, মুবারক দীদারের জন্য নিদ্রার প্রয়োজন হয় নানিদ্রা ও জাগরণ উভয় অবস্থায় অনুক্ষণ দীদার মবারক সংঘটিত হয়প্রতিনিয়ত খোদায়ী মদদ, ইলহাম-ইলকা আর মিল্লাদুনকা ইলমা উনার জন্য অত্যন্ত সহজাত বিষয় হয়ে যায়এককথায় হুবহু নকশা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনারউপরন্তু উনার মুবারক ধমনীতে প্রবাহমান নববী রক্তের নহরধারাতাইতো মুবারক আচরণ, নূরানী ব্যক্তিত্ব মুবারক, প্রজ্ঞাপূর্ণ নছীহত মুবারক, ইলমে জাহির-বাতিনের তালীম-তালক্বীনে নববী ধারার আরশী নূর মুবারক প্রকাশ পেয়ে যায়কুল-কায়িনাতের সর্বত্র প্রতিধ্বনি হতে থাকে শ্রেষ্ঠা আল্লাহওয়ালী ফারীহা, নূরে হাবীবা, হাদীয়াতুল মাদানী, হাদীয়ে মাদারযাদ, ওলীয়ে মাদারযাদ হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম হিসেবেসুবহানাল্লাহ!

৪. বাশীরা, নাজীরা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত এবং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনার মুজিযা শরীফ উনাদের বহিঃপ্রকাশ :
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বেমেছাল কুদরত মুবারক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছোল মুজিযা শরীফ উনাদের অনুপম বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ক্বায়িম-মক্বামে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদাতুন নিসা ফিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আওলাদে রসূল, নিবরাসাতুল উমাম হযরত শাহযাদী ছানী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমেউনার ছিরত মুবারক, ছূরত মুবারক, চলাফেরা মুবারক, কথাবার্তা মুবারক, জ্ঞান-গরীমা মুবারক, সুন্নত মুবারক পালনের দৃঢ়তা ইত্যাদির ন্যূনতম আলোচনা করলেই তা বুঝা যাবেসাধারণ কোনোও ব্যক্তিত্বের দ্বারা এভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব নয়একমাত্র নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক জাহিরী উপস্থিতে হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যেভাবে জীবনযাপন করেন; তিনিও সেভাবে জীবনযাপন করেনতাহলে এখন মহান আল্লাহ পাক উনার বেমেছাল কুদরত মুবারক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছোল মুজিযা ব্যতীত কী করে সম্ভব!
কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা একমুদ বা অর্ধমুদ দান করে যে ফযীলত-বরকত পেয়েছেন; এখন উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করলেও তেমন ফযীলত-বরকত হাছিল করতে পারবে নামূলত, হযরত উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ক্বায়িম-মাক্বাম তথা হুবহু নকশা হওয়া মহান আল্লাহ পাক উনার বেমেছাল কুদরত মুবারক এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছোল মুজিযা শরীফ উনাদের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া সম্ভব নয়
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কুদরতী অবস্থান বিষয়ে পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই হযরত আউলিয়ায়ে কিরামগণ উনারা আমার কুদরতী জুব্বা মুবারক-এ আবৃতঅর্থা কুদরত মুবারকেই উনারা (নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম) সার্বক্ষণিক অবস্থান করেনমহান আল্লাহ পাক উনার পথহারা বান্দীদেরকে হিদায়েতের লক্ষ্যে কায়িনাতে নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য ক্বায়িম-মাক্বামে ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম, ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদাতুন নিসা ফিল জান্নাহ, বাশীরা, নাজীরা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে নিয়ামতস্বরূপ পাঠিয়েছেন মাত্রসুবহানাল্লাহ!

৫. আলিমা, জামিলা, কামিলা, আরিফা, আবিদা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ইলম :
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আয় আল্লাহ পাক! আপনি আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন
অর্থা যারা সাধারণ উম্মত তাদেরকে বারবার আরজি করতে বলা হয়েছেবান্দারা উম্মতরা ঠিকমতো আরজি করলে এবং ইলম হাছিলের কোশেশ করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনারা বান্দাকে কিছু ইলম দান করেনমূলত, ইলম মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে বিশেষ নিয়ামতইচ্ছা করলেই বান্দা ছহীহ ইলম হাছিল করতে পারবে নাইলম হাছিল করতে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনাদের রহমত, বরকত, দয়া-দান, ইহসান লাগবে
 পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি যার ভালাই চান তাকে দ্বীনের ছহীহ সমঝ হাদিয়া করেনঅর্থা যিনি খাছ ব্যক্তিত্ব হন উনাকে যিনি মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনারা বেমেছাল কুদরতীভাবে ইলম হাদিয়া করে থাকেন
আলিমা, জামিলা, কামিলা, আরিফা, আবিদা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনারা জাহিরী-বাতিনীভাবে বেমেছাল ইলম হাদিয়া করেছেনপবিত্র ইলম মুবারক উনার যতগুলো শাখা-প্রশাখা রয়েছে- প্রতিটা শাখাতেই উনার রয়েছে পূর্ণ বিচরণ ও কামালিয়ততিনি জাহিরী ও বাতিনীভাবে কুদরতী ইলম মুবারক দ্বারা খাছভাবে পরিপূর্ণপবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র তাফসীর, পবিত্র শরাহ, ফিক্বাহ, মানতিক ও হিকমত, বালাগাত, কালাম শাস্ত্র, বিভিন্ন ভাষার ব্যাকরণ ও সাহিত্য, মুনাজারা, দর্শন, ফারায়িজ, বিজ্ঞান, ইতিহাস, সমাজকল্যাণ, ভূগোল, মহাকাশ শাস্ত্র, গণিত, চিকিসা শাস্ত্র, ইসলামী আইন, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, পোশাক বিজ্ঞান, বিভিন্ন ধর্মের আইন ইত্যাদিসহ সমস্ত বিষয়ের অগাধ ইলম ও প্রজ্ঞার অধিকারিণী তিনিপবিত্র ইলম উনার প্রতিটি স্তরে আওলাদে রাসূল, সাইয়্যিদাতুন নিসা, ছাহিবাতুল কুরআন হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার রয়েছে ব্যাপক দক্ষতা ও পা-িত্যসুবহানাল্লাহ!

৬. আওলাদে রসূল, তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকিয়্যাহ হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম তিনি সাধারণ কোনোও মহিলাদের মতো নন; এমনকি সাধারণ কোনো পুরুষও উনার সমকক্ষ নয় :
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “হে উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম! আপনারা অন্য কোনো মহিলাদের মতো ননসুবহানাল্লাহ!
আওলাদে রসূল, তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকিয়্যাহ হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হযরত উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মাক্বাম হওয়ার কারণে তিনিও অন্য কোনোও মহিলাদের মতো ননহযরত উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে কেউ যদি দেখতেন, তাহলে কারও সাধ্য ছিলো না যে- আওলাদে রসূল, তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকিয়্যাহ হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার আচার-ব্যবহার, চলাফেরা, কথাবার্তা, উঠাবসা, হাঁটাচলা, আহার-বিহার, শয়ন-স্বপন, ইলম-প্রজ্ঞা, মুয়ামিলাত-মুয়াশিরাত, ইবাদত-বন্দেগী, তাক্বওয়া-পরহেজগারিতা, মানবকল্যাণ, দান-সদকা, কুল-কায়িনাতের প্রতি দয়া-মায়া প্রদর্শন ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে উনাদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারেসুবহানাল্লাহ
এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার শান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “উনার সমকক্ষ কোনো পুরুষও নন” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ)
এতো বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান, শান-মান মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে সৃষ্টিগতভাবেই হাদিয়া করেছেনসুবহানাল্লাহ! যা কুল-কায়িনাতের পক্ষে চিন্তা করাও যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ব্যাপারযাঁদের মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে বেমেছাল তায়াল্লুক-নিছবত আছে উনারাই কেবল আওলাদে রসূল, তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকিয়্যাহ হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক শান কিছুটা উপলব্ধি করতে পারেনসাধারণ মানুষ বুঝবে কি করে? বুঝার সাধ্যই বা কোথায়?

