Monday, November 16, 2015

ইতিহাসের পাতায় ওলীআল্লাহগণ উনাদের অঢেল অর্থ খরচের উদাহরণ এবং সেই অর্থের প্রতি হিন্দুদের লোলুপ মনোবৃত্তি


চিশতীয়া তরীক্বা উনার একজন প্রধান ওলীআল্লাহ হযরত নিযামউদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি। দিল্লীতে ছিল উনার খানকা শরীফ। ইতিহাসে লেখা রয়েছে, খানকা শরীফ ও লঙ্গরখানার খরচ বহনের জন্য তিনি উনার খাদিমকে নির্দেশ মুবারক দিয়ে রেখেছিলেন, যদি কখনো অর্থের দরকার হয় অমুক তাকের মধ্যে হাত দিতে। প্রয়োজনীয় অর্থ সেখানেই কুদরতীভাবে পাওয়া যেতো।
শুধু হযরত নিযামউদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নন, বরং গোটা ইতিহাসেই ওলীআল্লাহগণ উনাদের অঢেল অর্থ খরচের ইতিহাস পাওয়া যায়। চিশতীয়া তরীক্বা উনার অন্যতম আরো একজন ওলীআল্লাহ হলেন হযরত আলাউল হক রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার খানকা শরীফ ছিল তৎকালীন বাংলার রাজধানী পান্ডুয়ায়। তিনি উনার খানকা শরীফে এতো অর্থ খরচ করতেন যে, তৎকালীন বাংলার বাদশাহ সিকান্দার শাহও তার রাজকোষ থেকে এতো অর্থ খরচ করতে পারতেন না।

Friday, November 13, 2015

পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যায়নি ॥

=================================
* আগামী ২৬ ছফর ১৪৩৭ হিজরী হিসেবে আগামী ১০ সাবি১৩৮৩ শামসী, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ঈসায়ী পালিত হবে- পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ
* আর পবিত্র ২৮ ছফর শরীফ (১২ সাবি১৩৮৩ শামসী, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ ঈসায়ী)
সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
এবং দ্বিতীয় সহস্রাব্দের মহান মুজাদ্দিদ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
=====================================
গতকাল ইয়াওমুল খামীস বা বৃহস্পতিবার দিবাগত সন্ধ্যায় ১৪৩৭ হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখা যায়নি। আকাশ পরিষ্কার থাকলেও রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের কোথাও পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার চাঁদ দেখতে পাওয়া যায়নি। মূলত, মহাকাশ বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী চাঁদ দেখা যাওয়ার অবস্থানে ছিল না। তাই আজ ইয়াওমুল জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ৩০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর আগামীকাল ১৬ সাদিস ১৩৮৩ শামসী, ১৪ নভেম্বর ২০১৫ ঈসায়ী, ইয়াওমুস সাব্ত বা শনিবার পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার পহেলা তারিখ।

Saturday, November 7, 2015

মহিমান্বিত ২৫ মুহররমুল হারাম শরীফ- ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সুলত্বানুল আউলিয়া, পেশওয়ায়ে দ্বীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র শাহাদাত দিবস।

======
মিডিয়া সবার মৃত্যু বা ইন্তেকালের খবর প্রচার করে না। কিন্তু মিডিয়া যাদের মৃত্যুবরণের খবর ফলাও করে ছাপায়, তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সুমহান মূল্যবোধের আলোকে কোনো মূল্যায়নের তবকায় পড়ে না। তদুপরি মিডিয়ায় আজকাল মুসলমানের মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে ইন্তিকাল শব্দটিও ব্যবহার করা হয় না। শিরোনাম হয়, “তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে”, অমুকের জীবনাবাসন”, “তিনি আর নেই”, “চির নিদ্রায় শায়িত”, “অমুকের মহাপ্রয়াণ”, “তার চলে যাওয়াটা কি খুব জরুরী ছিল?” ইত্যাদি ইত্যাদি। 
বলাবাহুল্য, মিডিয়ার শিরোনামে প্রতিভাত হয় যে, মিডিয়া মৃত্যু পরবর্তী জনম সম্পর্কে নিরেট অন্ধকারে আছে। অজ্ঞতায় আছে। অবিশ্বাসে আছে এবং তথ্যগত অপূর্ণতায় আছে। অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে পুরো বিশ্বাস করলেই কেউ কেবলমাত্র মুসলমান হওয়া যায়। আর পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি শুকনা ও ভিজা কোনোটাই এ কিতাবে বর্ণনা করতে ছাড়িনি।”

Thursday, November 5, 2015

দুনিয়ার রিযিক পৃথিবীতে আসার পূর্বেই দান করা হয়েছে; কিন্তু পরকালের পাথেয় অর্জন করতে হবে দুনিয়া থেকেই

পার্থিব জীবন-যাপন করতে অর্থের যেমন প্রয়োজন, তেমনি পরকালে মিযানে হিসাব নিকাশে ছওয়াব প্রয়োজন। এই দুনিয়ায় অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা থাকলেও আখিরাতে ছওয়াব অর্জনের ব্যবস্থা নেই।
এই পৃথিবীতেই অর্থ এবং ছওয়াব অর্জন করতে হবে। যারা পরকালের বিষয়টায় উদাসীন তাদের দুঃখের সীমা থাকবে না। ইহকালে অর্জিত সম্পদে মৃত্যুর সাথে সাথে অধিকার হারাতে হবে। কিন্তু পরকালের জন্য অর্জিত নেক বা পুণ্য মৃত্যুর পরও থাকবে।