শরীয়তের সঠিক ফতওয়া হলো- রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনহেলার নিলে রোযা অবশ্যই ভঙ্গ হয়ে যাবে।
‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘রোযা নষ্ট হয় না যে ব্যবস্থাপত্রে’ শিরোনামে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর লেখা প্রতিবেদনটি আমাদের নজরে পড়েছে।
লেখক উক্ত প্রতিবেদনে যা উল্লেখ করেছে তার প্রায় সম্পূর্ণটাই ভুল ও শরীয়ত বিরোধী। পাশাপাশি মুসলমানগণের ফরয রোযা নষ্ট করার একটি গভীর ও সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র।
স্মর্তব্য যে, লেখক তার বক্তব্যের স্বপক্ষে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস থেকে কোনো দলীলই পেশ করেনি বা করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে তার দলীল হলো, সে লিখেছে, “... রোযা রাখা অবস্থায় ঔষধ গ্রহণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইত্যাদির ব্যাপারে সারা বিশ্বের ইসলামী চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ
তাদের সুচিন্তিত অভিমত দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ইসলামী আলিম-উলামাদের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, রোযা থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকটি পন্থায় ঔষধ সেবন ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে রোযা নষ্ট হবে না।
১৯৯৭ সালের জুনে মরক্কোতে “ইসলামের দৃষ্টিতে সমসাময়িক চিকিৎসা সমস্যা” (An islamic view of Certain Contemporary
Medical Issues) শিরোনামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারের মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো- ‘কী কী মেডিক্যালজনিত কারণে রোযার ক্ষতি হয় না’। পরবর্তীতে নবম ফিকাহ-মেডিক্যাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যৌথভাবে বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক এবং স্বাস্থ্যবিষয়ে আলোচনা হয়। এ আলোচনা যৌথভাবে জেদ্দাস্থ ইসলামিক ফিকাহ একাডেমি, মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটি, আলেকজান্দ্রিয়ায় অবস্থিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক অফিস এবং ইসলামিক শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের (ISESCO) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারেও মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো- ‘কী কী ভাবে ঔষধ সেবনে বা পরীক্ষা করলে রোযা ভঙ্গ হয় না।’
ইসলামিক চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের
সর্বসম্মতিক্রমে এমন কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয় যাতে অসুস্থ ব্যক্তি রোযা রাখা অবস্থায় নিম্নলিখিত ব্যবস্থাপত্র নিলে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালে রোযা ভঙ্গ হবে না। এই সেমিনারের সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে। ...”
তাদের মতে, “১. রোযা রাখা অবস্থায় চোখ, কান ও নাকে ড্রপ নেয়া যাবে। ২. হৃদরোগীর বেলায় বুকে ব্যথা হলে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে বা ট্যাবলেট জিহবার নিচে নিতে পারবেন। ৩. মহিলা রোগীর তলপেটে পরীক্ষার জন্য সামনের রাস্তা দিয়ে ডাক্তার বা নার্স হাতের আঙ্গুল অথবা কোনো ডিভাইস প্রবেশ করালে রোযা ভাঙবে না। এমনকি চিকিৎসার জন্য সামনের পথে পেসারি বা কোনো ঔষধ ব্যবহার করা যাবে। ৪. মূত্রথলি পরীক্ষা বা এক্সরে করার জন্য রোগীর প্র¯্রাবের দ্বার দিয়ে ক্যাথেটার অথবা অন্য কোনো যন্ত্র প্রবেশ করালে অথবা রেডিও- ওপেক ডাই প্রবেশ করালে রোযা ভঙ্গ হবে না। ৫. দাঁত তোলা, ড্রিলিং করা বা মেসওয়াক বা ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা যাবে, তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না। তবে যেন এগুলো করার সময় পাকস্থলিতে থুথু বা টুথপেস্ট প্রবেশ না করে। ৬. রোগীর চামড়া, গোশত, অস্থিসন্ধি ও শিরায় ইনজেকশন দেয়া যাবে। কিন্তু স্যালাইন, ডেক্সট্রোজ, প্রোটিন জাতীয় জিনিস ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। ৭. যে কেউ রক্ত অন্যকে দিতে পারবেন আবার জরুরী প্রয়োজনে নিজেও নিতে পারবেন। ৮. কোনো রোগী অক্সিজেন অথবা অজ্ঞানকারী গ্যাস (এনেসথেসিয়া) নিলে রোযা ভঙ্গ হবে না। ৯. চর্মের মাধ্যমে শরীরের ভেতরে যায় এমন মলম, ক্রিম, অয়েন্টমেন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে। ১০. পরীক্ষার জন্য তার শরীর থেকে রক্ত নেয়া যাবে। ১১. হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী হার্টের এনজিওগ্রাম এবং কার্ডিয়াক ক্যাথেটার করা যাবে। ১২. রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বা চিকিৎসার অংশ হিসেবে এন্ডোস্কপি করলে রোযা ভাঙবে না। ১৩. মুখ পরিষ্কারের জন্য মাউথ ওয়াশ বা গড়গড়া বা মুখে স্প্রে জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা যাবে, তবে যেন পাকস্থলিতে কোনো কিছু না যায়। ১৪. জরায়ু পরীক্ষার জন্য শরীরে হিস্টেরোস্কপি করা যাবে, এমনকি জরায়ুতে কোনো যন্ত্রপাতি বা অন্যকিছু পরীক্ষার জন্য প্রবেশ করালে রোযায় কোনো সমস্যা হবে না। ১৫. লিভার বায়োপসি অথবা অন্য কোনো অঙ্গের বায়োপসি করলে রোযা নষ্ট হবে না। ১৬. নাকে স্প্রে বা হাঁপানি রোগীর বেলায় ইনহেলার জাতীয় কিছু নিলে কোনো সমস্যা নেই। ১৭. রোগীর পায়ুপথে ইনজেকশন অথবা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আঙ্গুল বা অন্য কোনো যন্ত্র প্রবেশ করালে রোযা ভাঙ্গবে না। ১৮. জরুরী কোনো অপারেশন প্রয়োজন হলে রোযা রাখা অবস্থায় করা যাবে। ১৯. কিডনি অকেজো হলে রোগীর ডায়ালাইসিস করলে রোযা ভাঙবে না। ২০. পাকস্থলি পরীক্ষার জন্য গ্যাস্ট্রোস্কপি করা যাবে কিন্তু কোনো তরল প্রবেশ করানো যাবে না।”
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, লেখকের উল্লিখিত তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎকরা
কি নবী, না রসূল, যে তারা যা বলবে তাই শরীয়ত হিসেবে সাব্যস্ত হবে? তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদ ও কথিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের উক্ত বক্তব্যের পিছনে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের দলীল কোথায়? মহান আল্লাহ পাক তিনি তো বলেই দিয়েছেন, “যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো, তবে দলীল পেশ করো।”
কাজেই জেদ্দা ইসলামিয়া ফেক্বাহ একাডেমী, মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটি, আলেকজান্দ্রিয়ায় অবস্থিত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক অফিস এবং ইসলামিক শিক্ষা, বিজ্ঞান ও কথিত সাংস্কৃতিক সংগঠনের তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ‘রোযা অবস্থায় চিকিৎসা নেয়া সম্পর্কিত’ সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণই ভুল, মনগড়া ও শরীয়ত বিরোধী। কারণ তারা তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস থেকে কোনো দলীলই পেশ করতে পারেনি। তাই তা সর্বতোভাবেই পরিত্যাজ্য।
রোযা অবস্থায় ইনজেকশনসহ যে কোনো প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফতওয়া:
‘তিবরানী
শরীফ’-এর হাদীছ
শরীফ-এ
ইরশাদ হয়েছে,
الفطرمما دخل.