৭. ছামীনাহ, ছাইমাহ, ছালিহাহ, ছুফিয়্যাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবতে বদকার মহিলা নেককারে পরিণত হয় :
হযরত উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মুবারক ছোহবতে মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহুন্না উনারা দুনিয়াতে থাকতেই মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ রেযামন্দি লাভ করেছিলেনজাহিলীয়াতের সমস্ত বেহায়া, বেশরা সমূলে মূলোপাটন হয়েছিলো হযরত উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মুবারক রূহানী তাছির মুবারক-এ
ঠিক ছামীনাহ, ছাইমাহ, ছালিহাহ, ছুফিয়্যাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক বেলায়েতী নূরানী তাছিরে আজকের পথহারা মহিলারা বদকার থেকে আল্লাহওয়ালীতে পরিণত হচ্ছে
কিতাবে উল্লেখ করা হয়, “ছোহবত (সঙ্গ) তাছির করেঅর্থা বদকারের ছোহবতে থাকলে বদকার হয় এবং নেককার উনাদের ছোহবতে থাকলে নেককার তথা আল্লাহওয়ালা, আল্লাহওয়ালী হয়এ কারণেই হযরত শায়েখ সাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “নেক ছোহবত মানুষকে নেককার করে দেয়, আর বদ ছোহবত মানুষকে বদকার বানিয়ে দেয়
মহান আল্লাহ পাক উনার জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার সন্তান কেনানকাফির-মুশরিকদের ছোহবতে থাকার কারণে কাফির-মুশরিক হয়ে মারা যায়আর পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে আসহাবে কাহাফের কুকুর ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবতে থাকার কারণে পরকালে মালউন দরবেশ বালআম বিন বাউরার ছূরতে বেহেশতে যাবেএকটা অপবিত্র কুকুর যদি ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবতের বিনিময়ে জান্নাতী হতে পারে, তাহলে যিনি ছামীনাহ, ছাইমাহ, ছালিহাহ, ছুফিয়্যাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম- যিনি হযরত উম্মুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মাক্বাম এবং বেমেছাল নূরানী বেলায়েতী কুবরা উনার অধিকারিণী, উনার মুবারক ছোহবতে জাহান্নামী মহিলারাও যে বেমেছাল জান্নাতী হবে এবং হচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে নাযা আমাদের দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুরিদা, আশিকা পীরবোন উনাদের দিকে তাকালে সহজেই অনুমান করা যায়
ছামীনাহ, ছাইমাহ, ছালিহাহ, ছুফিয়্যাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবতের ফায়েজী রোবে-দাপটে সমস্ত বেহায়াপনা, অশ্লীলতা আজ ভয়ে কেঁপে উঠেছেউনার নেক ছোহবত মুবারক উনার উসীলায় নিজেকে আল্লাহওয়ালী উনাদের কাতারে সামিল করে নিচ্ছেন অসংখ্য অগণিত পথহারা-বেপর্দা মহিলারাসুবহানাল্লাহ!

৮. ফারীদাহ, ক্বারীনাহ, ক্বারীবাহ, কাবীরাহ, কাছিত্বাহ হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল হিজাব পালন :
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনারা পর্দা বা হিজাবকে সমস্ত মহিলাদের জন্য ফরয করে দিয়েছেনআর হিজাব পালনের মধ্যেই নারী জাতির মর্যাদা-শ্রেষ্ঠত্ব তথা ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান নিহিত রয়েছেমণি-মুক্তা দামি হওয়ার দরুন যেমন খোলা ফেলে রাখলে চোরে নিয়ে পালায়, তেমনি মহিলাদেরকেও হিজাবহীন অবস্থায় রাখলে পরপুরুষে খারাপ ব্যবহার করে থাকেমণি-মুক্তা রাখার নিরাপদ জায়গা হচ্ছে নিরাপত্তা বেষ্টিত ঘরের সিন্দুক, তেমনি সম্মানিতা নারীদের নিরাপদ অবস্থান হচ্ছে সর্বাবস্থায় হিজাবে থাকা
ফারীদাহ, ক্বারীনাহ, ক্বারীবাহ, কাবীরাহ, কাছিত্বাহ হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল হিজাব পালন, যা কল্পনা করা কঠিন ব্যাপারউনার মুবারক ছায়াও কখনো কোনো পরপুরুষ দেখেনিএমনকি কোনো পর্দাহীন বেহায়া মহিলাও উনাকে দেখতে পায়নিউনার মুবারক কণ্ঠস্বর কোনো পরপুরুষ কখনো শুনেনিবলতে গেলে সূর্যের কিরণও উনাকে স্পর্শ করেনিসুবহানাল্লাহ! এতো বেমেছাল হিজাব মুবারক উনি পালন করেনফারীদাহ, ক্বারীনাহ, ক্বারীবাহ, কাবীরাহ, কাছিত্বাহ হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মাঝে এখন আমরা সেই নববী যুগের হিজাব পালনের হুবহু বেমেছাল নকশা মুবারক দেখতে পাচ্ছিযার কারণে বেহিজাব নারীরা উনার বেমেছাল হিজাব পালনের তাছিরে আপসেআপ পর্দানশীন হয়ে যাচ্ছেসুবহানাল্লাহ!

৯. রফীক্বাহ, রুকাইয়্যা, হাবীবাতুল্লাহ, নূরিয়্যাহ, ফখরিয়্যাহ হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম তিনি সৃষ্টিগতভাবেই মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীতা হাবীবা :
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি (উনার খাছ ওলী হিসেবে) যাঁকে ইচ্ছা উনাকেই মনোনীত করেন” (পবিত্র সূরা শুরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩)
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন একা ছিলেনকুল-কায়িনাতের কোনোও অস্তিত্ব ছিলো নামহান আল্লাহ পাক তিনি ইচ্ছা করলেন প্রকাশ ঘটবেনতখনই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মনোনীত করেছিলেন উনার পরে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবেএভাবেই মনোনীত হওয়ার বা করার বিষয়টির যাত্রা শুরু হয়এরপর হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং বিশেষ শ্রেণীর হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকে মনোনীত করেন
অর্থা হযরত আউলিয়ায়ে ক্বিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মধ্যে অনেকে যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মাশাক্কাত করার মাধ্যমে ওলীআল্লাহ হনআবার কেউ আছেন যাঁদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টিগতভাবেই মনোনীত করেন ওলীআল্লাহ হিসেবেআর যাঁদেরকে মনোনীত করা হয় উনাদের শান-মান, মর্যদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান বেমেছাল থাকে আগমনগতভাবেইঅল্প বয়স মুবারক থেকেই উনাদের মাঝে বেমেছাল ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে
রফীক্বাহ, রুকাইয়্যা, হাবীবাহ, নূরিয়্যাহ, ফখরিয়্যাহ হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সৃষ্টিলগ্ন থেকেই মুরাদ ত্ববকার আল্লাহওয়ালী হাবীবা হিসেবে মনোনীত করেনসুবহানাল্লাহ! এজন্য আগমনগতভাবেই তিনি সর্বগুণে গুণী, সর্বজ্ঞানে জ্ঞানীইলমের প্রতিটি শাখায় উনার অবাধ পা-িত্যের সাথে বিচরণশিশুকাল থেকেই পূর্ণরূপে দুনিয়া বিরাগী, পরকালের প্রতি অত্যন্ত নিমগ্ন, দায়েমীভাবে সুন্নতে মশগুল, পর্দা পালনে বেমেছাল ও কঠোর, অপছন্দনীয় কাজ সম্পর্কেও সদা সতর্ক, তাক্বওয়া সমৃদ্ধ ইবাদতে বলীয়ান, দুনিয়া ক্ষমতা ও মাল-আসবাবের আকাঙ্খা থেকে পরিপূর্ণরূপে পূতপবিত্রসুবহানাল্লাহ! ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল মাহবুবা ওলী হিসেবে উনার মনোনীতা হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ ঘটায় কুল-কায়িনাত সুশোভিত হয়ে উঠে

