মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অনেক দেশেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে মনোনীত হয়ে আছে। যেমন- আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনাই, মিসর, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, ওমান, কাতার, সোমালিয়া তিউনিসিয়া, কমোরস-এ পবিত্র দ্বীন ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম।
এছাড়া রাষ্ট্রধর্ম রাখার বিধান বড় বড় গণতান্ত্রিক ও কাফির-নাস্তিকদের দেশগুলোতেও বহাল আছে। ইউরোপের অধিকাংশ দেশেই খ্রিস্টধর্ম রাষ্ট্রধর্ম হিসিবে স্বীকৃত। যেমন- পোল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেনে প্রধানধর্ম রোমান ক্যাথলিক। ডেনমার্ক, জার্মানী, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে লথেরান ধর্ম প্রাধান্য পায়। এছাড়া আর্জেন্টিনা, কোস্টারিকা, মাল্টা, মোনাকো ও সুইজারল্যান্ডের কিছু ক্যান্টন ও ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রধর্ম রোমান ক্যাথলিক।
সাইপ্রাস ও গ্রিসে ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অ্যান্ডোরা, ডোমিনিকান রিপালিক, এল সালভেদর, প্যারাগুয়ে, পেরু, পর্তুগাল ও স্কোভাকিয়ার সংবিধানে ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আর্মেনিয়ায় অ্যাপোস্টলিক চার্চ রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃত। ইসরাইলের মূল চালিকা শক্তিই হচ্ছে ইহুদী ধর্ম। বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র নেপাল। তাহলে বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে থাকলে অসুবিধা কোথায়?
অমুসলিম দেশের শাসকরা যদি তাদের ধর্মকে সর্বাগ্রে ও রাষ্ট্রের প্রধান ধর্ম হিসেবে প্রাধান্য দেয়ার চেতনা রাখে, তাহলে বাংলাদেশের মুসলমান শাসকদের চেতনায় কেন তাদের স্বধর্ম ইসলামের প্রতি অনুরাগ থাকবে না? কেন ইসলামের প্রতি আঘাত আসলে তাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগে না? অমুসলিম শাসকরা অন্তত দেশের জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির কথা চিন্তা করে হলেও রাষ্ট্রধর্ম পরিবর্তন করে না, তাহলে বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ মুসলমানের প্রাণের ধর্ম ইসলাম, এই রাষ্ট্রধর্ম পরিবর্তনের দাবি কেন সরকার নীরবে মেনে নিবে?
No comments:
Post a Comment