Wednesday, September 3, 2014

সউদী ওহাবীরা যে আসলেই ইহুদী তার জাজ্বল্য প্রমাণ ॥ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা মুবারক নিশ্চহ্ন করে দেয়ার উদ্যোগ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ হতে সরিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সউদী আরবের ওহাবী সরকারের মদদপুষ্ট একটি প্রভাবশালী গোঁড়া ওহাবী চক্র এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বলে ইরানের রেডিও তেহরান এবং ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ ও ডেইলি মেইল খবর দিয়েছে।
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ গুঁড়িয়ে দিয়ে উনার জিসিম মুবারক অন্যত্র (অজ্ঞাত স্থানে) সরিয়ে নেয়ার এক ধৃষ্ঠতাপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে সউদী আরবের ওহাবী-সালাফীরা।

উল্লেখ্য যে, মুসলমানদের নিকট পবিত্র কা’বা শরীফ উনার মতোই প্রধানতম মহাপবিত্র স্থান হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ। পবিত্র মদীনা শরীফ-এ উনার মসজিদে নববী শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত পবিত্র রওযা শরীফ জিয়ারত করতে প্রতি বছর কোটি কোটি মুসলমান সউদী আরবে সমবেত হন।
ইহুদী বংশোদ্ভূত সউদী আরবের ওহাবী সরকারের ইঙ্গিতে, মদদে ও পৃষ্ঠপোষকতায় একটি প্রভাবশালী চক্র ও গুমরাহ ওহাবী-সালাফী মালানারা এখন পবিত্র রওযা শরীফটি গুঁড়িয়ে দিয়ে অন্যত্র (অজ্ঞাত স্থানে) সরিয়ে নিতে চায় বলে জানা গেছে। সউদী আরবের ওহাবী গুমরাহ মালানাদের গুমরাহীমূলক দাবি হলো- অনেক মুসলমান এই রওযা শরীফকে ঘিরে শিরকে জড়িয়ে পড়েছেন। (নাউযুবিল্লাহ)
জানা গেছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য ৬১ পৃষ্ঠার একটি ডকুমেন্ট (নথিপত্র) পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার সুপারভাইজারদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে।
এতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ বর্তমান স্থান থেকে সরিয়ে জান্নাতুল বাক্বী উনার অজ্ঞাত স্থানে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ কোনটি তা চিহ্নিত থাকবে না।
অর্থাৎ এটি বিলীন করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে ইহুদী বংশোদ্ভূত সউদী ওহাবী সরকার ও ওহাবী সরকারের মদদপুষ্ট একটি প্রভাবশালী ওহাবী-সালাফী চক্র। কী জঘন্য স্পর্ধা তাদের!!!
বর্তমানে পবিত্র রওযা শরীফ উনার আশেপাশে যেসব মুবারক স্মৃতি বিজড়িত কক্ষ রয়েছে, তা ধ্বংসেরও প্রস্তাব করা হয়েছে এসব নথিপত্রে। এসব কক্ষ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিবারের পূত-পবিত্র সদস্য আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যবহার করতেন। প্রস্তাবে মসজিদে নববী শরীফ উনার সবুজ গম্বুজটিও ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে।
সউদী ওহাবী-সালাফী সরকারের পরিচালিত কথিত ‘ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশন’-এর পরিচালক ড. ইরফান আল-আলাবি বলেছে, “হজ্জ ও ওমরা পালনকারীদেরকে দূরে সরিয়ে রাখতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তারা মনে করে যে- এটা শিরক বা পৌত্তলিকতা।” ড. ইরফান আল-আলাবি’র দাবি, “লোকজনকে এ শিরক থেকে বিরত রাখার একটাই উপায় আর তা হচ্ছে পবিত্র রওযা মোবারককে মানুষের দৃষ্টির বাইরে রাখা।” (নাউযুবিল্লাহ)