১০. লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আযম, কুতুবুল আলম, ত্বহিরাহ, ত্বইয়্যিবাহ, মাহবুবাহ হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম উনার খাছ লক্বব মুবারক ও উনার বিশেষত্ব :
যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মানুষকে তাঁর মর্যদা অনুসারে সম্মান করো বা ডাকো” (তাফসীরে মাযহারী শরীফ)
মূলত লক্বব হচ্ছে যেকোনোও ব্যক্তির মর্যদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, ইজ্জত-সম্মানের বহিঃপ্রকাশলখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আযম, কুতুবুল আলম, ত্বহিরাহ, ত্বইয়্যিবাহ, মাহবুবাহ হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম উনার খাছ লক্বব মুবারক হচ্ছে নিবরাসাতুল উমামকুল-কায়িনাতবাসী উনাকে এই সুমহান লক্বব মুবারকেই বেশি সম্বোধন করে থাকেন
নিবরাসাশব্দ মুবারক উনার অর্থ : এক সুউজ্জ্বল নূর, সুমহান প্রদীপ, সুউচ্চ আলোকবর্তিকাআর উমামশব্দ মুবারক উনার অর্থ : সমস্ত উম্মতমূলত, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি সারা কায়িনাত তথা গোটা উম্মতের আলোকবর্তিকা বা আলোদানকারিণীঅর্থা উনার উসীলায় তথা উনার নূরে সারা জগ নূরানীময় হয়ে ধন্যপ্রাপ্তসুবহানাল্লাহ! বর্তমানে কোনোও মারিফাত পিপাসু হৃদয়ে খোদায়ী নূর মুবারক ধারণ করতে চাইলে অবশ্যই উনার মুবারক ইজাজত লাগবেসারা কুল-কায়িনাতের সুমহান রূহানী নূর মুবারক উনার চাবিকাঠি এখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতেতিনিই উহার বণ্টনকারিণীতাইতো কায়িনাতবাসী সকাল-সন্ধ্যা নিবরাসাতুল উমামবলে হৃদয়ে প্রতিধ্বনি তুলে থাকে সেই সুমহান রূহানী নূর মুবারক হাছিল করতেআর হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আধুনিক জাহিলিয়াতের তিমির প্রকোষ্ঠে নিমজ্জিত বেভোলা-বেদিশা নারীদেরকে সেই নূরের ছটা তাদের হৃদয়ে নিক্ষেপ করে প্রকৃত ইসলামে দীক্ষিত করে চলেছেনসুবহানাল্লাহ!

১১. ফাক্বীহা, মাশুকাহ, গফীরাহ, নাছিবাহ, রহীমাহ হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম উনার লক্বব মুবারক অসংখ্য-অগণিত :
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনারা নিজে অসংখ্য লক্বব মুবারক ব্যবহার এবং প্রকাশ করে বান্দা-বান্দী ও উম্মতকে লক্বব মুবারক ব্যবহার এবং প্রকাশ করার আদত শিক্ষা দিয়েছেনযার জন্য লক্বব ব্যবহার করা খাছ সুন্নাতুল্লাহ এবং সুন্নতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামসুবহানাল্লাহ!
মূলত, লক্বব হচ্ছে কোনোও ব্যক্তির মর্যদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, ইজ্জত-সম্মানের বহিঃপ্রকাশযিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনারা যাঁকে যে পরিমাণ বিশেষ নিয়ামত হাদিয়া করেন তিনি সে অনুযায়ী মর্যদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত লাভ করে থাকেন বা সে অনুযায়ী উনার লক্বব মুবারক হয়ে থাকেসেদিক দিয়ে হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার লক্বব মুবারক হচ্ছে অসংখ্য, অগণিতকেননা যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনারা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে বেমেছাল শান-মান, মর্যদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, ইজ্জত-সম্মান আগমনগতভাবেই হাদিয়া করেছেনউনার অসংখ্য, অগণিত লক্বব মুবারক-এর মধ্য হতে নিম্নে সামান্য কিছু লক্বব মুবারক মানুষদের বরকত লাভের জন্য উল্লেখ করা হলো:
লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আযম, কুতুবুল আলম, ত্বহিরাহ, ত্বইয়্যিবাহ, মাহবুবাহ, ফাক্বীহা, মাশুকাহ, গফীরাহ, নাছিবাহ, রহীমাহ, রফীক্বাহ, রুকাইয়্যা, হাবীবাহ, নূরিয়্যাহ, ফখরিয়্যাহ, ফারীদাহ, ক্বারীনাহ, ক্বারীবাহ, কাবীরাহ, কাছিত্বাহ, ছামীনাহ, ছাইমাহ, ছালিহাহ, ছুফিয়্যাহ, সাইয়্যিদাতুন নিসা, তাওশিয়াহ, তাকরীমাহ, তাক্বিয়্যাহ, তাযকিয়্যাহ, জাকিয়্যাহ, নাজিয়াহ, উম্মুল ওয়ারা, আফদ্বালুন নিসা বাদাল উম্মাহাতিল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদা, আলিমা, জামিলা, কামিলা, আরিফা, আবিদা, ফারীহা, নূরে হাবীবা, হাদীয়াতুল মাদানী, হাদীয়ে মাদারযাদ, ওলীয়ে মাদারযাদ, ক্বায়িম-মক্বামে ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম, ক্বায়িম-মাক্বামে সাইয়্যিদাতুন নিসা ফিল জান্নাহ, বাশীরা, নাজীরা, শাহিদা, মুবাশিশরা, আশশাবীহাতু বিল মুজাদ্দিদে আযম ,আযযাহরা, মালিকায়ে নিয়াম, ছহিবাতুন নিয়াম, মালিকায়ে আযম, মালিকায়ে আলম, ছহিবে গাফফার, হুমায়রা, ছিদ্দীক্বা, হাবীবাতুল্লাহ, নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, নাছীরা, মানছুরা, গালিবা, আফীফা, ছহিবে নূর, উম্মুল খইরা, মুনিরা, শরীফা, বাহরুল আলীমা, জামিউল মাক্বাম, হাদীয়ে জাহান, কুররতু আইনি মুর্শিদুনা আলাইহিস সালাম, মুখলিছা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, ছাহিবাতুল কুরআন ওয়াল হাদীছ, ছহিবে যিকির, আফযালুন নিসা, মাখযানুল মারিফা, রাহনুমায়ে দ্বীন, মাজীদাতুন নিসা, হামীদাতুন নিসা, বাহরুল উলুম, ছহিবাতুল হিকাম, আওলাদে রসূল, নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালামসুবহানাল্লাহ!