অর্থাৎ- “খাদ্য
পানীয় ঔষধসহ
যে কোনো
কিছু যে
কোনো রাস্তায়
যে কোনোভাবে
প্রবেশ করুক,
যদি জানা
যায় বা
নিশ্চিত হওয়া
যায় যে,
তা ব্রেইন
অথবা পাকস্থলীতে
পৌঁছেছে তবে
অবশ্যই রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।” এটা হচ্ছে আম
ফতওয়া।
আর খাছ ফতওয়া
হচ্ছে, কোনো
কোনো ক্ষেত্রে
ব্রেইন বা
পাকস্থলীতে প্রবেশ না করলেও রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।
যেমন, কেউ
রোযা অবস্থায়
পেশাব বা
পায়খানার রাস্তায়
আঙ্গুল অথবা
অন্য কিছু
প্রবেশ করালো
তাতে অবশ্যই
রোযা ভঙ্গ
হয়ে যাবে।
সুতরাং ইনজেকশনের মাধ্যমে
প্রবেশকৃত ঔষুধ যেহেতু নিশ্চিতভাবেই ব্রেইন
বা মগজে
পৌঁছে, তাই
রোযা অবস্থায়
ইনজেকশন নিলে
রোযা অবশ্যই
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ইনজেকশন:
রোগ নিরাময়ের জন্যে
আমরা বিভিন্ন
পদ্ধতিতে ওষুধ
সেবন করি। বিভিন্ন
DOSAGE FORM- (ডোজেজ ফরম) বলতে
বোঝায় ওষুধ
গ্রহণের যত
রকম পদ্ধতি
আছে, যেমন-
ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সাসপেনশান, সিরাপ, ইনজেকশন
ইত্যাদি)-এর
মধ্যে ইনজেকশনও
একটি পদ্ধতি। ইনজেকশন
পদ্ধতিটি মূলত
Parenteral
পদ্ধতির একটি
অংশ।
Parenteral পদ্ধতি সম্পর্কে
বলা হয়-
The term
Parenteral (GK, Para enteron= beside the intestine) refers to the route
of administration of drugs by injection under or through one or more layers of
skin or mucous membrane.
অর্থাৎ পেরেনটারাল
পদ্ধতিটি হচ্ছে
সেই পদ্ধতি,
যেখানে এক
অথবা বেশি
সংখ্যক শরীরের
ত্বকের স্তর
অথবা মিউকাস
মেমব্রেনের স্তরের মধ্য দিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে
শরীরে ওষুধ
প্রবেশ করানো
হয়।
ইনজেকশনকে পাঁচটা সাধারণ
শ্রেণীতে ভাগ
করা হয়েছে-
১।দ্রবণ
জাতীয় ইনজেকশন
(Solutions ready
for injection)
২।শুষ্ক
দ্রব্য, কিন্তু
শরীরে ইনজেকশন
পদ্ধতিতে দেয়ার
পূর্বে কোনো
দ্রবণে দ্রবীভূত
করে নেয়া
যায়।
যেমন- (Dry, soluble products ready to be combined with a
solvent just prior to use)
৩।সাসপেনশন
জাতীয়।
(Suspensions
ready for injection)
৪
শুষ্ক, অদ্রবণীয়
দ্রব্য কিন্তু
কোনো Vehicle (মাধ্যম)-এ মিশিয়ে
দেয়া হয়। (Dry insoluble products ready to be combined with a
vehicle just prior to use)
৫। ইমালশান
জাতীয়।
(Emulsion type)
এই পাঁচ প্রকার
ইনজেকশন আবার
বিভিন্ন পথে
শরীরে প্রবেশ
করানো হয়
এবং কোন
পথে কোন
ইনজেকশন দেয়া
হবে, তা
নির্ভর করে
সাধারণতঃ ওষুধের
গুণাগুণের উপর। যেমন- সাসপেনশন
জাতীয় ইনজেকশন
সরাসরি রক্তে
দেয়া হয়
না, কেননা
সেখানে বড়
বড় দানা
Blood
capillaries অর্থাৎ
রক্ত জালিকা
বন্ধ করে
দিতে পারে। আবার
Solution
জাতীয় ইনজেকশন
ত্বকের স্তর
দিয়ে দিতে
হলে Tonicity adjustment খুব গুরুত্বপূর্ণ।
নতুবা ত্বকে
Irritation
অর্থাৎ
জ্বালা হতে
পারে।
সে কারণেই
Injection
আবার বিভিন্ন
পদ্ধতিতে দেয়া
হয়।
এর মধ্যে
নিচের মাধ্যমগুলো
উল্লেখযোগ্য-
১। ntravenous (ইন্ট্রাভেনাস)
২। Subcutaneous (সাবকিউটেনিয়াস)
৩। Intradermal (ইন্ট্রাডারমাল)
৪। Intramuscular (ইন্ট্রামাসকিউলার)
৫। Intrathecal (ইন্ট্রাথিকাল)
৬। Intra areterial (ইন্ট্রা আরটারিয়াল)।
Intravenous (ইন্ট্রাভেনাস): এ পদ্ধতিতে
ঠবরহ (শিরা)-এর মাধ্যমে
রক্তে ওষুধ
প্রয়োগ করা
হয়।
এ পদ্ধতিতে
ওষুধ সরাসরি
রক্তে মিশে
যায়।
Subcutaneous (সাবকিউটেনিয়াস):
শরীরে ত্বকের
এবং মিউকাস
মেমব্রেনের এক বা একাধিক স্তরের
মধ্য দিয়ে
এ পদ্ধতিতে
ওষুধ প্রয়োগ
করা হয়। তবে
এ পদ্ধতিতেও
ওষুধ রক্ত
স্রোতে মিশে
যায়।
Intramuscular (ইন্ট্রামাসকিউলার):
এ পদ্ধতিতে
ওষুধ শরীরের
পেশীসমূহের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করানো
হয় এবং
কিছু সময়
পর ওষুধ
রক্ত স্রোতে
গিয়ে মিশে।
Intrathecal (ইন্ট্রাথিকাল): অনেক সময়
CNS
(Central Nervous System) অর্থাৎ কেন্দ্রীয়
¯œায়ুতন্ত্রে ওষুধ অন্যান্য পদ্ধতিতে প্রয়োগ
করলে বিলম্বে
পৌঁছে, আর
সে কারণেই
এখন এ
পদ্ধতি ব্যবহার
করলে ওষুধ
সহজেই CNS-এ পৌঁছে।
এটা সহজেই
বোঝা যায়
যে, ইনজেকশনের
যে কোনো
পদ্ধতিতেই শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করা
হোক না
কেন শরীরে
ওষুধের শোষণের
কিছু সময়
পরেই রক্ত
স্রোতের মাধ্যমে
সারা শরীরে
ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে Goodman Pharmacology -তে বলা হয়েছে "Heart,
Live, kidney brain and other highly perfused organs receive most of the drug
during the first few minutes after absorption"
অর্থাৎ ওষুধের শোষণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই
হৃৎপি-,
যকৃৎ,
কিডনী,
মগজ
এবং
অন্যান্য
অঙ্গে
বেশীরভাগ
ওষুধ
চলে
যায়।
ওষুধ মূলত
রক্তস্রোতের মাধ্যমেই শরীরের বিভিন্ন অংশে
ছড়িয়ে থাকে,
কেননা রক্তকে
বলা হয়
Blood is
vehicle for transport of food nutrients oxygen, water and all others essentials
to the tissue cells and their waste products are carried away. lt (blood) is a
special type of connective tissue.
