Thursday, October 24, 2013

হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ইহুদী বৃদ্বের সাথেও ইনসাফ করেছিলেন কিন্তু কাফিরেরা নিজ বৃদ্ব পিতামাতাকে করে গৃহহীন

হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন সৎ চরিত্রের সর্বোত্তম আদর্শ, ত্যাগী, অনাড়ম্বর, সরল ও সুকঠিন। সব অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামই ছিল উনার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট।
দু:খী-দরিদ্র লোকজনের দুঃখ-দুর্দশায় উনার চিত্ত কোমলতায় ভরে উঠত। তিনি সর্বদা জন সাধারনের সুখ-শান্তির খেয়াল রাখতেন। রাতে ছদ্মবেশে প্রজাদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখতে বের হতেন। আটার বস্তা মাথায় নিয়ে দুঃখী মানুষের গৃহে পৌঁছে দিতেন।
হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বেমেছাল ন্যায়বিচারক ছিলেন। ইনসাফে এর ক্ষেত্রে মুসলিম-অমুসলিম, উঁচু-নিচু, আপন-পর সবাই ছিল সমান। হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে বলা চলে উনার মতো নির্ভীক, ন্যায়পরায়ণ, সুদক্ষ, সত্যনিষ্ঠ ও দায়িত্বসম্পন্ন জ্ঞানী খলিফা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। উনার সময়কার একটি ঘটনা উল্লেখ করলেই বুঝা সহজ হবে ইনশাআল্লাহ:
হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সময় এক বৃদ্ধ ইহদী ব্যাক্তিকে ভিক্ষা করতে দেখে তাকে ভিক্ষার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। সে বললো আমাকে জিজিয়া আদায় করারর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু তা আদায় করা আমার কোন সামার্থ নাই এখন । হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম এই কথা শুনে তাকে নিজের ঘরে নিয়ে গেলেন এবং বাইতুল মালের দায়িত্বশীলকে ডেকে আদেশ করলেন এর অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রাখতে। এরপর বললেন এর জন্য ভাতা নিদিষ্ট করে দিন আর তার কাছ থেকে জিজিয়া নেওয়া বন্ধ করে দিন।
হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম আরও বললেন আল্লাহ পাক উনার শপথ, “এর যৌবন শক্তিকে আমরা কাজে ব্যবহার করবো আর বার্ধক্যের অক্ষম অবস্থায় তাকে অসহায় করে ছেড়ে দেব , তা কোনমতেই ইনসাফ হতে পারে না” ।
মূলত ইসলাম হলো শ্বাসত-চির কল্যানকর ধর্ম। যেখানে এক জন বিধর্মীকে পর্যন্ত অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে । সুবহানাল্লাহ। হীনমন্য নামধারী মুসলমান তোমরা কি এর থেকে বিরল নজির দেখাতে পারবে? মুসলমান শাসক হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম এতো প্রতাপশালী হওয়ার পরও কতই দয়াদ্র দেখালেন আর আজ কাফিরেরা একটু টাকায় ধনী হওয়াতে মুসলমান নারী, শিশু, বৃদ্বদেরকে গনহারে মারছে। তারপরও তোমাদের হুশ ভাঙ্গবে না?
তাছাড়া কাফিরদের দিকে তাকালে আরও সহজেই দেখতে পাবা যে, তারা কতোই না নিকৃষ্ট যে নিজ বৃদ্ব পিতামাতাকে ঘর ছাড়া করে। ঠিকমত খাবার দেয় না। সন্তানের খেদমত পায় না। আবার নিজেকে ভাবে সভ্য জাতি। কিন্তু প্রকৃত অর্থে তারা এবং তাদের ধর্মীয় কালচার পুরোটাই নীচ এবং বানোয়াট-কল্পনাপ্রসূত। মনগড়া এবং অসভ্যতে ভরপুর।

No comments:

Post a Comment