১২. হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার হুমায়রাছিদ্দীক্বালক্বব মুবারক উনার হুবহু মিছদাক :
হযরত আহলে বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামগণ উনাদের খাছ ও অন্যতমা সদস্য হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালামযিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে মনোনীত হয়েই তিনি যমীনে আগমন করেছেনআমাদের একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, তা হলো- হযরত মুজাদ্দিদে কিরাম (আলাইহিমুর রহমাহ) উনারা যেমনিভাবে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পক্ষ হতে মনোনীত, তদ্রƒপ উনাদের যাঁরা লখতে জিগার পবিত্র আওলাদ উনারাও মনোনীতএছাড়া যাঁরা আহলে বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আরো খাছভাবে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পক্ষ হতে মনোনীত তা বলার অপেক্ষা রাখে নাউনাদের পবিত্রতা, খুছুছিয়ত, ফযীলত, ছানা-ছিফত বর্ণনা করা, উনাদের প্রতি সুধারণা পোষণ করা, মুহব্বত করা, তাযীম-তাকরীম করা ইত্যাদি বিষয়গুলো পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে
কাজেই উম্মুল ওয়ারা হযরত শাহযাদী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন- যামানার মহান মুজাদ্দিদ ও ইমাম, যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, মুজাদ্দিদে আযম ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার লখতে জিগার, ছানী আওলাদ, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মুল মুমিনীন হুমায়রা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালামসুবহানাল্লাহ! উম্মুল ওয়ারা হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি এমনিতেই উম্মুল মুমিনীন হুমায়রা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ক্বায়িম-মাক্বাম ননযে মহান খুছুছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক-এর কারণে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি হুমায়রাছিদ্দীক্বালক্বব মুবারক-এ ভূষিত হয়েছেন, সে একই খুছুছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক-এর অধিকারিণী উম্মুল ওয়ারা হযরত শাহযাদী ক্বিবলা আলাইহাস সালামসুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন খুব দ্রুত বেড়ে উঠা মেয়েদের একজনমাত্র নয়-দশ বছর বয়স মুবারক-এ তিনি বেশ বেড়ে উঠেছিলেন এবং অনন্য খুবছূরত ছিলেনউনার এ পবিত্র খুছুছিয়ত মুবরক-এর কারণে উনাকে হুমায়রাবলা হতোআর এসব গুণ-বৈশিষ্ট্য মুবরক-এর হুবহু মিছদাক হলেন উম্মুল ওয়ারা হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালামসুবহানাল্লাহ!
একইভাবে উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি যে পিতার কারণে ছিদ্দীক্বাছিলেন, তা নয়বরং তিনি নিজ বৈশিষ্ট্য-গুণেই ছিদ্দীক্বালক্বব মুবারক-এ ভূষিতউনার ছিদ্দীক্বা বা সত্যবাদিনী হওয়ার স্বপক্ষে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআনুল কারীম উনার পবিত্র আয়াত শরীফও নাযিল করেছেনসুবহানাল্লাহ!
তদ্রƒপ উম্মুল ওয়ারা হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি যে ছিদ্দীক্বাসে বিষয়ে অনেক বাস্তব ঘটনাই রয়েছেতার মধ্যে একটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করা হলোঘটনাটি হলো, এক পীরবোন যিনি অবিবাহিতা থাকাকালে উম্মুল ওয়ারা হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম এবং পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কিছু খিদমত করার সুযোগ পেয়েছিলেনখাদিমা হওয়ার সুবাদে উনাদের সাথে ওই পীরবোন কুড়িগ্রাম জেলা শহরে এক বিশেষ সফরেযানসেখানে স্মৃতি হোটেলে সাইয়্যিদাতুন নিসা, হাবীবাতুল্লাহ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক তালীমী মজলিসের ব্যবস্থা করা হয়সেই তালীম ও ছোহবত মুবারক গ্রহণের জন্য অনেকের মতো স্থানীয় এক পীরবোন গিয়েছিলেন, যাঁর বড়ভাই খোদ দরবার শরীফ-এ খিদমতে নিয়োজিতছোহবত ও তালীম শেষে স্থানীয় ওই পীরবোন ছফরসঙ্গী খাদিমা পীরবোনের সাথে কথা বলছিলেনসেটা প্রত্যক্ষ করে উম্মুল ওয়ারা হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি তখন খাদিমা পীরবোনকে বলেছিলেন, “বেশি খাতির জমায়ে কথা বলিও না, পরে আবার ভাইয়ের বউ করিয়ে নিবেউনার এ কথা মুবারক তিনি অনেক পূর্বে বলেছিলেনকিন্তু অনেক বছর পর সে কথা মুবারক বাস্তবে পরিণত হয়ে যায়যাঁরা ছিদ্দীক্বাত্ববকার অধিকারী উনাদের সমস্ত কথা মুবারক-ই অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবে পারণত হয়ে যায়, এটা তার ক্ষুদ্র দৃষ্টান্ত মাত্রসুবহানাল্লাহ!

১৩. উম্মুল ওয়ারা, নাজিয়াহ, আফদ্বালুন নিসা বাদাল উম্মাহাতিল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম উনার মুহতাজ পুরো কায়িনাতবাসী :
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “উনার পদাঙ্ক অনুসরণ কর, যিনি আমার দিকে রুজু হয়েছেনঅর্থা হে কায়িনাতবাসী! তোমরা উম্মুল ওয়ারা, নাজিয়াহ, আফদ্বালুন নিসা বাদাল উম্মাহাতিল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবতের মোহতাজ হয়ে যাও, উনাকে পদেপদে অনুসরণ-অনুকরণ কর, কেননা তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে আখাছ্ছুল খাছভাবে রুজু হয়েছেন তথা বেমেছাল আল্লাহওয়ালী তিনিআর উনার কাছেই রয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মারিফাত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক
মৌমাছি ফুলের খোঁজে হন্য হয়ে ঘুরে মধু আহরণ করার জন্যশিশু মাকে খোঁজে একান্ত কাছে রেখে স্নেহের পরশ পাওয়ার জন্যপশু-পাখি সকালে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে খাবারের জন্যমানুষ কাজ শেষে ঘরে ফিরে ছেলে-মেয়ে-আহলিয়া বা মা-বাবার জন্যছাত্ররা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা বা শিক্ষক-উস্তাদের কাছে ছোটে পড়ালেখার জন্য বা ইলম অর্জনের জন্যঅর্থা কায়িনাতের সবাই কোনোও না কোনো নির্দিষ্ট দিকে মোহতাজ হয়ে আছেকিন্তু যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত-মারিফাত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হিস্যা লাভ করে নেককার-আল্লাহওয়ালা বান্দা-বান্দী হওয়ার জন্য উনার মোহতাজ পুরো কায়িনাতবাসীসৃষ্টিজগতের সমস্ত চাহিদা পুরণ করার অপরিসীম জাহিরী-বাতিনী, জিসমানী, রূহানী, দুনিয়াবী নিয়ামত সম্ভার রয়েছে উনার মুবারক ক্বদম তলেউনার সাথে রূহানী নিছবত বা সম্পর্ক তৈরি হলে সেই জান্নাতী নিয়ামত মুবারক-এর হিস্যা পাওয়া যায়এছাড়া সম্ভব নয়তাই ইচ্ছা হোক আর অনিচ্ছা হোক উনাদের কাছে যেতে বাধ্য সমস্ত মাখলুকাত
 উম্মুল ওয়ারা, নাজিয়াহ, আফদ্বালুন নিসা বাদাল উম্মাহাতিল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা এতো বেমেছাল খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যদা-মর্তবা দান করেছেন, যা কুল-কায়িনাত কল্পনা করে শেষ করতে পারবে নাউনার নিয়ামত সম্ভারের শুরু আছে কিন্তু শেষ কোথায় তা কেউ জানে নাসবাই নিয়ামত মুবারক-এর হিস্যা পেতে উনার প্রতি মুহতাজ রয়েছেএজন্য এরূপ প্রসঙ্গেই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যিনি খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক উনার হয়ে যান, কায়িনাতবাসীও উনার হয়ে যায়অর্থা কুল-কায়িনাতের সবাই হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার গোলাম, আর তিনি মালিকাউনার মুহতাজ সারা কায়িনাতবাসী
আর উনার প্রতি খালিছভাবে মুহতাজ থেকে যে যা আরজু করবে সে ওই নিয়ামত পাবেই পাবে (ইনশাআল্লাহ!)এখানে দুটি বাস্তব ঘটনা উল্লেখ করা হলো:-
ক). আমাদের এক পীরবোন সন্তানসম্ভাবা ছিলেনকি সন্তান জন্মগ্রহণ করবে- তা সাধারণভাবে কারো পক্ষেই বলা সম্ভব নয়তা মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ব্যতীত এবং উনারা দয়া-ইহসান করে যাঁদেরকে অবহিত করেন অর্থা ওলীআল্লাহগণ উনারা ব্যতীত কারো পক্ষে জানা সম্ভব নয়কিন্তু সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, নিবরাসাতুল উমাম হযরত শাহযাদী ছানী আলাইহাস সালাম তিনি তো ছহিবায়ে ইলমে গাইবছিদ্দীক্বাতিনি যা বলবেন তা-ই ঘটতে বাধ্যআর তিনি ওই পীরবোনকে পূর্বেই বলেছিলেন যে, তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিবেসত্যি! যথাসময়ে দেখা গেল পীরবোন একটি কন্যা সন্তানই প্রসব করেছেনসুবহানাল্লাহ!
খ). এক পীরবোন সন্তানসম্ভাবা ছিলেনবাচ্চা হওয়ার পূর্বে তিনি খুব চিন্তিত ছিলেনমনে মনে খুব চাচ্ছিলেন- যেন দ্বিতীয় বাচ্চাটি অপেক্ষাকৃত অধিক সুন্দর হয়অবস্থা দর্শনে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, নিবরাসাতুল উমাম হযরত শাহযাদী ছানী আলাইহাস সালাম তিনি উক্ত পীরবোনের দিকে খুব দয়া-ইহসানের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেছিলেন, “চিন্তা করো নাএবারের বাচ্চাটি আরো অধিক সুন্দর হবেপরবর্তীতে তাই হয়েছিলসুবহানাল্লাহ!
কাজেই আমরা যে যা নিয়ামত চাই, মারিফত-মুহব্বত চাই- তা যেন খালিছভাবে উনার পাক ক্বদম মুবারক-এ মুহতাজ থেকে আরজু করি