অর্থাৎ রক্ত
হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম,
যার মধ্য দিয়ে খাদ্য,
অক্সিজেন, পানি এবং অন্যান্য
প্রয়োজনীয় উপাদান টিস্যুসমূহে পৌঁছে
এবং বর্জ্যদ্রব্যসমূহ বহন করে
নিয়ে আসে। এটা
এক ধরনের
সংযোগ কলা tissue সুতরাং
blood -এ
পৌঁছে ওষুধ শরীরের সর্বাংশে
ছড়ায়, অর্থাৎ মগজে
পৌঁছে।
আমাদের আলোচনার প্রয়োজনে
আমরা এবারে
মগজে ওষুধ
প্রবেশের পথটি
বর্ণনা করবো,
তবে তার
পূর্বে মগজের
গঠন নিয়ে
একটু আলোচনা
করা যাক।
BRAIN (মগজ):
মানুষের মগজের উপর
আছে তিনটি
পর্দা।
যথা-
১। Dura Mater
(ডুরা মেটার)
২। Arachnoid (এ্যারাকনয়েড)
৩। Pia Meter (পায়া মেটার)
ডুরা মেটারের গঠন
একটু পুরু
এবং পায়া
মেটার অত্যন্ত
সূক্ষ্ম একটি
পর্দা, যা
কিনা BRAIN (মগজ) কে
ঢেকে আছে। আর এ দুয়ের
মাঝামাঝি হলো
এ্যারাকনয়েড। blood venels (রক্ত নালী)-
তিনটি পর্দা
(Meninges) পার হয়ে মগজে
বা BRAIN-এ পৌঁছেছে এবং জালিকার
মতো মগজের
অভ্যন্তরে ছড়িয়ে আছে।
এ পর্যন্ত আলোচনায়
আমরা যে
ধারণা পেলাম
তা হচ্ছে-
১। ইনজেকশন
কত প্রকার
এবং কত
রকম পদ্ধতিতে
দেয়া হয়।
২। তা কিভাবে রক্ত
স্রোতের মাধ্যমে
শরীরের সর্বাংশে
ছড়ায়।
৩। বিশেষত
মগজের অভ্যন্তরে
কী করে
ইনজেকশনের পর ওষুধ প্রবেশ করে।
আমাদের এতক্ষণের আলোচনায়
এটাই দেখেছি যে, যত
প্রকারের ইনজেকশন হোক না
কেন, তা এক সময়
রক্ত স্রোতে মিশবে এবং
মগজে পৌঁছে যাবে।
অতএব, চিকিৎসা
বিজ্ঞানের তথ্যবহুল আলোচনা দ্বারা
স্পষ্টই প্রমাণিত হলো যে,
ইনজেকশন ইত্যাদি মগজে পৌঁছে।
সুতরাং রোযা অবস্থায় ইনজেকশান
নিলে রোযা ভঙ্গ হয়ে
যাবে। কারণ,
ফিক্বাহের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে যে,
وما وصل الى الجوف اوالى الدماغ من مخاقة الاصلية كالانف والاذن والدبر ...... فسد صومه.
অর্থঃ “যা নাক,
কান, পায়খানার
রাস্তা ইত্যাদি
দ্বারা মগজ
অথবা পেটে
পৌঁছবে, তাতে
রোযা ভঙ্গ
হয়ে যাবে।” (বাদায়েউছ ছনায়ে)
এ প্রসঙ্গে কিতাবে
আরো উল্লেখ
করা হয়
যে,
وما وصل الى جوف الرأس والبطن الاذن والانف الدبر فهو مفطر بالاجماع.
