২০১১
সালে প্রেসিডেন্ট
হোসনি মোবারকের
পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে
তাহরির স্কয়ার। ফলতঃ
২০১১ সালের
২৮ নভেম্বর
মিশরে ঐতিহাসিক
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৩০ বছরের
প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের যুগের অবসান
ঘটে।
হোসনি মোবারকের
পদত্যাগের পর বাঁধভাঙা উল্লাস করেছিল
মিশরের জনগণ। এরপর
দেশটিতে প্রথমবারের
মতো পার্লামেন্ট
নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোট নেয়া
হয়।
কথিত ‘ইসলামপন্থী
দল’গুলো নির্বাচনে
দুই-তৃতীয়াংশ
আসনে জয়ী
হয়।
এর মধ্যে
অর্ধেক ভোট
পায় মুসলিম
ব্রাদারহুড (ইখওয়ানুল মুসলিমীন)। আর তাই মুসলিম
ব্রাদারহুডের অর্থায়নে পরিচালিত ফ্রিডম অ্যান্ড
জাস্টিস পার্টির
প্রধান মোহাম্মদ
মুরসিকে প্রেসিডেন্ট
নির্বাচিত করা হয়।
মুসলিম
ব্রাদারহুডের নেতা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায়
আশা করা
হয়েছিল মিশরে
ইসলামী আইন
(খিলাফত) চালু
হবে।
কিন্তু না,
তা হলো
না।
ক্ষমতা কুক্ষিগত
করার অজুহাত
তুলে জনগণের
একাংশের উত্তাল
বিক্ষোভের কারণে সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত
করেছে ৩
জুলাই ২০১৩
ঈসায়ী বুধবার
দিবাগত রাতে। অর্থাৎ জনগণের
একটা বিরাট
অংশ ও
সেনাবাহিনী আদর্শগত, চেতনাগত, আমলগত দিক
থেকে ইসলামী
ভাবধারা ধারণ
না করায়
এমন অনাকাঙ্খিত
ঘটনা ঘটে
গেল মিশরে। অনুরূপ
তুরস্কে পরপর
কয়েক মেয়াদে
কথিত ইসলামপন্থী
দল নির্বাচনে
জিতে ক্ষমতায়
আসীন হলেও
ইসলামীকরণ করতে পারেনি। বরং
ক্ষমতায় টিকে
থাকতে সেনাবাহিনীর
সাথে সমঝোতা
করেছে।
আমাদের
দেশের তথাকথিত
ইসলামিক রাজনৈতিকরাও
ভোট বিপ্লবের
মাধ্যমে ক্ষমতায়
এসে পবিত্র
ইসলামী খিলাফত
কায়িমের স্বপ্ন
দেখায়।
কিন্তু সে
স্বপ্ন কখনোও
বাস্তবায়িত হবার নয়। তুরস্ক
ও মুরসির
ঘটনা এর
জ্বাজল্য প্রমাণ। কারণ
জনগণ এবং
সেনাবাহিনীর মধ্যে যদি আদর্শগত, চেতনাগত
ও আমলগত
পরিবর্তন না
আসে, তাহলে
তারা কিছুতেই
ইসলামীকরণ মেনে নেবে না। জনগণ ও
সেনাবাহিনী যৌথভাবে বিরোধিতা করবে এবং
মিশরের ক্ষেত্রে
তাই হয়েছে। ‘জনগণ
ও সেনাবাহিনী
ভাই ভাই’ বলে মুরসির বিরুদ্ধে
আওয়াজ তুলে। তুরস্কের
ক্ষেত্রেও একই কথা দৃঢ় বাস্তব
বাধা হয়ে
দাঁড়িয়ে আছে
মাঝ পথে। কথিত
ইসলামপন্থী দলের সরকার ক্ষমতায় থাকলেও
জনগণের একটা
বড় অংশ
ও সেনাবাহিনীর
জন্য তারা
তুরস্ককে ইসলামীকরণ
করতে পারছে
না।