১৪. নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, ছিদ্দীক্বা, হাবীবাতুল্লাহ, নাছীরা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম তিনি পাক পাঞ্জাতন শরীফবাগিচার অন্যতমা একটি ফুল :
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কুল-কায়িনাতকে যমীনে কিয়ামত পর্যন্ত বহাল রাখতে যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বিশেষভাবে হাদিয়া করেছিলেন অত্যন্ত শান-শওকতপূর্ণ, কায়িনাত শ্রেষ্ঠ, অফুরন্ত নিয়ামত ভা-ার সমৃদ্ধ, বেমেছাল পবিত্রতা সম্পন্ন, অপরিমেয় সৌন্দর্যম-িত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের একটি পাক-পাঞ্জাতন শরীফবাগিচাযাঁদের সম্পর্কে হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “নিশ্চয় আমার আওলাদগণ উনারা হচ্ছেন হযরত নুহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির ন্যায়যে তাতে প্রবেশ করবে সেই নাজাত পেয়ে যাবেসেই নহরধারার মূল হচ্ছেন যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং বাগিচার দ্বিতীয়া উসমূল হলেন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালামএরপর সেই বাগিচার তৃতীয় উসমূল হলেন হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালামচতুর্থ উসমূল হলেন হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং পঞ্চম উসমূল হলেন হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামএই পাঁচ মহান ব্যক্তিত্ব উনাদেরকেই ইতিহাসে হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পাক পাঞ্জাতন শরীফনামে অভিহিত করা হয়সুবহানাল্লাহ!
উহার হুবহু নকশা হিসেবে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে মাদারজাদ, হাবীবুল্লাহ লি ইত্তিবায়ি সুন্নাতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আওলাদুর রসূল, ইমাম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনাকেও সেই অত্যন্ত শান-শওকতপূর্ণ, কায়িনাত শ্রেষ্ঠ, অফুরন্ত নিয়ামত ভা-ার সমৃদ্ধ, বেমেছাল পবিত্রতা সম্পন্ন, অপরিমেয় সোন্দর্যম-িত হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদের একটি পাক পাঞ্জাতন শরীফবাগিচা হাদিয়া করেছেনমামদূহী কাননে সেই আরশী বাগিচার তৃতীয়া নূরী ফুল হচ্ছেন নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, ছিদ্দীক্বা, হাবীবাতুল্লাহ, নাছীরা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালামসুবহানাল্লাহ!
নূরে মদীনা, গুলে মুবীনা, ছিদ্দীক্বা, হাবীবাতুল্লাহ, নাছীরা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি যাহরায়ী রঙে ও গুণে অতুলনীয়ভাবে সমৃদ্ধযাঁর হিদায়েতী নূরে সারা জাহান আজ আলোকিতকায়িনাতে অনবরত বিচ্ছুরিত হচ্ছে সেই মুবারক নূরের দীপ্ত রশ্মিযা বেহেস্তী সৌরভের সুবাসে জাহানকে মোহিত করছেঅসংখ্য, অগণিত মারিফাত পিপাসু পথিক সেই নূরের ছটায় এবং মুগ্ধকর সুবাসে আকৃষ্ট না হয়ে পারছে নাফলে সেই নূরী ফোয়ারার রহমত, বরকত, সাকীনা লাভে নিজেদের ধন্য করে দুজগতের রাস্তা আলোকিত করছেন কতো অজানা আশিকাসুবহানাল্লাহ!

১৫. বাহরুল আলীমা, জামিউল মাক্বাম, হাদীয়ে জাহান, কুররতু আইনি মুর্শিদুনা আলাইহিস সালাম হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম তিনি পোশাকের বিলুপ্ত সুন্নত মুবারক জারি করেছেন :
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা আমার রঙে রঞ্জিত হওঅর্থা পুরুষরা যিনি নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রঙে রঞ্জিত হও এবং মহিলারা হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম ও হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার রঙে রঞ্জিত হওতাহলে যিনি খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক উনার রঙে রঙিন হওয়া হয়ে যাবেসুবহানাল্লাহ!
বাহরুল আলীমা, জামিউল মাক্বাম, হাদীয়ে জাহান, কুররতু আইনি মুর্শিদুনা আলাইহিস সালাম হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম ও হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মাক্বামউনারা যে লেবাস মুবারক ব্যবহার করেছেন ঠিক অনুরূপ লেবাস মুবারক তিনিও ব্যবহার করেনএবং মহিলাদের মাঝে এ সুন্নতী লেবাস মুবারক জারি করেনকতিপয় সুন্নতী লেবাস মুবারক উনার বর্ননা দেয়া হলো:
হাদীয়ে জাহান, বাহরুল আলীমা, জামিউল মাক্বাম, কুররতু আইনি মুর্শিদুনা আলাইহিস সালাম হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার ব্যবহৃত ও জারিকৃত সুন্নতী লেবাস মুবারক হচ্ছে, কামীছ (গুটলীযুক্ত, কল্লিদার, নিছফুসাক, গোল বা কোণাবন্ধ সুতি কাপড়ের) মুবারক, সালোয়ার (কল্লিদার, যা নিচের দিকে পাজামার মতো বেঢপ ঢোলা না, বরং বর্ডারযুক্ত চিপা, যা আবার চোস্ত না) মুবারক, ওড়না (চাদর জাতীয়, মাপ: দুই হাত ও সাড়ে চার হাত, আড়াই হাত ও সাড়ে চার হাত, আড়াই হাত ও চার হাত) মুবারক
বোরকা (কালো রঙ এবং ঢোলা, নেকাব- জালিযুক্ত) মুবারক, স্যান্ডেল বা পাদুকা (চামড়ার ক্রস দুই ফিতা বিশিষ্ট এবং প্রতিটি ফিতা আবার দ্বিস্তর বিশিষ্ট) মুবারক, মোজা (চামড়ার ও খয়েরী রঙের) মুবারক
যখন পাশ্চাত্য এবং মুম্বাই ফ্যাশনের অশালীন পোশাকে দিশেহারা পুরো কায়িনাতবাসী; বোরকার নাম নিতে নাক ছিটকানী দিচ্ছে; ঢোলা ও লম্বা পোশাকের নাম শুনলে আঁতকে উঠছে মহিলারা; সেই কঠিন সঙ্কটময় মুহূর্তে মুবারক সুন্নতী লেবাসে বাহরুল আলীমা, জামিউল মাক্বাম, হাদীয়ে জাহান, কুররতু আইনি মুর্শিদুনা আলাইহিস সালাম হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি নববী যুগের প্রতিচ্ছবিএকি! কানে কি ঠিক শুনছিবেহায়া মেয়েরা তা ভাবতেই পারে নাবর্তমান আধুনিক জাহিলিয়াতের যুগে তিনি হচ্ছেন ইলাহী কুদরত এবং রাসূলী মুজিযা শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্তযেন আসমান থেকে উনাকে নামিয়ে দেয়া হয়েছেবর্তমান আধুনিক জাহিলিয়াতের ফিতনার সাগরে হাবডুবু খেতে থাকা নারীদের বিস্ময়- তা না হলে এরকম লেবাস মুবারক পরিধান করা কি করে এখন সম্ভবপর হয়! সুবহানাল্লাহ!