অর্থঃ কান, নাক পায়খানার
রাস্তা দিয়ে
ওষুধ ইত্যাদি
মগজ অথবা
পেটে পৌঁছা
সকলের নিকটেই
রোযা ভঙ্গের
কারণ।” (খোলাসাতুল ফতওয়া)
অনুরূপ হিদায়া, আইনুল
হিদায়া, মাবসূত, বাহরুর
রায়িক, রদ্দুল মুহতারে
উল্লেখ আছে)
উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা
এটাই প্রমাণিত
হলো যে,
রোযা ভঙ্গকারী
কোনো কিছু
যেমন ওষুধ
ইত্যাদি মগজ
অথবা পেটে
পৌঁছালে রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।
আর চিকিৎসা
বিজ্ঞানের বক্তব্যের দ্বারা যেহেতু স্পষ্টভাবে
প্রমাণিত হয়েছে
যে, ইনজেকশনের
ওষুধ মগজে
পৌঁছে যায়,
সেহেতু ইনজেকশন
নিলে রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।
কেউ কেউ বলে,
“মূল রাস্তা
ব্যতীত (অর্থাৎ নাক,
কান, মুখ,
পায়খানার রাস্তা
ইত্যাদি) অন্য
কোনো স্থান
দিয়ে ওষুধ
ইত্যাদি মগজে
অথবা পেটে
প্রবেশ করলেও
রোযা ভঙ্গ
হবে না।”
যদি এটা
সত্য হয়,
তবে তো
جائفه I امه তে ওষুধ
দিলেও রোযা
ভঙ্গ হবে
না, কারণ
ওটা তো
মূল রাস্তা
নয়, মূলতঃ
ফিক্বাহের কোনো কিতাবেই মূল রাস্তাকে
শর্ত করা
হয়নি অর্থাৎ কোথাও
একথা বলা
হয়নি যে,
রোযা ভঙ্গ
হওয়ার জন্যে
ওষুধ ইত্যাদি
মূল রাস্তা
দিয়ে প্রবেশ
করা শর্ত। হযরত
ইমাম আ’যম আবূ হানীফা
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে ওষুধ
ইত্যাদি রাস্তা
দিয়ে প্রবেশ
করা শর্ত
নয়, বরং
মগজ অথবা
পেটে পৌঁছাই
রোযা ভঙ্গের
কারণ, চাই
তা যে
স্থান দিয়েই
প্রবেশ করুক
না কেন। যেমন
এ প্রসঙ্গে
কিতাবে উল্লেখ
করা হয়
যে,
وابو حنيفة رحمه الله تعالى يقول المفسد للصوم وصول المفطر الى باطنه فالعبرة للواصل لاللمسلك.
অর্থঃ ইমামে আ’যম হযরত ইমাম
আবূ হানীফা
রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, রোযা
ভঙ্গের কারণ
হলো- রোযা
ভঙ্গকারী কোনো
কিছু ভিতরে
প্রবেশ করা,
সুতরাং পৌঁছাটাই
গ্রহণযোগ্য, মূল রাস্তা নয়। (মাবসূত)
আর ‘ফতহুল ক্বাদীর’ ২য় জিঃ ২৬৬ পৃষ্ঠায়
উল্লেখ করা
হয়েছে যে,
وابو حنيفة رحمة الله عليه يعتبر الوصول
অর্থঃ- ইমামে আ’যম হযরত ইমাম
আবূ হানীফা
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট পৌঁছাটাই
গ্রহণযোগ্য।
আর হযরত ছাহেবাইন
রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনারা মূল রাস্তাকে
গ্রহণ করেছেন। তবে
উনারা মূল
রাস্তাকে এ
জন্যই গ্রহণ
করেছেন যে,
মূল রাস্তা
দিয়ে ওষুধ
ইত্যাদি মগজ
অথবা পেটে
পৌঁছার ব্যাপারে
কোনো সন্দেহ
থাকে না
কিন্তু অন্য
স্থান দিয়ে
প্রবেশ করলে
তাতে সন্দেহ
থেকে যায়। এ প্রসঙ্গে কিতাবে
উল্লেখ করা
হয় যে,
وما وصل الى الجوف او الى الدماغ عن غير المخارق الاصليه ...... عند هما لايفسد هما اعتبرا المخارق الاصلية لان الوصول الى الجوف من المخارق الاصلية متقين به ومن غيرها مشكوك فيه فلانحكم بالفساد مع الشك ...... .
অর্থঃ- মূল রাস্তা ব্যতীত
অন্য কোনো
স্থান দিয়ে
যদি কোনো
কিছু প্রবেশ
করানো হয়,
আর তা
যদি মগজ
অথবা পেটে
পৌঁছে, তবে
ছাহেবাইনের মতে রোযা ভঙ্গ হবে
না।
(মূলতঃ উনারা
দু’জন মূল
রাস্তাকে গ্রহণ
করেছেন, কেননা
মূল রাস্তা
দিয়ে প্রবেশ
করা বিশ্বাসযোগ্য,
আর অন্য
স্থান দিয়ে
প্রবেশ করা
সন্দেহযুক্ত। সুতরাং আমরা সন্দেহের
উপর ভিত্তি
করে রোযা
ভঙ্গের আদেশ
দিতে পারি
না।
(বাদায়ে, অনুরূপ
ফতহুল ক্বাদীরে উল্লেখ আছে)
এ প্রসঙ্গে কিতাবে
আরো উল্লেখ
করা হয়
যে,
اذا علم ان اليابس وصل يفسد صومه ولو علم ان الرطب لم يصل لم يفسد هكذا فى العناية واذا لم يعلم احدهما وكان الدواء رطبا فعند ابى حنيفة رحمة الله عليه يفطر للوصول عادة وقال لالعدم العلم به فلايفطر بالشك وان كان يابسا فلايفطر اتفاقا هكذا فى فتح القدير.
অর্থঃ- যখন জানা
যাবে যে,
শুকনা ওষুধ
মগজ অথবা
পেটে পৌঁছেছে,
তবে তার
রোযা ভঙ্গ
হয়ে যাবে। আর যদি জানা
যায় যে,
ভিজা ওষুধ
মগজ অথবা
পেটে পৌঁছেনি
তবে রোযা
ভঙ্গ হবে
না।
অনুরূপ ‘ইনায়া’ কিতাবে উল্লেখ আছে। আর যদি পৌঁছালো
কী, পৌঁছালো
না কোনোটিই
জানা না
যায়, আর
এমতাবস্থায় ওষুধ যদি ভিজা হয়,
তবে ইমামে
আ’যম আবূ
হানীফা রহমতুল্লাহি
আলাইহি উনার
মতে রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।
কারণ স্বভাবতঃ
ভিজা ওষুধ
পৌঁছে থাকে। আর হযরত ছাহেবাইন
রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা বলেন, (ওষুধ
মগজে পৌছালো
কী
পৌঁছালো না) এটা নিশ্চিতভাবে না
জানার কারণে
রোযা ভঙ্গ
হবেনা।
কেননা সন্দেহের
দ্বারা রোযা
ভঙ্গ হয়
না।
আর যদি
ওষুধ শুকনা
হয় এবং
যদি জানা
না যায়,
পৌঁছালো কী পৌছালো
না, তবে
কারো মতেই
রোযা ভঙ্গ
হবে না। অনুরূপ
ফতহুল ক্বাদীরে
