একজন মুসলমান উনার জীবনকে অবশ্যই সদাচরণের আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। সততায় মুসলমানকে হতে হবে আদর্শবান। প্রত্যেক মুসলমানকে হতে হবে সত্যবাদী। হতে হবে মানবদরদী, পরোপকারী। আমরা যদি নিজেদেরকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে চাই, তবে নিজেদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে আমাদের আচরণে অর্থাৎ কথা ও কাজে অন্য কোনো মানুষ যেন কষ্ট না পায়। এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রকৃত মুসলমান সে-ই, যার জবান ও হাত থেকে অন্যরা নিরাপদ থাকে।”
উল্লেখ্য যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে এই মহান আদর্শের তালিম দিয়ে আদর্শবান হতে দেখিয়ে দিয়েছেন। আর উনার মহান ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও অনুরূপ আদর্শে নিজেদের জীবন গঠন করে সমাজের অন্য সব মানুষের কাছে সদাচরণের আদর্শ বা তারকা হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছিলেন। উনারা পরশ পাথরে পরিণত হয়েছিলেন এবং আজো উনাদের জীবন-চরিত পরশ পাথর হিসেবে সমাজে বিরাজমান। উনাদের সংস্পর্শে (ছোহবতে) এলে মানুষ অসৎ কাজ থেকে দূরে সরে আসতো, এখনো আসে। আজো উনাদের আদর্শ অনুসরণে-অনুকরণ করে মানুষরা কামিল মানুষ হয়। উনাদের সংস্পর্শে (ছোহবতে) মানুষ সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের অনুগামী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ হতো এবং আজো উনাদের আদর্শ অনুসরণে-অনুকরণ করে মানুষরা সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের অনুগামী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। সুবহানাল্লাহ!
সদাচরণের সুমহান আদর্শকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার ছোহবতধন্য হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে এমন সুচারুরূপে বাস্তবায়ন করেছিলেন যে- তৎকালীন সংঘাতময় আরব জাহানে জান্নাতের শান্তি নেমে আসে। তৎকালের আরব সমাজে কথায় কথায় দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগে থাকতো। উনারা সদাচরণ দ্বারা সেখানে শান্তিময় পরিবেশ গড়ে তোলেন। সংঘাতের বদলে ‘শান্তি ও সদাচরণ’ আরব সমাজের ‘বৈশিষ্ট্যে’ পরিণত হয়ে যায়। সদাচরণকে মু’মিনগণ উনারা উনাদের চরিত্রের ভূষণ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে প্রতিহিংসাপরায়ণতাকে উনারা নিজেদের জীবন থেকে মুছে ফেলেছিলেন। মুসলমানগণ উনারা এমন এক সত্তায় পরিণত হন, যাঁদের উপর অনায়াসে কাফিররাও আস্থা রাখতো। আর এ কারণে পবিত্র মক্কা শরীফ শহরের সেই দিনগুলোতে যখন মুসলমানগণ উনারা যালিম কাফিরদের জিঘাংসার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন, তখনও কাফিররা তাদের সম্পদ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে ও হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কাছে গচ্ছিত রাখতো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি কাফিররা যখন প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব পোষণ করতো, তখনও উনাকে অভিহিত করতো আল-আমিন অর্থাৎ বিশ্বাসী হিসেবে।
সদাচরণকে পবিত্র দ্বীন ইসলামে কতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এর প্রমাণ পাওয়া যায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ হতে। যাতে বলা হয়েছে- “যার অনিষ্ট থেকে প্রতিবেশী নিরাপদ নয়, সে মু’মিন নয়।” অর্থাৎ মু’মিনে কামিল হতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই সৎ ভাবনায় ও সৎ চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সদাচরণের সৌভাগ্য দান করুন। (আমীন)।
উল্লেখ্য যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে এই মহান আদর্শের তালিম দিয়ে আদর্শবান হতে দেখিয়ে দিয়েছেন। আর উনার মহান ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও অনুরূপ আদর্শে নিজেদের জীবন গঠন করে সমাজের অন্য সব মানুষের কাছে সদাচরণের আদর্শ বা তারকা হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছিলেন। উনারা পরশ পাথরে পরিণত হয়েছিলেন এবং আজো উনাদের জীবন-চরিত পরশ পাথর হিসেবে সমাজে বিরাজমান। উনাদের সংস্পর্শে (ছোহবতে) এলে মানুষ অসৎ কাজ থেকে দূরে সরে আসতো, এখনো আসে। আজো উনাদের আদর্শ অনুসরণে-অনুকরণ করে মানুষরা কামিল মানুষ হয়। উনাদের সংস্পর্শে (ছোহবতে) মানুষ সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের অনুগামী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ হতো এবং আজো উনাদের আদর্শ অনুসরণে-অনুকরণ করে মানুষরা সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের অনুগামী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। সুবহানাল্লাহ!
সদাচরণের সুমহান আদর্শকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার ছোহবতধন্য হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে এমন সুচারুরূপে বাস্তবায়ন করেছিলেন যে- তৎকালীন সংঘাতময় আরব জাহানে জান্নাতের শান্তি নেমে আসে। তৎকালের আরব সমাজে কথায় কথায় দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগে থাকতো। উনারা সদাচরণ দ্বারা সেখানে শান্তিময় পরিবেশ গড়ে তোলেন। সংঘাতের বদলে ‘শান্তি ও সদাচরণ’ আরব সমাজের ‘বৈশিষ্ট্যে’ পরিণত হয়ে যায়। সদাচরণকে মু’মিনগণ উনারা উনাদের চরিত্রের ভূষণ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে প্রতিহিংসাপরায়ণতাকে উনারা নিজেদের জীবন থেকে মুছে ফেলেছিলেন। মুসলমানগণ উনারা এমন এক সত্তায় পরিণত হন, যাঁদের উপর অনায়াসে কাফিররাও আস্থা রাখতো। আর এ কারণে পবিত্র মক্কা শরীফ শহরের সেই দিনগুলোতে যখন মুসলমানগণ উনারা যালিম কাফিরদের জিঘাংসার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন, তখনও কাফিররা তাদের সম্পদ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে ও হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কাছে গচ্ছিত রাখতো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি কাফিররা যখন প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব পোষণ করতো, তখনও উনাকে অভিহিত করতো আল-আমিন অর্থাৎ বিশ্বাসী হিসেবে।
সদাচরণকে পবিত্র দ্বীন ইসলামে কতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এর প্রমাণ পাওয়া যায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ হতে। যাতে বলা হয়েছে- “যার অনিষ্ট থেকে প্রতিবেশী নিরাপদ নয়, সে মু’মিন নয়।” অর্থাৎ মু’মিনে কামিল হতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই সৎ ভাবনায় ও সৎ চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সদাচরণের সৌভাগ্য দান করুন। (আমীন)।
No comments:
Post a Comment