১৬. মানছুরা, গালিবা, আফীফা, ছহিবে নূর, উম্মুল খইরা, মুনিরা, হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম তিনি নারী জাতির মুক্তির আরশী দিশারী :
শামসী চৌদ্দ শতাব্দীপুরো মহিলা জাতিটাই যেন এখন ভোগবাদী একটা গোষ্ঠীর চাতুর্যের ফাঁদে আটকা পড়েছেচারদিকে পুঁজিবাদী ও ভোগবাদী গোষ্ঠীর অর্থ কামায় ও সম্ভোগের ঘুঁটি নারী সমাজপুঁজিবাদী ও ভোগবাদী গোষ্ঠীর কথিত নারী স্বাধীনতানারী উন্নয়ন’-এর আপ্ত বুলি বুর্যোয়া-ভাড়াটে মিডিয়ার মাধ্যমে দশদিগন্তে ছড়িয়ে দিয়ে নির্লজ্জতা, বেহায়াপনা, অশ্লীলতায় ভাসিয়ে দিয়েছেনারী স্বাধীনতার নামে বৈষয়িক উন্নতির অলীক স্বপ্নে বিভোর করেছে নারীদেরকেআর দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে নারীরা তার ব্যক্তিত্ব, সম্ভ্রম, সম্মান সবকিছু বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করছে নাফলে নারীদের ঘিরে পুঁজিবাদী ও ভোগবাদী গোষ্ঠীর ব্যবসা জমজমাট
আর স্বাধীনাতা অর্জনের বাসনায় নারীদের নিত্যদিনের আচরণ হচ্ছে বেপর্দা হওয়া, মান-সম্ভ্রম বিলানো, পরকীয়া করা, অবৈধ প্রেম করা, নাচ-গান করা শুনা, মদ পানে বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকা, টিভি, নাটক, সিনেমায় মত্ত থেকে ভোগবাদীদের তুষ্ট করা, রাজনীতির নামে বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনায় মত্ত থেকে নিজস্ব স্বকীয়তাকে বিসর্জন দেয়া এবং রাজপথে মিছিল মিটিং করে নিজেদের মান-সম্মান হারানো, নির্যাতিতা হওয়া, বেশরা-বিদয়াতে লিপ্ত থাকা, বাজারে বাজারে ঘুরা, নষ্টামীতে ও লোকপ্রদর্শনীতে মত্ত থাকা, অফিসে পুরুষ সহকর্মীর ছলনার পুতুল হওয়াঅর্থা যত বদ এবং নিকৃষ্ট কাজের আড্ডার মাধ্যম এখন নারী
দেহপ্রদর্শনীতে ক্ষুধার্ত বাঘের ন্যায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ তাদের মাঝে খুঁজে পাওয়া দুষ্করহারাম কাজে গর্জন করছে সিংহের ন্যায়নারীরা যদি এভাবেই তাদের মান-সম্মান-ইজ্জত-আবরুকে নাক ছিটকানী দিয়ে আইয়ামে জাহিলায়াতের ন্যায় আচরণ জারি রাখায় তারা ইহজগতে বর্ণনাতীত লাঞ্ছিত, পদদলিত হচ্ছেতবুও তাদের হুঁশ ফিরছে না পুঁজিবাদী ও ভোগবাদীদের রঙ মাখানো চাতুর্যপূর্ণ প্রলোভনের কারণেপুঁজিবাদী ও ভোগবাদীদের রঙ মাখানো চাতুর্যপূর্ণ প্রচারণার ফলে সমাজে নারী মানেই ভোগ্যপণ্যহিসেবে তাদের নোংরা পরিচিতি প্রতিষ্ঠিততবুও ক্ষণিকের দুনিয়ার অর্থ-সম্পদের মোহে আচ্ছন্ন হয়ে থাকায় নারীরা তা বুঝতে পারে নাতাই লানতের অগ্নি ছেয়ে গেছে সর্বত্র
অথচ পবিত্র দ্বীন ইসলাম নারী জাতিকে যে সীমাহীন শ্রেষ্ঠত্ব-মর্যাদা দিয়েছে তা কল্পনাতীত ব্যাপারমূলত এই বেহায়া, পথহারা নারী জাতিকে সঠিক সম্মানিত গন্তব্যে পৌঁছে দিতে কায়িনাত মাঝে নারী জাতির সম্মান শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে, লানত ও অশান্তির করুণ পরিণতি থেকে হিফাযত করতে এবং দুনোজাহানে তাদেরকে মুক্তি দান করতে ধরার বুকে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা বিশেষ নিয়ামত হিসেবে মানছুরা, গালিবা, আফীফা, ছহিবে নূর, উম্মুল খইরা, মুনিরা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে হাদিয়া করেছেনসুবহানাল্লাহ!
এ ফিতনা-ফাসাদের যামানায় হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি নারীকুলকে সঠিক পথ দেখানেওয়ালী এবং নারী জাতির মুক্তির আরশী দিশারীউনার মুবারক ছোহবতেই সর্বপ্রকার রহমত, বরকত, সাকীনাসহ নারীদের প্রকৃত মর্যদা লাভ করা সম্ভব, যেমন হতো হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ও উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মুবারক ছোহবতেহযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সারা জাহান থেকে কুফরী-শিরকী, বিদয়াত, বেশরার মূল উপাটন করে নববী যুগের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে পথহারা নারীদের মাঝে বেগবান করে তুলছেনযুলুম-নির্যাতন, বেপর্দা, বেহায়াপনাসহ নারী জাতির সমস্ত দুর্দিন উনার নূরী পরশে বিদূরিত হচ্ছেউনার ফায়েজ ও রোবে দিন দিন নারী জগ সুদৃঢ় ও মজবুত হচ্ছেছড়িয়ে পড়ছে রাব্বী হুকুম এই বসুধায়

১৭. সাইয়্যিদাতুন নিসা, আফদ্বালুন নিসা, নূরে মুবিনা, গুলে মদীনা হযরত শাহযাদী ছানী হাদীয়ায়ে মাদানী আলাইহাস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক রব্বুল ইজ্জত উনার একজন খাছ লক্ষ্যস্থল হাদী :
 খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক ক্বওম বা সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছেন একজন হাদী বা হিদায়েতকারী
মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁদেরকে খাছ লক্ষ্যস্থল হাদীরূপে প্রেরণ করেন, উনাদের প্রতি পদেই মানুষ হিদায়েত লাভ করেউনাদের একটি নজরেই যে কেউ মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত, হিদায়েত ও সন্তুষ্টির প্রাপ্তিতে উচ্চতম সোপানে আরোহণ করতে সক্ষমএমনকি কেউ যদি যোজন যোজন দূর থেকে অন্তরের গহীনে একটি বারের তরেও উনাদের মুহব্বতের শিহরণে আলোড়িত হয়, তবে আপসে আপই সে হিদায়েত লাভ করেযদিও সে বিধর্মী হোক না কেনউনাদের আলোচনা যেখানে করা হয়, সেখানে অঝোর ধারায় বর্ষিত হয় রহমত ও হিদায়েতী নূরকেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুহসিনউনাদের নিকটে
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই ছালেহীনউনাদের আলোচনা, ছানা-ছিফত রহমত প্রাপ্তির মাধ্যম
বলাবাহুল্য, মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত হলো হিদায়েত প্রাপ্তির পূর্বশর্তআর তাই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছ বান্দা, হাদী, ছালিহীন ও মুহসিন বান্দা উনাদের শানে আলোচনা, ছানা-ছিফত, প্রশংসা, ক্বাছীদা এসব কিছুর মাধ্যমে স্বভাবতই মানুষ হিদায়েত লাভ করে
বলার অপেক্ষা রাখে না, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আফদ্বালুন নিসা, নূরে মুবিনা, গুলে মদীনা হযরত শাহযাদী ছানী হাদীয়ায়ে মাদানী আলাইহাস সালাম তিনিও মহান আল্লাহ পাক রব্বুল ইজ্জত উনার একজন খাছ লক্ষ্যস্থল হাদী
উনার শানে আলোচনা, ছানা-ছিফতের মাধ্যমেও অগণিত মানুষ হিদায়েত লাভ করেছেন, করছেন করবেনসরাসরি তো দূরের কথা, উনার মবারক শানে রচিত বাংলা ক্বাছীদা শরীফ শুনে মুসলমান হয়েছে নাইজেরিয়ান খ্রিস্টানসুবহানাল্লাহ!
কাজেই স্বয়ং গুলে মদীনা হযরত শাহযাদী ছানী আলাইহাস সালাম উনার মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, ফায়দা ফিকির করে কূল-কিণারা উদ্ধার করা তো দূরের কথা, উনার মবারক শানে রচিত ক্বাছীদ শরীফ যে কতোটুকু মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত ফায়দা তা উপলব্ধির জন্য এই একটি মাত্র মুবারক ঘটনা ফিকির করতেই মারিফত প্রত্যাশীদের বিস্ময়ে বিমূঢ় হতে হয়আর তিনি স্বয়ং কতো মর্যাদাসম্পন্না হাদী সেটা এর দ্বারা উপলব্ধি করা যায়সুবহানাল্লাহ!
বলাবাহুল্য, এ ঘটনাটি উনার বেমেছাল মুবারক কারামতের মহাসমুদ্র থেকে প্রকাশিত একটি কণা মাত্রএর প্রেক্ষাপটটি ছিলো- মাহে ছফর ১৪৩১ হিজরী (২০১০ ঈসায়ী) সনের কোনো এক ¯িœগ্ধ মধ্যরাত (বাংলাদেশ-এর স্থানীয় সময়)হযরত মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম উনার খাছ তাজদীদী মাধ্যম, আন্তর্জাতিক ঠড়রপব জড়ড়স, ঘড়ড়ঁহ অষধধ ঘড়ড়-এর নৈশ অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হচ্ছিলো ক্বাছীদা শরীফযথারীতি নূরুন আলা নূরভয়েস রুমে ছিলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অতিথি বা গেস্টদের আনাগোনাসুদূর আফ্রিকা মহাদেশের নাইজেরিয়া থেকে আইবাফ বহি নামে খ্রিস্টান ব্যক্তি নূরুন আলা নূরভয়েস রুমে প্রচারিত ক্বাছীদা শরীফসমূহ খুবই উপভোগ করছিলেন। (বলাবাহুল্য, তাঁর যোগাযোগের ভাষা ছিলো ইংরেজিতিনি বাংলা ভাষা জানেন না।)
এদিকে সেই সময় ক্বছীদা শরীফ প্রচারের ধারাবাহিকতায় তখন প্রচারিত হচ্ছিলো হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক শানে ক্বাছীদা শরীফকহি শাহযাদী ছানীর শানশিরোনামের ক্বছীদা শরীফখানা ওই নাইজেরিয়ান খ্রিস্টানের অন্তর প্রকম্পিত করলোতিনি নূরুন আলা নূরভয়েস রুমের অ্যাডমিনদের সাথে যোগাযোগ করে এবং উনার মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত, ফায়দা সম্পর্কে জেনে তক্ষণাত মুসলমান হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং মুসলমান হয়ে যানসুবহানাল্লাহ!