উল্লেখ আছে।” (ফতওয়ায়ে আলমগীরী
১ম জিঃ
পৃ ২০৪)
‘ফতওয়ায়ে
হিন্দীয়া’ কিতাবে এ বিষয়টা
আরো সুস্পষ্টভাবে
বলে দেয়া
হয়েছে।
যেমন বলা
হয়-
دواكے اندر پهونچنے كا اعتبار هے اسكے تر يا خشك هونيكا اعتبار نهيں
অর্থঃ- ওষুধ মগজে
অথবা পেটে
পৌঁছাটাই মূলতঃ গ্রহণযোগ্য অর্থাৎ
রোযা ভঙ্গের
কারণ।
ওষুধ শুকনা
বা ভিজা
হওয়া নয়।
উপরোক্ত কিতাবসমূহের বক্তব্য
দ্বারা এটাই
প্রমাণিত হয়
যে, ওষুধ
ইত্যাদি মূল
রাস্তা ব্যতীত
অন্যস্থান দিয়ে পৌঁছার ব্যাপারে ইমামে
আ’যম আবূ
হানীফা রহমতুল্লাহি
আলাইহি উনার
সাথে ছাহেবাইন
উনাদের মূলতঃ
কোনো মতভেদ
নেই।
অর্থাৎ
উনাদের সকলের
মতেই যদি
নিশ্চিত জানা
যায় যে,
ওষুধ ইত্যাদি
মগজ অথবা
পেটে পৌঁছেছে
এবং ওষুধ
ইত্যাদি মগজে
পৌঁছার ব্যাপারে
যদি কোনো
সন্দেহ না
থাকে, তবে
ইমাম আ’যম আবূ হানীফা
রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ন্যায়, হযরত
ছাহেবাইন উনাদের
মতেও রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে।
তা মূল
রাস্তা দিয়ে
প্রবেশ করুক
বা অন্য
স্থান দিয়েই
প্রবেশ করুক
না কেন।
অতএব, ইনজেকশনের দ্বারা
ব্যবহৃত ওষুধের
ব্যাপারে যেহেতু
প্রমাণিত হয়েছে
যে, তা
নিশ্চিত মগজে
পৌঁছে, সেহেতু
সকলের ঐকমত্যে
রোযা অবস্থায়
ইনজেকশন নিলে
রোযা ভঙ্গ
হয়ে যাবে। যদিও
তা মূল
রাস্তা দিয়ে
প্রবেশ করেনি। অতএব,
মূল রাস্তা
শর্ত নয়,
শর্ত হলো
মগজ অথবা
পেটে পৌঁছা।
লোমকূপ, অন্যান্য যখম
বা
ত্বকের
মধ্য
দিয়ে
অর্থাৎ
মলম
মালিশ
ইত্যাদি
রক্তে
পৌঁছে,
তা
নিয়ে
আমরা
চিকিৎসা
বিজ্ঞানের
দৃষ্টিতে
একটু
আলোচনা
করবো।
মলমের বর্ণনা :
এ প্রসঙ্গে বলা
হয়েছে, ফার্মাসিউটিক্যাল
সেমিসলিড (Semisolid) প্রিপ্রারেশনসসমূহের মধ্যে রয়েছে- মলম (Ointments), পেস্ট
(Paste),
ক্রীম (Cream), ইমালশান (Emulsion), জেল (Gels) ইত্যাদি;
এ সবগুলো
মাধ্যমই ত্বকে
ওষুধ প্রয়োগের
জন্য ব্যবহৃত
হয়ে থাকে। তবে
খুব অল্পসংখ্যক
মাধ্যম দ্বারা
(Topical
Semisolid dosage forms) মিউকাস মেমব্রেনে,
যেমন রেকটাল
টিস্যু (Rectal tissue), বাক্কাল
টিস্যু (Buccal tissue), ইউরিথ্রাল
মেমব্রেন (Urethral membrane), কানের
বাইরের ত্বকে
(External
ear lining), নাকের মিউকোসাতে
এবং চোখের
কর্ণিয়াতে ওষুধ দেয়া হয়। মিউকাস মেমব্রেনে
ওষুধ প্রবেশ
করলে, তা
রক্তে ছড়িয়ে
যায় কিন্তু
শরীরের সাধারণ
ত্বক (Normal Skin) তুলনামূলকভাবে
মিউকাস মেমব্রেনের
চেয়ে কম
ওষুধ প্রবেশের
যোগ্যতা রাখে।
ত্বকের মধ্য দিয়ে
ওষুধের প্রবেশ
পথটি বর্ণনার
পূর্বে আমরা
একটু ত্বক
নিয়ে আলোচনা
করবো।
অ্যানাটমি অনুযায়ী ত্বকের অনেক স্তর
রয়েছে, তবে
প্রধাণত তিনটি।
১। The
epidermiss (এপিডার্মিস স্তর)
২। The
dermis (ডার্মিস স্তর)
৩। Subcutaneous
fat layer
(ত্বকের চর্বির স্তর)
এদের মধ্যে সবচেয়ে
বাইরের অংশটিকে
বলা হয়
স্ট্রেটাম কর্নিয়াম অথবা হরনি স্তর। (Stratum corneum or horny layer) স্ট্রেটাম
কর্নিয়ামের নিচে রয়েছে, এপিডার্মিস (Epidermis) এবং এপিডার্মিসের
নিচে রয়েছে
ডার্মিস অথবা
কোরিয়াম (Dermis or Corium).
জানা গেছে, যদি
ত্বকে ওষুধ
প্রয়োগ করা
হয় এবং
তা কোনোভাবে
স্ট্রেটাম কর্নিয়াম (Straum Corneum) ভেদ করে, তবে
পবর্তীতে Epiderma
এবং Corium স্তর ভেদ
করে যেতে
উল্লেখযোগ্য কোনো বাধা নেই এবং
সহজেই ক্যাপিলারির
মাধ্যমে রক্ত
স্রোতে মেশে।
(Once a substance passes through the
straum Corneum, there is appraently no significant further hindrance to
pentration of the remaining epidermal layers and corium, there is then ready
entry into the circulation via the capillaries)
ত্বকের মধ্য দিয়ে
ওষুধ প্রবেশের
ব্যাপারে Biopharmaceutics এ বলা
হয়েছে,
In general, drug
absorption from dermal vaginal, rectal, parenteral, or gastrointestinal
absorption occurs by apassive diffusion across biologic membrane. These
membranes form lipoidal barriers that seperate the body's interior from its
exterior environment.
অর্থাৎ ত্বকের
মধ্য দিয়ে
এবং আরো
কয়েকটি মাধ্যম
দিয়ে (উল্লেখ্য)
রক্তে ওষুধের
শোষণ ঘটে
বায়োলোজিক মেমব্রেনের মধ্য দিয়ে পেসিভ
ডিফিউশনের দ্বারা এবং এ সকল
মেমব্রেনসমূহ লিপয়ডাল প্রতিবন্ধকতা (অর্থাৎ
চর্বি জাতীয়
স্তর) তৈরি
করে, যা
শরীরের ভেতরের
অংশ বাইরের
অংশ থেকে
আলাদা করে।
Biologic
membrane সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে-
Biologic membranes, bing
lipoidal in nature, are usually more permeable to lipid soluble substances.
