আধুনিক যে কোনো বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাতে খড়ি ঘটিয়েছেন মুসলমানরা। আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তির মৌলিক তত্ত্ব বা সূত্রগুলোরও প্রবক্তা মুসলমানরাই। এক কথায় বিজ্ঞান-প্রযুক্তির জনক মুসলমান বিজ্ঞানীরাই। কিন্তু কুচক্রী ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে আজকের মুসলমানরা দুনিয়ার মোহে ও লোভে আত্মভোলা হয়ে নিজের গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে বিমুখ হয়ে আছে। মুসলমানদের মধ্যে অলসতা, অজ্ঞতা ও হীনম্মন্যতার ব্যাধি প্রকট আকারে ভর করে বসেছে।
যেমন ধরুন রকেট তথা মিসাইল তথা ক্ষেপণাস্ত্রে প্রযুক্তির কথা। এ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বা ব্যবহার করে কাফির-বেদ্বীনরা গ্রহে-উপগ্রহে-নক্ষত্রে তথা মহাকাশে রকেট বা মহাকাশযান প্রেরণ করছে এবং স্বল্প ও দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বানানোর ও প্রয়োগ করছে বলে ব্যাপক খবরা-খবর পাওয়া যাচ্ছে, শুনা যচ্ছে, দেখা যাচ্ছে। ফলতঃ মুসলমানদের যাকেই প্রশ্ন করা হোক, সে অবশ্যই জবাব দেবে- এ সবের আবিষ্কারক বা উদ্ভাবক ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকরা। কিন্তু বাস্তবে কি তা-ই? না, অবশ্যই না।
কুচক্রী ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকদের হাজারো বদ-খাছলতের একটি উল্লেখযোগ্য বদ-খাছলত হলো- অপরের সাফল্য ও আবিষ্কার চুরি করে নিজেদের নামে চালিয়ে দেয়া। আর অন্যান্য আবিষ্কার চুরির ন্যায় এমনটি ঘটেছে রকেট তথা মিসাইল তথা ক্ষেপণাস্ত্রে প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও।
ভারতীয় উপমহাদেশের মহীশুর-এর বাঘ বা শেরে মুহীশুর হযরত টিপু সুলতান রহমতুল্লহি আলাইহি তিনি সর্বপ্রথম যুদ্ধ রকেট বা মিসাইল প্রযুক্তির উদ্ভাবক। শেরে মুহীশুর হযরত টিপু সুলতান রহমতুল্লহি আলাইহি তিনি এবং উনার বুযূর্গ পিতা হযরত হায়দার আলী রহমতুল্লহি আলাইহি উনারা পৃথিবীতে সর্বপ্রথম যুদ্ধক্ষেত্রে জ্বালানি সমৃদ্ধ রকেট বা মিসাইল ব্যবহার করেন। শেরে মুহীশুর হযরত টিপু সুলতান রহমতুল্লহি আলাইহি তিনিই সর্বপ্রথম জ্বালানি সমৃদ্ধ কোনো ধাতব বস্তুকে ত্বরণ প্রয়োগে মধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে ঊর্ধ্বে নিক্ষেপ করে সর্বাধিক অনুমিত নির্দিষ্ট দূরত্বে পাঠাতে সক্ষম হন। অর্থাৎ লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হন।
শেরে মুহীশুর হযরত টিপু সুলতান রহমতুল্লহি আলাইহি তিনি ‘ফাতহুল মুজাহিদিন’ নামে একটি মিলিটারি ম্যানুয়াল লিখেন; যেখানে পৃথিবীতে সর্বপ্রথম জ্বালানি রকেট-এর ব্যবহারবিধি এবং একাধিক রকেট লাঞ্চার কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি উনার রচিত ‘ফাতহুল মুজাহিদিন’ পুস্তকটি উনার সব সেনা কর্মাধ্যক্ষদের মধ্যে বিতরণ করেন।
পরবর্তীতে উনার এই কিতাবটি এবং কৌশল তথা প্রযুক্তিটি ব্রিটিশ লুটেরা দস্যুরা চুরি করে নিয়ে যায়। এই নতুন বিষয় পেয়ে যালিম দস্যু ব্রিটিশরা তাদের গবেষণাগার ‘উল্ভিচ ওয়ারেন’-এ ‘রকেট প্রযুক্তির উপর বিস্তর গবেষণা’ শুরু করে এবং ‘রকেট প্রযুক্তির উন্নয়ন’-এর জন্য ব্যবহার করে। যালিম দস্যু ব্রিটিশদের ‘উল্ভিচ ওয়ারেন’ গবেষণাগারের ‘রকেট সম্পর্কিত গবেষণা’ সম্পূর্ণটাই শেরে মুহীশুর হযরত টিপু সুলতান রহমতুল্লহি আলাইহি উনার উদ্ভাবিত প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, শেরে মুহীশুর হযরত টিপু সুলতান রহমতুল্লহি আলাইহি উনার উদ্ভাবনী ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। তিনি নতুন সৌর ক্যালেন্ডার-এর উদ্ভাবন করেন, নতুন মুদ্রা প্রথার প্রচলন করেন, নতুন ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার প্রচলনসহ আরো অসংখ্য জিনিস উদ্ভাবন করেন। কুচক্রী শেরে মুহীশুর হযরত টিপু সুলতান রহমতুল্লহি আলাইহি উনার আবিষ্কার ও উদ্ভাবন এতা ব্যাপক ও অভিনব যে, সে সম্পর্কে ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকদের পরিচালিত ‘উইকিপিডিয়া’ও অস্বীকার করতে পারেনি। ‘উইকিপিডিয়া’ও উনার কৃতিত্ব তুলে ধরতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু অলসতা, অজ্ঞতা ও হীনম্মন্যতার ব্যাধিতে আক্রান্ত আত্মভোলা মুসলমানরা সেসবের খবর রাখে না!
No comments:
Post a Comment