রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান আর নেই। বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার বিকেল চারটা
৪৭ মিনিটে তিনি সিঙ্গাপুরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না
ইলাইহি রাজিউন)। দেশটির মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি
নিশ্চিত করেছে।
জিল্লুর রহমান শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ৯ মার্চ রাতে ঢাকা সেনানিবাসের
সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ১০ মার্চ রাতে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। ১১ মার্চ সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।
জিল্লুর রহমান ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫২ সালের ভাষা-আন্দোলন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত দেশের
সবকটি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর-ভৈরব আসন থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান তাঁর সহধর্মিণী ও মহিলা আওয়ামী লীগের তত্কালীন সভানেত্রী আইভি রহমানকে হারান।
ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হন। তার পর থেকেই রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের হাল ধরেন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নবম জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান প্রথমে সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাঁকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছাড়াও রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ বিভিন্ন সময় দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। পারিবারিক জীবনে তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা।
জিল্লুর রহমান শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ৯ মার্চ রাতে ঢাকা সেনানিবাসের
সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ১০ মার্চ রাতে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। ১১ মার্চ সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।
জিল্লুর রহমান ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫২ সালের ভাষা-আন্দোলন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত দেশের
সবকটি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর-ভৈরব আসন থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান তাঁর সহধর্মিণী ও মহিলা আওয়ামী লীগের তত্কালীন সভানেত্রী আইভি রহমানকে হারান।
ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হন। তার পর থেকেই রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের হাল ধরেন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নবম জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান প্রথমে সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাঁকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছাড়াও রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যসহ বিভিন্ন সময় দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। পারিবারিক জীবনে তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা।
No comments:
Post a Comment