Transport across these membranes therefore depends, in part, on the
lipidsolubility of the diffusing species. Lipid solubility of a drug is
determined by the presence of non polar groups in the structure of the drug
molecule as well as ionizable groups that are affected by local pH.
অর্থাৎ বায়োলজিক
মেমব্রেন হচ্ছে
লিপিড (চর্বি)
জাতীয় এবং
যার মধ্য
দিয়ে চর্বিতে
দ্রবীভূত হওয়ার
গুণসম্পন্ন Lipid soluble ওষুধ প্রবাহিত
করা যায়। এবং
এ সকল
মেমব্রেনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার
যোগ্যতার উপর
নির্ভর করে
এবং একটি
ওষুধের লিপিড
সলিউবিলিটি নির্ধারিত হয় সাদারণত ওষুধের
অনুর মধ্যে
Non-polar গ্রুপের উপস্থিতির
উপর এবং
পাশাপাশি যেগুলো
আয়নিক অবস্থায়
ভেঙে যায়
এবং pH
দ্বারা প্রভাবিত
হয় তার
উপর।
তাহলে এ পর্যন্ত
আমরা যে ধারণা পেলাম,
তা হচ্ছে-
১। Semisolid প্রিপারেশনসমূহের মধ্যে যেমন মলম (Ointments), ক্রীম
(Cream), জেল (Gels) ইত্যাদি
শরীরে প্রয়োগ
করলেই তা
শরীরে শোষিত
হবে না। কেননা
কোল্ড ক্রীম,
ভেনিসিং ক্রীম
এগুলোও ট্রপিক্যালি
ব্যবহৃত হয়
এবং Semisolid
preparations.
২। রক্তে
শোষণের জন্য
প্রয়োজন জায়গা
নির্বাচন করা
যেমন Rectal,
Buccal, টিস্যু ইত্যাদি।
৩। ওষুধের
গুণাগুণের উপর। অর্থাৎ
ত্বকে Lipophilic
ওষুধ প্রয়োগ
করলে বেশি
মাত্রায় শোষিত
হয়।
কেননা Biologic
মেমব্রেন দিয়ে
সহজেই প্রবেশ
করে।
সাধারণ ত্বকের
মধ্য দিয়েও
প্রবেশ করতে
পারে, তবে
সে সম্পর্কে
বলা হয়েছে,
Since skin on
various portions of the body has been shown to have different permeabiloty
characteristics for agiven drug, selection of a site of application is
important. The rate of penetration depends on diffusino of drug in the vehicle
to the skin surface, surface pH considerations and diffusion through the stratum
corneum and supportive tissues. Drug may also move along hair follicles, sweat
lands, sebaceou glands or aqueous channels.
অর্থাৎ যেহেতু
একটি প্রয়োগকৃত
ওষুধ শরীরের
ত্বকের বিভিন্ন
স্থানে অনুপ্রবেশের
যোগ্যতা রাখে,
সেহেতু ওষুধ
প্রয়োগের জায়গা
নির্বাচন করা
খুব গুরুত্বপূর্ণ। কী মাত্রায়
ত্বকে প্রবেশ
করবে, তা
নির্ভর করে
ত্বকে ওষুধ
প্রবেশের যোগ্যতার
উপর, ত্বকের
pH -এর উপর
এবং Stratum
Corneum এবং supportive tissue-এর উপর। ওষুধ
লোমকূপ দ্বারা,
ঘামের রন্ধ্র
দ্বারা, সিবসিয়াস
গ্রন্থি দ্বারা
প্রবেশ করতে
পারে।
সবশেষে আমরা বলতে
পারি,
Until recently,
dermal application of drugs was intended for local effects only. As transport
of substances through skin is better understood, howeer lipophilic drugs that
are reasonably potent are bing incorporated into transdermal dosage forms with
the intent of establishing therapentic blood levels of drug.
অর্থাৎ এখন
পর্যন্ত ত্বকের
উপর ওষুধ
প্রয়োগ করা
হয় Local
effect পাওয়ার
জন্য।
যেহেতু ত্বকের
মধ্য দিয়ে
ওষুধ প্রবেশের
ঘটনা ভালোভাবে
জানা হয়েছে,
সেহেতু Lipophilic
এবং উপযুক্তভাবে
সক্রিয় ওষুধসমূহ
সেগুলো ত্বকের
উপর এ
কারণেই প্রয়োগ
করা হয়,
যাতে রক্তে
ওষুধের প্রয়োজনীয়
মাত্রা পাওয়া
যায়।
আমরা জানি রোযা
থেকে গোসল
করলে অথবা
শরীরে তেল
মালিশ করলে
রোযা ভাঙে
না।
সুতরাং শরীরে
প্রবেশ করতে
পারে এমন
কোনো তৈলাক্ত
উপাদান যেমন
পেট্রোলিয়াম জেলি, Cold Cream,
Vanishing Cream ইত্যাদি প্রয়োগেও রোযা
ভঙ্গ হবে
না।
যেহেতু এগুলোর
সঙ্গে কোনো
ওষুধ মিশ্রিত
থাকে না। কিন্তু
যদি উপরোক্ত তৈলাক্ত
উপাদানসমূহ (Cream ev Ointment base)-এ ওষুধ
থাকে, বিশেষত
যেগুলো
Lipophilic in nature এবং যা
Stratum Corneum ভেদ করবে জানা
যায় তবে
রোযা ভঙ্গ
হবে।
উপরোক্ত চিকিৎসা
বিজ্ঞানের বক্তব্য দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত
হলো যে,
ওষুধ ইত্যাদি
(যেমন মলম,
মালিশ ইত্যাদি)
লোমকূপ দ্বারা
ঘামের রন্ধ্র
দ্বারা বা
অন্যান্য মাধ্যম
দ্বারা ভিতরে
প্রবেশ করে
থাকে।
সুতরাং মলম ইত্যাদি
লাগালে যদি
জানা যায়,
তা রক্তে
শোষণ ঘটেছে
এবং মগজে
বা পেটে
পৌঁছেছে, তবে রোযা ভঙ্গ হবে।
সুতরাং যে কোনো
স্থান দিয়েই
প্রবেশ করুক
না কেন
যদি জানা
যায় যে,
তা মগজ
অথবা পেটে
পৌঁছেছে, তবে সকলের মতেই রোযা ভঙ্গ
হয়ে যাবে। তাছাড়া
এ মতের
স্বপক্ষে হাদীছ
শরীফ-এরও
সমর্থন পাওয়া
যায়।
যেমন হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ
হয়েছে,
من حديث حضرت عائشة عليها
السلم مرفوعا انما الافطار مما دخل وليس مماخرج وعن ابن مسعود من قوله انما الوضوء
مما خرج وليس مما دخمل والفطر فى الصوم مما دخل وليس مما خرج واخرجه الطبرانى
ولابن ابى شيبة عن حضرت ابن عباس رضى الله عنه الفطر ما دخل وليس مما خرج.