১৮. মোবারক হো ঈদে বিলাদতে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম :
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আর আপনি তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিনসমূহ সম্পর্কে জানিয়ে দিন
কাজেই মহান ১৯শে রবউছ ছানী ঈদে আযমআরশে আযীমে ঘোষণা হয়েছে বেমেছাল মনোনীতা হাবীবা উনার যমীনে তাশরীফের দিন পবিত্র ১৯শে রবউছ ছানী শরীফতাইতো যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এদিন কায়িনাতকে নতুনভাবে সজ্জিত করেছেনআরশে নূরী ফোয়ারা পুরো আকাশে স্নিগ্ধ সুবাসের রশ্মি ছড়িয়ে দিয়েছেনএতোটুকু খালি নেই সেই নূরের ছটাজিন-ইনসান, ফেরেশতাসহ কুল-কায়িনাতের সবকিছু আন্দোলিত হচ্ছে অনবরততারকা, গ্রহ-নক্ষত্র কাছীদা শরীফ উনার ধ্বনিতে মুখরিত ও খুশি হয়ে দুলে দুলে ঘুরছেআসমান যমীনের মধ্যবর্তী স্থানে যেন কুদরতী ফুলের শামিয়ানা বিছানো হয়েছেসেøাগান হচ্ছে সেখানে আহলান-সাহলান জানিয়েজোস্নাময় নূরী হাদী উনার প্রকাশ ক্ষণে জিন-ইনসান, ফেরেশতাসহ কুল-কায়িনাতের সবকিছু উচ্ছ্বসিত
যমীনও কি পিছিয়ে আছে? নাগাছে গাছে হঠা ব্যাতীক্রমী সৌরভ-সুবাসে ভরা নতুন ফুল ফুটেছেপাখিদের কণ্ঠে সুমধুর স্বরে ক্বাছীদার বন্যা ছড়িয়ে পড়েছেবনের পশুগুলোও দাঁড়িয়ে দিনভর ছলাত-সালাম জানাতে আজ ক্লান্তি বোধ করছে নাসমুদ্রের মহাগর্জন মুবারক হো! মুবারক হো! ধ্বনিতে পরিণত হয়েছেবসন্তের সমারোহে চারদিক ঝলমল করছেঐশী জান্নাত থেকে ভেসে আসা মৃদু মৃদু হিম শীতল হাওয়া বইছে ধরা পৃষ্ঠেগোটা সৃষ্টির মাঝে ঈদের খুশির ঢেউ ছড়াছড়িকি যেন এক আরশী নিয়ামত উনার প্রাপ্তিতে যমীনে বেশুমার খুশির আমেজকেন জানি সারা কায়িনাতে রহমত, বরকত, নাজাতের ঐশী বার্তা ছড়াছড়ির ধুম পড়েছে
কি হয়েছে কুল-কায়িনাতে? কিসের এত বেশুমার আনন্দ আকাশ-বাতাস ত্রিভূবন মিলিয়ে? সূর্যের কেন এত উজ্জ্বল ও দীপ্ত আলোকচ্ছটা? কিসের আনন্দে চাঁদের উজ্জ্বল ও স্নিগ্ধ আলোকরশ্মি গোটা পৃথিবীকে মুহূর্তে আলোকিত করে দিয়েছে? তবে কি চাঁদ-সুরুজ যমীনে নেমে এসেছে? না! তা কি করে হয়এমনি সময় আওয়াজ এলো আজ ছহিবে চাঁদতিনি যমীনে তাশরীফ আনবেনসুবহানাল্লাহ!
এদিকে অলীআল্লাহ, গাউছ-কুতুব, মুমিন-মুত্তাক্বী ও আশিক-আশিকা, আসমানবাসী-যমীনবাসী সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষিতআকাশে-বাতাসে, পাখ-পাখালির মুখে মুখে, পাহাড়-পর্বতে, সমস্ত সৃষ্টির মাঝে বইছে ঈদের খুশিসবারই মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক ধ্বনিমাখলুকাতের অপেক্ষিত অন্তর হাহাকার করছেকখন উঠবেন জোছার সেই চাঁদকখন প্রকাশ পাবেন মুক্তির আরশী দিশারী
রওজা শরীফে বিশেষ ছানা-ছিফতের আয়োজন বসানো হয়েছেসমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম উনারা আলাপ-আলোচনা করছেন- নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সাইয়্যিদবংশে উনার আওলাদ হিসেবে দুনিয়ায় তাশরীফ নিবেন নারীকুল শিরোমণিতাইতো আরশে আযীম থেকে রওজা শরীফ পর্যন্ত আলাদা ইন্তেজামজান্নাতকে নব উদ্যোমে সাজানো হয়েছেফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা আসমান-যমীনে বিশেষ নিরাপত্তায় ইস্তেকবাল জানাতে ছড়িয়ে পড়েছেনহুর গেলমান বেমেছাল জান্নাতী সাজে সারিবদ্ধহযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ উনারা আজ রাজারবাগ শরীফ তাশরীফ নিয়েছেন
আজ সারা আলমে নূরের সর্বত্রই যেন ছড়াছড়িসেই নূরের হিস্যা সমস্ত কায়িনাতবাসী উপভোগ করছেনমুমিন মুমিনাদের অন্তরে ঈমানী জজবার ফোয়ারায় হৃদয় আন্দোলিত হচ্ছেএমনি এক সময় আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পছন্দনীয় সময়ে, পবিত্র ও সম্মানিত মাসে কুল-কায়িনাতের সম্মানিত আম্মাজী ক্বিবলা উনার কোল মুবারক আলোকিত করে যমীনে তাশরীফ নিলেন মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ হাবীবা মুখলিছা, ছাহিবাতুল কুরআন ওয়াল হাদীছ, ছহিবে যিকির, আফযালুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালামসুবহানাল্লাহ!