এসব ঘটনা থেকে ইসলামের নামে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারী দেওবন্দী খারিজীপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ও মওদুদীবাদী জামাতীদের বোধোদয় হবে কি? তারা কুফরী গণতন্ত্রের পথ ছেড়ে রূহানিয়ত অর্জনের পথ ধরবে কি? নইলে তাদেরকে দিবা স্বপ্নে ও মরিচিকার মধ্যে থাকতে হবে।
এসব ঘটনা থেকে ইসলামের নামে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারী দেওবন্দী খারিজীপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ও মওদুদীবাদী জামাতীদের বোধোদয় হবে কি? তারা কুফরী গণতন্ত্রের পথ ছেড়ে রূহানিয়ত অর্জনের পথ ধরবে কি? নইলে তাদেরকে দিবা স্বপ্নে ও মরিচিকার মধ্যে থাকতে হবে।
মূলত,
দেশকে ইসলামীকরণের
জন্য নামধারী
‘ইসলামী দল’ হলেই চলবে না। কারণ
দল ও
জনগণের শক্তিতে
পবিত্র খিলাফত
কায়িম করা
যায় না। পবিত্র
ইসলামী খিলাফত
কায়িমের জন্য
দরকার পবিত্র
দ্বীন ইসলাম
উনার ধারক-বাহক ওলীআল্লাহ। যিনি
মহান আল্লাহ
পাক উনার
কুদরতী ক্ষমতায়
চলেন এবং
প্রকাশ করেন
বা করার
ক্ষমতা রাখেন। যিনি
যামানার ইমাম
ও মুজাদ্দিদ। আর যিনি যামানার
ইমাম ও
মুজাদ্দিদ তিনি মানুষের মধ্যে আদর্শগত,
চেতনাগত, আমলগত
পরিবর্তন সাধন
করেন।
কাফির-বেদ্বীন
ও উলামায়ে
সূ’দের অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্রের কারণে সাধারণ
মুসলমানদের আদর্শ, চেতনা, আমল-এর
মধ্যে যেসব
ত্রুটি ও
ভেজাল প্রবেশ
করবে সেগুলো
যিনি যামানার
ইমাম ও
মুজাদ্দিদ তিনি পরিশুদ্ধ করে মুসলমানকে
ইসলামী মূল্যবোধে
উজ্জীবিত করবেন
ও রূহানী
শক্তিতে বলিয়ান
করবেন।
তাই উনার
দ্বারাই কেবলমাত্র
খিলাফত প্রতিষ্ঠা
সম্ভব; কথিত
ইসলামপন্থী দলের দ্বারা তা সম্ভব
নয়।
কেননা কথিত
‘ইসলামপন্থী
দল’ দাবিদারদের রূহানিয়ত
নেই।
আর রূহানিয়তশূন্য
মুসলমান তো
মৃত ব্যক্তির
ন্যায়।
তাই খিলাফত
কায়িম করতে
চাইলে দেশের
সর্ব স্তর
ও শ্রেণীর
নাগরিকদেরকে রূহানিয়ত সমৃদ্ধ করতে হবে। যা পারেন কেবলমাত্র
যিনি যামানার
ইমাম ও
মুজাদ্দিদ তিনি।
মহান
আল্লাহ পাক
উনার শুকরিয়া
করার ভাষা
নেই যে,
সে নিশানবরদার
ওলীআল্লাহ তথা যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ
তথা যামানার
ইমাম ও
মুজতাহিদ, যামানার মহান মুজাদ্দিদ, সাইয়্যিদে
মুজাদ্দিদে আ’যম
হচ্ছেন ঢাকা
রাজারবাগ শরীফ
উনার সাইয়্যিদুনা
মামদূহ হযরত
মুর্শিদ ক্বিবলা
আলাইহিস সালাম
তিনি।
কেবলমাত্র উনার দ্বারাই বাংলাদেশ, পাকিস্তান,
মিশর, তুরস্কসহ
গোটা মুসলিম
বিশ্বে তথা
সারাবিশ্বে পবিত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন
নুবুওওয়াত প্রতিষ্ঠা সম্ভব। আর তা উনার
দ্বারা প্রতিষ্ঠিত
হবেই হবে
ইনশাআল্লাহ।
No comments:
Post a Comment