অর্থঃ- “উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে
মরফু হিসেবে
বর্ণিত।
নিশ্চয়ই রোযা
ভঙ্গ হবে
শরীরের ভিতর
কিছু প্রবেশ
করলে, বের
হলে নয়। হযরত
ইবনে মাসঊদ
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে
বর্ণিত আছে,
ওযুর ব্যাপারে
নিয়ম
হলো- শরীর হতে কিছু বের
হলে ওযু
ভঙ্গ হবে,
প্রবেশ করলে
ভঙ্গ হবে
না।
আর রোযার
ব্যাপারে নিয়ম
হলো- শরীরের
ভিতর কিছু
প্রবেশ করলে
রোযা
ভঙ্গ হবে, বের হলে
নয়।
আর তিবরানী
ও ইবনে
আবী শায়বা,
হযরত ইবনে
আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণনা
করেন, ‘কিছু
ভিতরে প্রবেশ
করলে রোযা
ভঙ্গ হয়ে
যাবে, বের
হলে রোযা
ভঙ্গ হবে
না।”
উপরোক্ত হাদীছ
শরীফ-এর
দ্বারাও প্রমাণিত
হয় যে,
শরীরের ভিতর
কোনো কিছু
প্রবেশ করলে
রোযা ভঙ্গ
হয়ে যাবে। উক্ত
হাদীছ শরীফ-এ মূল
রাস্তাকে শর্ত
করা হয়নি। তবে
সর্বক্ষেত্রেই ভিতরে কিছু প্রবেশ করালে
রোযা ভঙ্গ
হয় এবং
বের হলে
রোযা ভঙ্গ
হবে না
তা নয়। যেমন
সাপে কাটলে
রোযা ভঙ্গ
হয় না। অথচ
সাপের বিষ
ভিতরে প্রবেশ
করে থাকে
এবং ইচ্ছাকৃতভাবে
বমি
করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়
অথচ ওটা
বের হয়ে
থাকে।
এ প্রসঙ্গে হাদীছ
শরীফ-এ
ইরশাদ হয়েছে
যে,
ثلاث لايفطرن الصائم الحجامة القئ
والاحتلام.
অর্থ: তিনটি জিনিস
রোযা ভঙ্গ
করে না-
(১) শিঙ্গা
লাগানো (অর্থাৎ শিঙ্গা
দ্বারা শরীর
হতে যদি
ইচ্ছাকৃতভাবেও রক্ত বের করে তবেও
রোযা ভঙ্গ
হবে না
এখন তা
যেভাবেই বের
করা হোক
না কেন)। (২)
অনিচ্ছাকৃত বমি, (৩) ইহতিলাম অর্থাৎ ঘুমের
মধ্যে গোছল
ফরয হলে।
অনেকে সাপে কাটার
সাথে ইনজেকশনকে
তুলনা করে
বলে থাকে-
সাপে কাটলে
যেমন বিষ
ভিতরে প্রবেশ
করা সত্ত্বেও
রোযা ভঙ্গ
হয় না,
তদ্রƒপ
ইনজেকশনেও রোযা ভঙ্গ হবে না। মূলতঃ
ইনজেকশনের দ্বারা যে ওষুধ শরীরে
প্রবেশ করানো হয়, তার সাথে
সাপের বিষকে
কখনো মিলানো
যাবে না;
কেননা এ
বিষ প্রবেশের ঘটনাটি
সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। এ ব্যাপারে আরো
বলা যেতে
পারে, যেমন
রোযা রেখে
আগরবাতি জ্বালালে,
ধুমপান করলে,
কোনো গ্যাস
নাক দিয়ে
গ্রহণ করলে
রোযা ভঙ্গ
হয়ে যায়। কেননা
এক্ষেত্রে সবগুলো কাজ ইচ্ছা শক্তির
নিয়ন্ত্রণে। অথচ আমরা রাস্তায়
চলা-ফেরা
ও রান্না-বান্নার সময়
যে ধোঁয়া
গ্রহণ করা
হয়, তাতে
রোযা ভঙ্গ
হয় না। কেননা
এটা আমাদের
নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অতএব, ইনজেকশনকে
সাপের বিষের
সাথে কিয়াস
করা সম্পূর্ণই
ভুল।
কারণ ইনজেকশন
ইচ্ছাকৃতভাবেই দেয়া হয়।
অসুস্থতার কারণে রোযা না রাখার হুকুম:
এখানে একটি বিষয়
খুবই লক্ষণীয়,
তাহলো- কারো
যদি রোযা
অবস্থায় দিনের
বেলায় ইনজেকশন
নেয়ার খুব
বেশি প্রয়োজন
হয়ে যায়,
তবে তার
জন্যে রোযা
না রাখার
হুকুম তো
শরীয়তে রয়ে
গেছে।
যেমন মহান
আল্লাহ পাক
তিনি ইরশাদ
করেন,
من كان مريضا او على سفر فعدة من ايام
اخر.
অর্থ: “আর যদি
কেউ অসুস্থ
বা মুসাফির
হয়, তবে
অন্য সময়
রোযাগুলো আদায়
করবে।”
এখন কেউ প্রশ্নে
করতে পারেন
যে, অসুস্থতার
কারণে, মুসাফির
সফরের কারণে
অথবা কারো
রোযা অবস্থায়
ইনজেকশন নেয়ার
প্রয়োজন হওয়ার
অনুরূপ শরয়ী
কোনো ওজরের
কারণে যদি
কেউ রমাদ্বান
মাসে রোযা
না রাখে
এবং অন্য
সময় রোযাগুলো
আদায় করে
নেয়, তবে
কি
সে রমাদ্বান মাসের ন্যায় ফযীলত
লাভ করতে
পারবে?
তার জবাবে বলতে
হয়- হ্যাঁ,
কেউ যদি
অসুস্থতার কারণে, সফর অথবা শরয়ী
যে কোনো
ওজরের কারণে
রমাদ্বান মাসে
রোযা রাখতে
না পারে
এবং অন্য
সময় রোযাগুলো
আদায় করে
নেয়, তবে
সে রমাদ্বান
মাসের ন্যায়
সকল ফাযায়িল-ফযীলত হাছিল
করতে পারবে। কারণ
শরীয়তের কোথাও
উল্লেখ নেই
যে, এরূপ
ব্যক্তি রমাদ্বানের
ফাযায়িল-ফযীলত
হাছিল করতে
পারবে না।
বরং হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ
হয়েছে-
عن حضرت ابى هريرة رضى
الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من افطر يوم من رمضان من غير
رخصة ولامرض لم يقض عنه صوم الدهر كله وان صامه.