ওহাবী কর্মকর্তা ড. ইরফান আরো বলেছে, এরইমধ্যে মসজিদে নববী শরীফ উনার আশপাশের সব কিছু ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এখন এর চারপাশে রয়েছে শুধু বুলডোজার। তারা (সউদী ওহাবীরা) চায় না- হাজীরা সেখানে যাক এবং জিয়ারত করুক। রওযা শরীফ জিয়ারত করাকে তারা (সউদী ওহাবীরা) শিরক বা অংশীবাদিত্ব বলে বিশ্বাস করে। (নাউযুবিল্লাহ)
সউদী ওহাবী সরকার দাবি করেছে যে- তারা পবিত্রতম দুটি স্থানের উন্নয়ন কাজের ক্ষেত্রে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ বজায় রাখে। এবং সউদী সরকারের ওহাবী মতবাদের সংস্কার হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ অন্যত্র স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, সউদী সরকার কুফরী ওহাবী-সালাফী মতবাদে বিশ্বাসী। এ কুফরী মতবাদে বিশ্বাসীরা পবিত্র রওযা শরীফ ও মাযার যিয়ারতের বিপক্ষে। এর আগেও তারা সম্মানিত ইসলামের ইতিহাসের মহান ব্যক্তিত্ব উনাদের বহু মাযার শরীফ ধ্বংস করে দিয়েছে। এর আগেও তারা পবিত্র রওযা শরীফ ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছিল; কিন্তু গযবে আক্রান্ত হয়ে পিছু হটে। তারা পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফ গুড়িয়ে দিয়ে হযরত ছাহাবা আজমাইন উনাদের মাযার শরীফ ও হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালামসহ সমস্ত হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের রওযা শরীফসমূহ ধ্বংস করে দিয়েছে। হক্কানী-রব্বানী আলিমগণ উনারা বলছেন, কোনো ঈমানদার ব্যক্তি রওযা শরীফ সরানোর নামে ধ্বংস করার ও মহান ইসলামী ব্যক্তিত্ব উনাদের মাযার শরীফ ধ্বংসের মতো ভয়াবহ জঘন্য কাজ করতে পারে না। এটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।
মূলত, এ পবিত্র রওযা মুবারক ধ্বংসের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে মুসলিম বিশ্বের ক্ষোভের আগুনে সউদী ওহাবী প্রশাসন ধ্বংস হয়ে যাবে বলে এরইমধ্যে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
মূলত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ এবং মুসলমান উনাদের হজ্জ তথা ঈমান-আমল নষ্ট এবং মহাপবিত্র রওযা শরীফ যিয়ারত করার বরকত থেকে মাহরূম করার লক্ষ্যেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র রওযা শরীফ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং ধৃষ্ঠতাপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে সউদী ওহাবী সরকার ও গুমরাহ ওহাবী মালানারা। নাউযুবিল্লাহ!

যদি তারা এরূপ কুফরী অপপ্রচার ও পদক্ষেপ থেকে অনতিবিলম্বে সরে না আসে, তাহলে অবশ্যই তারা অতিসত্বর আবরাহা, নমরূদ, শাদ্দাদ ও ফিরআউনের মতো ধ্বংস হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ! এ ধ্বংস থেকে কেউ তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ! আর সারাবিশ্বের সকল মুসলমান ও আশিকে রসূলগণের জন্য ঈমানী দায়িত্ব অর্থাৎ ফরয হচ্ছে- নিজের জীবন দিয়ে হলেও ইহুদী বংশোদ্ভূত সউদী ওহাবীদের এরূপ পদক্ষেপ অঙ্কুরেই মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া এবং তাদেরকে সমূচিত শিক্ষা দেয়া। যাতে ভবিষ্যতে আর কখনো তারা এরূপ কথা উচ্চারণ করা তো দূরের কথা, কল্পনা করারও দুঃসাহস না দেখায়।

No comments:

Post a Comment