সৃষ্টি আর ধ্বংস মিলিয়ে খোদা পাকের রহম্যময় প্রকৃতি এক
অপার বিস্ময়। পৃথিবীজুড়ে থাকা এমন সেরা ১০টি প্রাকৃতিক বিস্ময় খোদাপ্রেমিক জ্ঞান-পিপাসুদের
জন্য তুলে ধরা হলো।
১.
তাঞ্জানিয়ার গুরুনগুরু গিরিখাত (The Ngorongoro Crater,
Tanzania)টি ৬১০ মিটার গভীর। এই গিরিখাতটি ২৬০ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত। পৃথিবীর দীর্ঘ
এই গিরিখাতটিতে হাতিসহ বন্য জীবজন্তুর নিরাপদ আবাসস্থল। আবার মাসাইদের পালিত জন্তুদেরও
চারণস্থল।
২.
ইউহোয়া হেই বা পাঁচ ফুলের হ্রদ। চায়নার জিওযাইগন ন্যাশনাল
পার্কে অবস্থিত। হ্রদটিতে যেন বিভিন্ন রং ছুটোছুটি করে। বিভিন্ন প্রাচীন গাছের গুড়িতে
পরিপূর্ণ এলাকাটি। লোককথা অনুযায়ী ১০৮ রংয়ের সমাহারে তৈরি হয়েছে এই হ্রদটি।
৩.
এই দৈত্যাকার পাথরের বাঁধটি উত্তর ইউরোপের আয়ারল্যান্ডে
অবস্থিত। দেখে মনে হয় এগুলো কোনো পাথর খোদাইকারী কারিগর দীর্ঘ সময় নিয়ে সুনিপুণভাবে
এই সুন্দর স্থাপত্য তৈরি করেছে। কিন্তু আসলে তা নয়। মহান খোদা তায়ালা তিনি উনার অপার
মহিমায় কুদরতীভাবে বানিয়েছেন জ্ঞানীদের প্রতি উনার নিদর্শন অবলোকন করে নছীহত হাছিলের
আহ্বান জানিয়ে।
৪.
এই অনুর্বর মালভূমি তুরস্কের কাপাডোসিয়াতে অবস্থিত। এখানে
একটি ভূগর্ভস্থ শহর ছিল; যেখানে অনেক লম্বা লম্বা চিমনী পাওয়া যায়।
৫.
ভিক্টোরিয়া বারিপ্রপাত। জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের মাঝখানে
জাম্বেজি নদীর উপর অবস্থিত। যালিম হানাদার সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনের রাণী ভিক্টোরিয়ার নামে এর নামকরণ করে ব্রিটিশ
অভিযাত্রী ডেভিড লিভিংস্টোন। কিন্তু স্থানীয়রা এটাকে ‘মসি ওয়া তুনইয়া’ নামে ডাকে; যার
অর্থ হচ্ছে ‘যে ধোঁয়া বজ্রধ্বনি করে’। ১০৮ মিটার গভীর এই বারিপ্রপাতটি এমন কুয়াশার
সৃষ্টি করে; যা ২০ কিমি দূর থেকে দেখা যায়।
৬.
ক্যালিফোর্নিয়ার সিকোইয়া ন্যাশনাল পার্কের রেডউড বন। এই
জীবিত বিশাল দৈত্যাকার লালচে রঙের গাছগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা গাছ। ১০০ মিটারেরও
বেশি লম্বা গাছগুলোর গুড়িগুলো প্রায় একটা রাস্তার সমান প্রশস্ত।
৭.
হাওয়াই এ অবস্থিত সবচেয়ে সচল আগ্নেয়গিরি থেকে ধোঁয়ার উদগীরণ
হচ্ছে। এটা থেকে প্রায় তিন দশক ধরে অব্যাহতভাবে লাভা উদগীরণ চলছে এবং এটা থেকে পৃথিবীর
সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান ভূমি সৃষ্টি হচ্ছে।
৮.
উত্তর-পূর্ব ইথিওপিয়ার দালোল আগ্নেয়গিরি থেকে জন্ম নেয়া
এই উপত্যকাটি পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম উপত্যকা। রেড সি থেকে ৬ হাজার কি.মি. বিস্তৃত
হয়ে পৌঁছেছে মালাভি হ্রদ পর্যন্ত।
৯.
গ্রান্ড ক্যানিয়ন গিরিখাত। কোনো কোনো জায়গায় ১.৬ কি.মি.
গভীর আবার ২.৯ কি.মি. প্রশস্ত। এইটার এই প্রকাণ্ডতাই এটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম
ও আশ্চর্যজনক গিরিখাত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে।
১০.
ডেথ ভ্যালী বা মৃত্যু উপত্যকার এই জেবরিস্কি অংশটা পৃথিবীর
সবচেয়ে উষ্ণতম অঞ্চল।
No comments:
Post a Comment