পবিত্র
ঈদুল আযহার আর মাত্র একদিন বাকি। অর্থাৎ আগামী ৬ অক্টোবর ২০১৪ ঈসায়ী সোমবার পবিত্র
কুরবানীর ঈদ। তাই শেষ মুহূর্তে এসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পশু হাটগুলো জমে উঠেছে। ক্রেতাদের
ভীড়ে বাড়ায় ব্যবসায়ীরা লোকসান ঘুচিয়ে লাভের আশা করছেন। প্রতিটি হাটেই গতবারের মতো এবারও
ভারতীয় গরুর চেয়ে দেশী গরুর চাহিদা বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
শিবগঞ্জের
গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, কুরবানির পশু হাটগুলোতে ভারতীয় গরু আমদানী হলেও দেশি
গরুর চাহিদাই বেশি। তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরু নিয়ে যাওয়া
ব্যাপারিরা ভারতীয় গরুও কিনে নিচ্ছেন। ফলে হাটে গরু তুলতে পারলেই বিক্রি নিয়ে আর কোনো
চিন্তা করতে হয়না।'
জেলার
সবচেয়ে বড় গরুরহাট হিসেবে পরিচিত শিবগঞ্জের তক্তিপুর, নাচোলের সোনাইচন্ডি, নবাবগঞ্জ
পৌর এলাকার বটতলাহাটসহ অন্যান্য ছোট হাটেও কেনা-বেচা জমে উঠেছে।
ব্যবসায়ীরা
জানান, গত ১৫দিন ধরে এ হাটগুলোতে চলছে বেচা-কেনা। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে পাইকার ও
ব্যাপারিরা এসব হাটে এসে গরু কিনে নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছেন।
সীমান্ত এলাকা হওয়ায় ঢাকা বা অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক কম দামে কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
তারা
জানানা, কোরাবানির এসব পশুহাটে অপেক্ষাকৃত বেশি দেশি গরুর আমদানী হয়েছে। ফলে দেশি গরুর
দিকেই ঝোক ক্রেতাদের।
গতকাল
জুমুয়াবার বটতলাহাট ঘুরে দেখা গেছে, ছাগলের আমদানি কম। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারা
ছাগলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
বটতলাহাটের
গরু ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক জানান, হাটগুলোতে বড় আকারের গরু ৬৫ থেকে ৯০ হাজার টাকা,
মাঝারি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, ছোট ২৫ থেকে ৩৫ হাজার এবং ছাগল ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা
পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।
জেলার
সীমান্তের হাটগুলোতে ব্যাপকহারে দেশি ও ভারতীয় গরু আসায় ব্যাপারিরা ট্রাকযোগে আশপাশের
জেলায় নিয়ে যাচ্ছে। তবে মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে বলে একাধিক
গরু ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন।
No comments:
Post a Comment