১৯. সাইয়্যিদাতুন নিসা, লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আযম হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম উনার সুমহান নিক্বাহ শরীফ :
মহিমান্বিত, সম্মানিত, নূরান্বিত, আলোকিত, উদ্ভাসিত, আনন্দিত, আন্দোলিত, সুশোভিত, অপরিমেয়, মনোলভা, মনোকাড়া, হাস্যোজ্জ্বল, আড়ন্বরপূর্ণ, বেমেছাল শান-শওকত-জৌলুস যুক্ত, রহমত-বরকত-সাক্বীনাপূর্ণ এক সুমহান ঈদাইন নহরধারার মুবারক নিক্বাহ শরীফ দিবস ২২শে শাওয়াল শরীফযা ১৪৩৪ হিজরীতে কুল কায়িনাত বহু প্রতিক্ষার প্রহর গুনার পর হাদিয়া পেয়েছে
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ” চারটি বষিয় দখেে মানুষ বয়িতেে আগ্রহী হয়তার ধন-সম্পদ, তার র্মযাদা ও আভজিাত্য, তার রূপ-সৌর্ন্দয, তার দ্বীনদারী বা পরহেজগারীতবে তোমরা দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দেিব। (বুখারী ও মুসলমি শরীফ )
এরকম মহিলাদের বিয়ের জন্য যত বেমেছাল খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যদা-মর্তবা কুরআন শরীফ , হাদীছ শরীফ সহ অন্যান্য কিতাবাদিতে উল্লেখ রয়েছে, তার থেকেও কোটি-কোটি গুন মহাপবিত্রতম এবং বেমেছাল খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যদা-মর্তবার অধিকারিনী হচ্ছেন হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনিসুবহানাল্লাহ
ঠিক তেমনি একজন মনোনিত ওলী-আল্লাহ উনার বেমেছাল খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যদা-মর্তবা কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ সহ অন্যান্য কিতাবাদিতে যতটুকু উল্লেখ রয়েছে, তার থেকেও কোটি-কোটি গুন মহাপবিত্রতম এবং বেমেছাল খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য, ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যদা-মর্তবার অধিকারী হচ্ছেন জামিউল আলক্বাব, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাতে ছানী ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিসুবহানাল্লাহযিনি কুল-কায়িনাতে হাদিউল উমামআলাইহিস সালাম মুবারক লক্ববে পরিচিত
তাইতো আফযালুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম  হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম এবং জামিউল আলক্বাব, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাতে ছানী ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাদের এ মুবারক নিক্বাহ শরীফ যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দ্বারা মনোনিত  এবং আয়োজিত
বলাবাহুল্য যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনারা স্বয়ং নিজে এ মুবারক নিক্বাহ শরীফে উপস্থিত থেকে কুদরতীভাবে সম্পন্ন করেছেনআল্লাহ পাক তিনি কুল কায়িনাতকে সেভাবেই হুবহুব সাজিয়ে ছিলেন, যেভাবে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক নিক্বাহ শরীফে কায়িনাতকে সজ্জিত করেছিলেনএতটুকুর কমতি ছিল না কোথাও
হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ উনারা এবং হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আফযালুন নিসা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম  হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে নিয়ে বিভিন্ন আনজামে বেমেছাল খুশি প্রকাশ করছিলেনঅপরদিকে নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত খলিফায়ে রাশেদ্বীন আলাইহিমুস সালামগন উনারা জামিউল আলক্বাব, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাতে ছানী ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে মুবারক নিক্বাহ শরীফ উনার ঈদ পালন করছিলেনসুবহানাল্লাহনিরাপত্তা দায়িত্বে ছড়িয়ে ছিলেন কায়িনাত ব্যাপি কোটি কোটি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগন উনারা
২২ শে শাওয়াল শরীফ, ১৪৩৪ হিজরী ইয়াওমুল আহাদি বা রবিবার দিবাগত রাতে তথা পবিত্র ইছনাইনীল আযিমী বা সোমবার শরীফ রাতে আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পছন্দনীয় সময়ে, পবিত্র ও সম্মানিত মাসে আরশী দুই নুর মুবারকউনাদের মিলনের জান্নাতি অনুষ্ঠান মুবারক নিক্বাহ শরীফপৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সুমহান একমাত্র হক্ব দরবার শরীফ, রাজারবাগ শরীফ ঢাকা উনার সুন্নতী জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়যা আবাদুল আবাদ কায়িনাত মাঝে রহমত,বরকত হাছিলের স্মরনীয় একটি দিবস হয়ে চাঁদনী ছড়াবে

২০. সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গীর হাক্বীক্বত সামান্যতম প্রকাশ করতে না পারায় গোলাম অপারগতা দুর্বলতার সহিত ক্ষমা ভিক্ষা চাচ্ছি:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, আমার রব মহান আল্লাহ পাক উনার শান-মান লিখার জন্য যদি সমুদ্রের পানিকে কালি বানানো হয় তবুও মহান আল্লাহ পাক উনার শান মান, ফাযায়িল-ফযীলত শেষ হওয়ার পূর্বেই সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবেঅনুরূপ আরো যোগ করা হলেও’ (সূরা কাহাফ-আয়াত শরীফ ১০৯)
            বলাবাহুল্য, এটা যেমন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার শান মুবারকে তেমনি উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানেও এবং সাথে সাথে উনাদের রঙে রঞ্জিত লখতে জিগারে মুজাদ্দিদে আযম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শানেও যথাযোগ্যভাবে প্রযোজ্যআমার খাতা-কলম সমঝ শেষ হবে, তবুও সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত বুযূর্গীর বর্ণনা শেষ হবে না এতটুকুওসাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত বুযূর্গীর বর্ণনা তো স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনারা নিজে করেছেনসেখানে সাধারন বান্দা উম্মতের সাধ্য কোথায়
সঙ্গতকারণেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার এবং উনার সুমহান বিলাদত শরীফ উনার তাপর্য, গুরুত্ব, মহত্ত্ব, শান-শওকত লিখার জন্য কোনো ভাষার শুরু এবং শেষ নেইসমস্ত সমুদ্রের পানিকে যদি কালি বানানো হয়, গাছগুলোকে যদি কলম বানানো হয় এবং সমস্ত মানবজাতি যদি লিখা আরম্ভ করে, তবে লিখা শুধু শুরুই হবে কিন্তু কখনই শেষের মুখ দেখা যাবেনা  তাইতো অপারগতা দুর্বলতার ভরে আমার হৃদয় প্রকম্পিত হচ্ছেদয়া এবং ক্ষমা ভিক্ষা ছাড়া কোন পথও খোলা নেই অধম গোলামেরশুধুই প্রতিধ্বনি হচ্ছে অনুক্ষণ হৃদয়ে কিছু আরজি
হে হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম, হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম, হযরত নক্বিবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, হযরত খলিফাতুল উমাম আলাইহস সালাম,  হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম, হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম, হযরত সাইয়্যিদাতাল উমাম আলাইহিমাস সালাম-
শুধুই আপনাদের মুবারক খেদমতে শরীক থাকার জন্য আমার এ লিখাআমার নূন্যতম যোগ্যতা নাইআদব-শরাফতও নেইনেই এতটুকু ইলম-কালাম-ইখলাছসবকিছুই এখানে ব্যর্থ আমারসস্পৃক্ততা শুধুই অক্ষমতা প্রকাশঅনিবার্য এখানে হাজারো ক্ষমা প্রার্থনা করা
তাই আমার এবং আমার পিতা-মাতা ও ভাই-বোনদের জীবনের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, জানা-অজানা, জাহিরী-বাতিনী সমস্ত ভূল-ত্রুটি, বেয়াদবী-গোস্তাখী সহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদীয়ে ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক শানে এ লিখার  সমস্ত ভূল-ত্রুটির ক্ষমা ভিক্ষা চাচ্ছিদয়াকরে আপনারা আমাদেরকে ক্ষমা করে ফয়েজে ইত্তেহাদী দান করুনআজীবন আপনাদের গোলামীতে আদব ও ইখলাছের সহিত ইস্তিকামাত রাখুনআবাদুল আবাদ আপনাদের ছানা-ছিফতে প্রকৃত হুসনে যনের সহিত মশগুল রাখুনআমীনছুম্মা আমীন
(সম্পাদনায়- গোলাম মুহম্মদ যুফার, ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বাংলাদেশ)

No comments:

Post a Comment