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ
করেন, “যে
ব্যক্তি ওজর
অথবা রোগ
ব্যতীত রমাদ্বান
মাসের একটি
রোযা ভঙ্গ
করবে, সে
যদি তার
পরিবর্তে সারা
বৎসরও
রোযা রাখে,
তবেও ওটার
সমকক্ষ হবে
না।” (আহমদ, তিরমিযী, আবূ
দাঊদ, ইবনে মাযা)
এ প্রসঙ্গে আরো
বলা যেতে
পারে যে,
যেমন- মেয়েদের
মাসিক মাজুরতা
ও সন্তান
হওয়ার কারণে
মাজুরতা সময়
নামায পড়া
ও রোযা
রাখা নিষেধ। কিন্তু
সুস্থ হওয়ার
পর রোযা
ক্বাযা করতে
হয় কিন্তু
নামায ক্বাযা
করতে হয়
না।
এর কারণ
কি ?
এ প্রসঙ্গে হাদীছ
শরীফ-এ
উল্লেখ করা
হয় যে,
عن
حضرت معاذة العدوة انها قالت لعائشة عليها السلم ما بال الحائض نقض الصوم ولانفض
الصلوة قالت عائشة كان يضيبنا ذالك فنؤمر بقضاء الصوم ولانؤمر بقضاء الصلوة.
অর্থ: হযরত মুয়াজাহ আদভিয়া
তাবিয়ী রহমতুল্লাহি
আলাইহি তিনি
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা
করলেন যে,
মাসিক মাজুরতায়
স্ত্রীলোক রোযা ক্বাযা করে কিন্তু
নামায ক্বাযা
করে না,
তার কারণ
কি? তখন
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন,
যখন আমরা
এ অবস্থায়
পৌঁছাতাম তখন
আমাদেরকে রোযা
ক্বাযা করার
আদেশ দেয়া
হতো কিন্তু
নামায ক্বাযা
করার আদেশ
দেয়া হতো
না।
(অথচ আমরা
কখনো কোনো
কারণ তালাশ
করিনি) (মুসলিম
শরীফ)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে,
যে সকল
মেয়েরা মাসিক
মাজুরতার কারণে
নামায পড়তে
পারে না
এবং রমাদ্বান
মাসে কিছু
সংখ্যক রোযা
রাখতে পারলো
না, তবে
কি
তারা উক্ত নামাযের কযীলত ও
রমাদ্বান মাসের
রোযার ফযীলত
হতে মাহরূম
থাকবে? জবাব
হলো- কখনোই
নয়, বরং
সে নামায
ও রোযার
পরিপূর্ণ ফযীলতই
লাভ করবে। কারণ
সে শরীয়তের
দৃষ্টিতে মাজুর।
অনুরূপ কারো যদি
ওষুধ অথবা
গোসলের প্রয়োজন
হয় কিন্তু
যদি পানি
পাওয়া না
যায়, তবে
তায়াম্মুম করে নামায আদায় করবে,
এখানে পানি
দ্বারা ওযু
গোসল করে
নামায আদায়
করলে যে
ফযীলত সে
লাভ করতো,
তায়াম্মুম করে নামায আদায় করলেও
সে ততটুকু
ফযীলত লাভ
করবে।
এমনিভাবে ই’তিকাফকারী সম্পর্কে
হাদীছ শরীফ-এ বলা
হয়েছে,
قال النبى صلى الله عليه
وسلم فى المعتكف هو يعتكف الذنوت ويجرى له الحسنات كعامل الحسنات كلها.
অর্থঃ- ই’তিকাফকারী সম্পর্কে হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি
ইরশাদ করেন,
“সে ব্যক্তি
মূলত সকল
গুনাহ হতে
বিরত এবং
সকল নেক
আমলের ফযীলত
তাকেও দান
করা হয়।” সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ ই’তিকাফকারী মসজিদে আবদ্ধ
থাকার কারণে
বাইরের যে
নেক কাজগুলো
করতে পারবে
না, সে
সকল নেক
কাজের ছওয়াব
তার আমলনামায়
লিখা হয়ে
থাকে।
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা
এটাই প্রমাণিত
হয় যে,
যারা ওজরবশতঃ
বা অসুস্থতার
কারণে রমাদ্বান
মাসের রোযা
রাখতে পারবে
না, তারা
অন্য সময়
উক্ত রোযাগুলো
আদায় করলে
অবশ্যই রমাদ্বান
মাসের ন্যায়
সুযোগ-সুবিধা
অর্থাৎ
ফাযায়িল-ফযীলত
লাভ করতে
পারবে।
বরং অনেক
ক্ষেত্রে উল্লেখিত
অবস্থায় রোযা
রাখার মধ্যেই
কোনো ফায়দা
বা ছাওয়াব
নেই।
যেমন এ
প্রসঙ্গে হাদীছ
শরীফ-এ
ইরশাদ হয়েছে,
عن حضرت جابر رضى الله تعالى عنه قال كان رسول الله
صلى الله عليه وسلم فى سفر فراى حاما ورجلا قد ظلل عليه فقال ماهذا؟ قالو صائم
فقال ليس من البر الصوم فى السفر.
অর্থ: হযরত জাবির
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা
করেন, একবার
রসূল পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
সফরে ছিলেন,
একস্থানে লোকের
ভীড় দেখলেন,
(সেখানে গিয়ে
দেখলেন) এক
ব্যক্তির উপরে
ছায়া দেয়া
হচ্ছে।
(এটা দেখে)
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
তিনি জিজ্ঞাসা
করলেন, এখানে
কি? লোকেরা
বললো, (যাকে
ছায়া দেয়া
হচ্ছে) সে
একজন রোযাদার,
(তখন) হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি
বললেন, সফরে
রোযা রাখা
ছাওয়াবের কাজ
নয়।”
অতএব, কেউ যদি
ওজরবশতঃ রমাদ্বান
মাসে কিছু
রোযা রাখতে
না পারে,
তবে সে
তা অন্য
সময় ক্বাযা
আদায় করলেও
রমাদ্বান মাসের
ন্যায় ফযীলত
লাভ করবে।
সম্পাদনায়-
মুফতিউল আ’যম হযরত আল্লামা মাওলানা আবুুল
খায়ের
মুহম্মদ
আযীযুল্লাহ।
প্রধান গবেষক- গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া
জামিয়া
শরীফ,
রাজারবাগ
শরীফ,
ঢাকা।
নির্বাহী সম্পাদক-
দৈনিক
আল
ইহসান
ও
মাসিক
আল
বাইয়্যিনাত।
খতীব- তাজ জামে মসজিদ, মুহম্মদপুর, ঢাকা।
1 comment:
খুবই কাজের পোষ্ট।
Post a Comment