এ পৃথিবীর সকল সৃষ্টি ও ধর্মীয় অঙ্গনে জোড়তত্ত্ব কার্যকর রয়েছে। এ জোড়া থেকেই নব নব সৃষ্টির হয় উন্মেষ। যার নেই কোনো শেষ। তবে নিম্নে এর মধ্য থেকে কয়েকটি জোড়ার করছি সমাবেশ-
(১) পুরুষ ও মহিলার জোড়া। এ জোড়া থেকে সৃষ্টি হয় মানবসভ্যতা।
(২) পবিত্র নামায ও পবিত্র যাকাত উনাদের জোড়া। এখানে একটি ছাড়া অপরটি কবুল হবে না।
(৩) মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আনুগত্যের জোড়া। এখানে উভয় জনের আনুগত্য শিরধার্য। একজনের আনুগত্য বাদ দিয়ে অপরজনের আনুগত্য গ্রহণযোগ্য নয়।
(৪) মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মাতা-পিতা উনাদের শুকরিয়া আদায়ের জোড়া। কেউ এই জোড়া ভঙ্গ করে মাতা-পিতার শুকরিয়া আদায় না করে, কেবল মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করে অথবা মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় না করে; কেবল মাতা-পিতার শুকরিয়া আদায় করে। তবে তার কোনো শুকরিয়াই মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে গ্রহণ করা হবে না।
(৫) বিশ্বময় প্লাবনের সময় হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার অনুসারীগণের সাথে জোড়ায় জোড়ায় প্রাণীকূল নৌকায় তুলে নিয়েছিলেন। বন্যাপরবর্তী সময়ে জোড়া জোড়া এ প্রাণীকূল থেকেই প্রাণীকুলের আবাদ এ পৃথিবীতে অব্যাহত থাকে।
(৬) ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাওউফ উনাদের জোড়া। কেউ যদি ইলমে ফিক্বাহ শিখে, কিন্তু ইলমে তাছাওউফ না শিখে তবে সে ফাসিক হবে। আবার কেউ যদি ইলমে তাছাউফ শিখে, কিন্তু ইলমে ফিক্বাহ না শিখে, তবে সে যিন্দিক বা কাফির হবে। আর কেউ যদি ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাওউফ উভয়টাই শিখে তবে সে মুহাক্কিক বা আল্লাহওয়ালা হবে। সুবহানাল্লাহ!
(৭) পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের জোড়া।
(৮) পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র আহলে বাইত শরীফ উনাদের জোড়া।
(৯) পজিটিভ ও নেগেটিভ-এর জোড়া। যা আমাদেরকে বিদ্যুৎ প্রদান করে।
(১০) ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ থিউরীর জোড়া। যা আমাদেরকে বিস্ময়কর কম্পিউটার উপহার দেয়।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম, জোড়া ছাড়া কোনো কিছুই কল্পনা করা যায় না, সৃষ্টি করা যায় না, প্রকাশ ও বিকাশ করা যায় না, সুফল অর্জন করা যায় না ইত্যাদি। এটাই হলো জোড়তত্ত্ব। তাই আমাদেরকে এটি বিশ্বাস করতে হবে এবং কার্যকর করতে হবে।
No comments:
Post a Comment