বাংলাদেশবিদ্বেষী রাজাকার রবীন্দ্রের গান ‘সোনার বাংলা’ গিনেজে, কিন্তু ত্রিশ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে অর্জিত ‘জাতীয় পতাকা’ পায়ের নিচে
গত বুধবার ২৬ মার্চ (২০১৪ঈ.) লাখো কণ্ঠে কথিত জাতীয় সংগীত গেয়ে
রেকর্ড সৃষ্টি হলো। নাম উঠে গেল গিনেজ বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। এতে খরচ হলো
কমবেশি ৯০ কোটি টাকা। একসাথে এতো মানুষ কথিত জাতীয় সংগীত গেয়ে বিশ্বরেকর্ড
হলো কিন্তু সেই রেকর্ড অনুষ্ঠানেই পদদলিত হলো লক্ষ শহীদের রক্ত ও অসংখ্য
বীরাঙ্গনার সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজ পতাকা, স্বাধীনতার পতাকা।
গিনেজ বুকে মর্যাদাপূর্ণ উচ্চতায় স্থান করে নিলো রাজাকার রবীন্দ্র ঠগের গান
কিন্তু নিজের রক্তরঞ্জিত মাটিতেই অপমানিত হলো সেই স্বাধীনতার পতাকা। গত
বুধবার ছিল মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এ দিবসেই লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হয়ে
উঠে কথিত জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ তথা বাংলাদেশবিদ্বেষী রাজাকার
রবীন্দ্র ঠগের গান। ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ নমক কথিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে
কয়েক লাখ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে প্যারেড গ্রাউন্ডে যায়। ২ লাখ ৫৬ হাজার
মানুষের সমবেত কণ্ঠে কথিত জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে বিশ্ব রেকর্ডে পৌঁছে
বাংলাদেশবিদ্বেষী রাজাকার রবীন্দ্র ঠগের গান ‘আমার সোনার বাংলা’। কিন্তু প্রচারণার মচ্ছব
চালানো হয়- বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়।
মূল পর্বের আগে মঞ্চ থেকে
অনুরোধ জানানো হয় পতাকা উঁচু করে না ধরতে। এসময় সবাই পতাকা ফেলে দেয়। পরে
ওসব পতাকা পদদলিত করেই মানুষ চলাচল করে। অনেককে পতাকার উপর দাঁড়িয়ে কথা
বলতে দেখা গেছে। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত
সদস্য থাকলেও কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনাকে সাজানো
হয়েছিল ব্লকের মাধ্যমে। কোন্ ব্লকে কোন্ প্রতিষ্ঠান থাকবে তা আগেই মাইকে
ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তা কেউ অনুসরণ করেনি।
উপস্থিত সবাইকে একটি করে উপহার
ব্যাগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেগুলো বেশিরভাগই পায়নি। অনেকে সনদও পায়নি।
কর্তৃপক্ষ আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, এখানে যারা উপস্থিত হবে তাদের প্রত্যেকেই
দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। তাদের সনদ দেয়া হবে। যেন মুক্তিযোদ্ধার
মর্যাদা পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতেই লাখো মানুষের ভিড় ছিল।
No comments:
Post a Comment